প্রথমে দেখতে হবে স্বামী কতটুকু পারে? যদি এমন হয় যে ভিতরে প্রবেশ করাতে পারে এবং যৌনলীলা করতে পারে_ কিন্তু স্থায়িত্বের কারণে সুখ দিতে পারে না তাহলে স্ত্রীর কোন অধিকার থাকবে না, তার সাথেই সংসার করতে হবে। আর যদি এমন হয় যে, স্বামীর লিঙ্গ উত্থিতই হয় না। কিংবা লিঙ্গ কর্তিত তাহলে স্বামীকে চিকিৎসার জন্য ১বছর সময় দিবে। সুস্থ হলে তো হলোই, না হলে আদালত তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ করে দিবে।
এ ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান:
স্বামী যদি স্ত্রীকে জৈবিক প্রশান্তি দিতে অক্ষম প্রমাণিত হয়, স্ত্রী চায় স্বামীকে ছেড়ে দিতে, স্বামী তাতে সম্মত নয়, এমতাবস্থায় ইসলাম কাজীকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করেছে। স্ত্রী কাজির দরবারে অভিযোগ করে বিচারপ্রার্থিণী হবে। কাজি স্বামীর সার্বিক অবস্থা যাচাই বাছাই করবে। বাস্তবেই যদি স্বামী অক্ষম বলে প্রমাণিত হয় তাহলে চিকিৎসার জন্য এক বছরের সুযোগ দিবে। এরই মাঝে সুস্থ হলে তো ভালো,অন্যথায় কাজি বিশেষ ক্ষমতাবলে উভয়কে বিচ্ছিন্ন করে দিবে। হযরত সাঈদ বিন মুসায়্যিব বলেন, যে কোনো মহিলাকে বিয়ে করল কিন্তু সহবাসে অক্ষম প্রমাণিত হলো তাকে একবছরের জন্য সুযোগ দেয়া হবে। এর মাঝে সুস্থ হলে তো ভালো, অন্যথায় উভয়কে বিচ্ছিন্ন করে দিবে। -মুয়াত্তা মালেক; হা. নং ২১৭৫
ইমাম মালেক ইবনে শিহাব জুহরীকে জিজ্ঞেস করেন, নপুংসক স্বামীকে চিকিৎসার জন্য যে একবছরের সুযোগ দেয়া হবে, তা কখন থেকে? বিয়ের দিন থেকে না, অভিযোগ উত্থাপনের দিন থেকে? ইবনে শিহাব বলেন, অভিযোগ উত্থাপনের দিন থেকে। এভাবেই স্ত্রী অক্ষম স্বামীর কবল থেকে মুক্তি পেতে পারে। পরে অন্য কোথাও বিয়ে বসবে।-মুয়াত্তা মালেক; হা. নং ২১৭৬
যেহেতু আমাাদের দেশে ইসলামী কাজী নেই। সুতরাং উক্ত মহিলা সরাকারি আদালতের আশ্রয় নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করতে পারেন। ধন্যবাদ।