শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

চড়ুই পাখি খাওয়া যে হারাম, সেটা বলা যাবে না। তবে, সেটাকে হত্যা করা এবং ভক্ষণ করা হতে বিরত থাকাই শ্রেয় হবে। কেননা, রাসূল (সঃ) চড়ুই পাখি কিংবা তার সদৃশ কিছু প্রাণীকে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন৷ এ সম্পর্কে একটি হাদীস হল - "ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সঃ) চার প্রকার প্রাণী হত্যা করতে বারণ করেছেন। তাহলোঃ পিঁপড়া, মধুমক্ষিকা, হুদহুদ পাখি এবং চড়ুই সদৃশ ও বাজ পাখি। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫২৬৭)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

পৃথিবীতে আল্লাহ তাআলা মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য খাদ্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে এ বিধানও দিয়েছেন যে তারা যেন সেগুলোর মধ্যে হালাল খাদ্যই গ্রহণ করে এবং হারাম বস্তু ত্যাগ করে। কেননা হারাম খাদ্যে কেবল পরকালীন অকল্যাণই নয়, বরং তাতে রয়েছে পার্থিব ব্যাপক ক্ষতি। পশু-পাখির ক্ষেত্রেও ইসলামের সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। এর মধ্যে কিছু হালাল আর কিছু হারাম করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা যা হারাম করেছেন, বাস্তবেও সেগুলো নিষিদ্ধ হওয়ার যোগ্য। কেননা নিষিদ্ধ প্রাণিকুলকে দেখা যায়, কখনো তা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক, অথবা নাপাক, নিকৃষ্ট ও ঘৃর্ণিত, যা একজন জ্ঞান ও বুদ্ধি- বিবেক সম্পন্ন মানুষ কখনো খেতে পছন্দ করে না। একটু চিন্তা করলে সেগুলোর মধ্যে আরো অনেক নিষিদ্ধের কারণ খুঁজে পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ হে মুমিনগণ! আমি তোমাদের জীবিকারূপে যে উৎকৃষ্ট বস্তুসমূহ দিয়েছি, তা থেকে খাও এবং আল্লাহর শোকর আদায় করো, যদি সত্যিই তোমরা কেবল তাঁরই ইবাদত করে থাকো। তিনি তোমাদের ওপর হারাম করেছেন মৃত জন্তু, প্রবাহিত রক্ত, শূকরের গোশত এবং ওই সব প্রাণী, যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবাই করা হয়। (সুরা বাকারাঃ ১৭২, ১৭৩) আল্লাহ তাআলা আরো ইরশাদ করেনঃ আপনি বলে দিন, আমার প্রতি যে ওহী হয়েছে তাতে, লোকে যা খায় তার মধ্যে আমি কিছুই হারাম পাই না। মৃত, বহমান রক্ত ও শুকরের মাংস ছাড়া। কেননা এগুলো অবশ্যই অপবিত্র অথবা যা অবৈধ, আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য উৎসর্গের কারণে। তবে যে কেউ অবাধ্য না হয়ে এবং সীমালংঘন না করে নিরুপায় হয়ে তা গ্রহণে বাধ্য হয়েছে, তবে নিশ্চয় আপনার রব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা আন-আমঃ ১৪৫) পরবর্তীতে হাদীসের মাধ্যমে আরও কিছু প্রাণী ও পাখী হারাম করা হয়। যেমনঃ প্রতিটি থাবা দিয়ে আক্রমণকারী পাখী ও দাঁত দিয়ে আক্রমণকারী প্রাণী, কুকুর ও গৃহপালিত গাধা। সেগুলো সম্পর্কে হাদীসে এসেছেঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিটি থাবা দিয়ে আক্রমণকারী পাখী ও দাঁত দিয়ে আক্রমণকারী হিংস্র প্রাণী খেতে নিষেধ করেছেন। (মুসলিমঃ ১৯৩৪) অতএব হাঁস, মুরগী, তিতির, হুদহুদ, রাজহাঁস, বক, সারস, চড়ুই, কোয়েল, ঘুঘু, কবুতর ইত্যাদি পাখি প্রজাতির প্রাণী ভক্ষণ করায় কোন বাধা নেই। কেননা এগুলি নখ দিয়ে শিকার করে না। পক্ষান্তরে যেসব শিকারী পাখি থাবা বা নখর দিয়ে শিকার করে সেসব পাখি যেমনঃ ঈগল, চিল, শকুন, কাক, পেঁচা, বাজ পাখি ইত্যাদির গোশত ও ডিম খাওয়া নিষিদ্ধ তথা হারাম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ