শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

 বিদেশি হেলথ ম্যাগাজিন অবলম্বনে শারীরিক ক্ষমতা বাড়ে এমন ১৯টি খাদ্য তালিকা এখানে তুলে ধরা হলো। এই খাদ্য তালিকা হচ্ছে: সামুদ্রিক মাছ, কাঁচা মরিচ, আভাকাদো বা নাশপাতি সদৃস এক ধরনের সবুজ ফল, চকলেট, কলা, মধু, কফি, তরমুজ, পাইন নাট, চেরি, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, সবুজ পাতাওয়ালা সবজি, অলিভ ওয়েল, ফিগস, স্ট্রবেরী, আর্টিসকস, ছাইটি ও বেদানা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামুদ্রিক মাছে অ্যামাইনো এসিড, মরিচে এন্ডরফিন, আভাকাদোতে ভিটামিন সি, কালো চকলেটে ডোপামিন, কলার ব্রমোলাইন, মধুর বোরন, কফিতে মুড ভালো করার উপাদান, তরমুজের লাইকোপেন, পাইন নাটের জিংক, অলিভ অয়েলে মনো ও পলি আনস্যাসুরেটেড ফ্যাট, বেদানার ম্যাগনোশিয়াম শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর। এসব উপাদানে পুরুষের শরীরের শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন টেসটেসটেরন উত্পাদন বৃদ্ধি, শরীরের ইমিউন সিস্টেম-এর উন্নয়ন ও মুড ভালো করাসহ নানাবিধ উপকারে আসে। ফলে এসব খাদ্য উপাদান আহারে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং ওষুধ ছাড়া ভালো থাকা যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

কোনো ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। শরীরের শক্তি বৃদ্ধির জন‍্য খাবার ও করণীয়ঃ নিয়মিত বেশি বেশি পানি পান করুন, কারণ শরীরের জন‍্য পানির প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। প্রতি শনি, সোম ও বুধ এই ৩ দিন দুপুর ও রাতে মাছ দিয়ে ভাত খাবেন। প্রতি রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতি এই ৩ দিন দুপুর ও রাতে মুরগীর গোশত দিয়ে ভাত খাবেন। প্রতি শুক্রবার দুপুর ও রাতে গরুর গোশত দিয়ে ভাত খাবেন। প্রতিদিন সকালে ডিম ভাজি, আলু ভাজি বা শাক-সবজি দিয়ে ভাত খাবেন। প্রতিদিন সকালে ১টি সিদ্ধ ডিম ও রাতে ১টি সিদ্ধ ডিম খাবেন। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আধা গ্লাস গাভীর দুধ ও রাতে ঘুমানোর পূর্বে আধা গ্লাস গাভীর দুধ খাবেন। নিয়মিত পানি, সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খান। সতেজ ফল-মূল, সবুজ শাক-সবজি, টাটকা মাছ ও গোশত খান। মধু, দুধ, ডিম, কালোজিরা খান। সকালের খাবার সকাল ৮টায়, দুপুরের খাবার দুপুর ২টায় ও রাতের খাবার রাত ৮টায় গ্রহণ করুন। রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ৬ঘন্টা বিশ্রাম নিন। খাবার ও ঘুমের প্রতি যত্নবান হলে এবং ভোর সকালে ১৫-৩০ মিনিট ব‍্যায়াম করলে আপনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন এবং আপনার শরীরের শক্তি বেড়ে যাবে। ধন‍্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার মেনুতে নিয়মিত দুধ, ডিম এবং মধু রাখলে এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করলে দৈহিক দুর্বলতায় ভুগবেন না। এছাড়া শক্তি বাড়াতে আরও যা খাওয়া দরকার : 

রসুন- দৈহিক সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। স্মরণাতীতকাল থেকেই নারী পুরুষ উভয়েরই দৈহিক শক্তি বাড়াতে রসুনের পুষ্টিগুণের কার্যকারিতা সর্বজনস্বীকৃত। রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান যা দৈহিক ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়।  

ডিম- দৈহিক দুর্বলতা দূর করতে এক অসাধারণ খাবার ডিম। প্রতিদিন সকালে, না পারেন সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১টি করে ডিম সিদ্ধ করে খান। এতে আপনার দুর্বলতার সমাধান হবে।

চকলেট- চকলেটে রয়েছে ফেনিলেথিলামিন (পিইএ) ও সেরোটোনিন। এ দুটি পদার্থ আমাদের মস্তিষ্কেও রয়েছে। এগুলো দেহে শক্তির মাত্রা বাড়াতে সহায়ক। পিইএর সঙ্গে অ্যানান্ডামাইড মিলে অরগাজমে পৌঁছাতে সহায়তা করে।  

ভিটামিন সি জাতীয় ফল- দৈহিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল দৈহিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী।  গবেষণায় দেখা গেছে, একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। এসব ফলে মধ্যে তরমুজের প্রভাব বেশি।

দুধ- যেসব খাবারে বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এমন প্রাকৃতিক খাদ্য দৈহিক শক্তির উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি দৈহিক শক্তির হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে সবগুলোকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।।  

মধু- দৈহিক দুর্বলতার সমাধানের মধুর গুণের কথা সবারই কম-বেশি জানা। তাই দৈহিক শক্তি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করুন।  

গরুর মাংস- গরুর মাংসে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। তাই আপনি মিলনকে আরও আনন্দময় করতে কম ফ্যাটযুক্ত গরুর মাংস খান। যেমন গরুর কাঁধের মাংসে, রানের মাংসে কম ফ্যাট থাকে এবং জিঙ্ক বেশি থাকে। এইসব জায়গার মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।

কলা- কলার রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম। ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম দৈহিক শক্তি বাড়ায়। আর কলায় রয়েছে ব্রোমেলিয়ানও। যা শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতেও সহায়ক। আর সর্বোপরি কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা যা আপনার দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে ক্লান্তি আসবে না। সূত্র:

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Ronu

Call
আপনি নিচের কিছু কাজ করুন -

১. নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান।
২. খাবারের তালিকায় উচ্চপ্রোটিন এবং শর্করা জাতীয় খাবার খান।
৩. দৈনিক তিনবার পরিমিত খাবার গ্রহণ করুন।
৪. বিশুদ্ধ পানি পান করুন।
৫. দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
৬. সকালে সহজ ব্যায়াম করুন।
৭. রাত্রে ঘুমানোর পূর্বে দুধ পান করুন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ