শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RushaIslam

Call

ছেলেদের দেহের নিচের দিকে একটি ঝুলন্ত থলি আছে , যাকে অন্ডকোষের থলি বলে | এ থলির ভিতরে দুটো গোলাকার অন্ডকোষ বা টেস্টিস থাকে | একটি ছেলে যখন বড় হয় অর্থাৎ বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছায় তখন এখান থেকেই শুক্রানু তৈরি হয় | এই শুক্রানু যৌণমিলনের মাধ্যমে মেয়েদের ডিম্বাণুর সাথে মিলে ভ্রুণ সৃষ্টি করে | ছেলেদের শুক্রাণু তৈরির প্রক্রিয়া সারাজীবন চলতে থাকে | অন্ডকোষে শুক্রাণু তৈরি হবার পর শুক্রবাহী নালী দিয়ে বের হয়ে বীর্যের সাথে মিলিত হয় | ছেলেদের দেহে তলপেটের নিচের দিকে দুটি বীর্যথলি আছে যা থেকে একরকম পিচ্ছিল রস তৈরি হয় | এ রসকেই বীর্য বা সিমেন বলে | ছেলেরা বড় হবার পরে কোন কারনে যৌণ উত্তেজনা হলে পুরুষাঙ্গ থেকে পাতালা বীর্য বের হয়ে লিঙ্গের ডগা ভিজিয়ে দেয় | আর যৌণ উত্তেজনার চরম ও শেষ মুহুর্তে টপকে টপকে অনেক বীর্য বের হয় , একে বীর্যপাত বলে | ছেলেদের প্রজননতন্ত্রের একটি বিশেষ অংশ হল পুরুষলিঙ্গ বা পুরুষাঙ্গ | প্রস্রাব ও যৌণমিলন উভয়কাজেই পুরুষাঙ্গ ব্যবহৃত হয় | সূত্র: উইকিপিডিয়া 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

অন্ডকোষ বা শুক্রাশয় (Testes) প্রায় দুই ইঞ্চি লম্বা একজোড়া ডিম্বাকার অঙ্গ যা স্ক্রোটাম (scrotum) নামক একটি থলির ভেতর আবদ্ধ এবং শুক্ররজ্জু দিয়ে লাগানো অবস্থায় দু'পায়ের উরুসন্ধিতে উপাঙ্গের মতো ঝুলে থাকে। স্ক্রোটামের ভেতর শুক্রাশয়দুটি পাশাপাশি অবস্থান করে। বাম দিকের স্ক্রোটাম বড় এবং কিছুটা ঝোলা। শুক্রাশয়ের ওজন ১০-১২ গ্রাম। প্রত্যেক শুক্রাশয়ের ভেতরে প্রায় ১০০০টি সূক্ষ্ম ও প্যাঁচানো সেমিনিফেরাস নালিকা (seminiferus tubules) থাকে। সেমিনিফেরাস নালিকাগুলো সংগ্রাহক নালিকায় উন্মুক্ত হয়ে যে জালিকার সৃষ্টি করে তাকে রেটি টেসটিস (rete testis) বলে। রেটি টেসটিস থেকে প্রায় বিশটি ৪-৬ মিলিমিটার লম্বা সংগ্রাহক নালি সৃষ্টি হয়ে প্রত্যেক শুক্রাশয়ের শীষদেশ থেকে শুক্রাশয় ত্যাগ করে এপিডিডাইমিসে মিলিত হয়। সংগ্রাহক নালিকাগুলোকে ভাসা ইফারেন্সিয়া (vasa efferentia) বলে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ