চা খাওয়া কোন ইসলামী (কুরআন হাদীসের) রীতি নয়। এটা সম্পূর্ণই অমুসলিমদের কালচার। এরও মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক রয়েছে।
চার ক্ষেত্রে মাসআলা হলো- যদি মাঝে মাঝে খাওয়া হয় ক্লান্তি দূর করার জন্য তাহলে যদিও হালাল, কিন্তু কোন উপকার করে না কিন্তু যখন ইহা অভ্যাসে রীতিতে নিয়মিত করা হয় অথবা এমন মনে করা যে, এটা না খেয়ে থাকা যাবে না, তখনই এটা নিষিদ্ধ। নেশায় পরিণত করা অর্থাৎ এই খাবার ছাড়া জীবনই বাঁচে না। এমন অবস্থায় হালাল খাবারও নিষিদ্ধ হয়ে যায়। বিশেষ করে চাতে এমনকিছু বিষাক্ত পদার্থ থাকে যা নেশা সৃষ্টি করে, তাই সঠিক জ্ঞানের পরিচয় হলো, এসব বাদ দেয়া। কেননা নিজেকে আল্লাহর সন্তুষ্টিশীল বান্দা হিসেবে পেশ করতে মূলত আমাদের ‘ইবাদত'। আবার কেউ যদি বলেন, আমার বাচ্চাকে প্রতিদিন মুরগীর গোশত না খাওয়ালে চলবে না, প্রতিদিন কমলা না খাওয়ালে চলবে না। কেননা, এগুলো না খাওয়ালে তো হার মজবুত হবে না। এটাও তার জন্য ভুল। এক্ষেত্রে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসে ঘাটতি এসে যায়। সকল কিছুর মালিম মহান আল্লাহ তায়ালা। তিনি কুন্ বললেই হয়ে যায়। তাই সকল অবস্থায় আল্লাহর নিয়মে চলার অভ্যস্থ করাই মূলত সকল মুমিন মুসলমানের কাজ। তাই শিক্ষিত ও জ্ঞানী ভাই-বোনদের প্রতি আবেদন নেশাকারক যে কোন খাবারই আমরা পরিত্যাগ করব। মহান আল্লাহ আমাদেরকে খালেছ বিধানের (কুরআনের) দিকে ফিরে আসার তাওফিক দান করুন।