এটা কোনো মানসিক সমস্যা নয়, মানসিক দূর্বলতা ও আত্মবিশ্বাসের অভাব। মানসিক স্বকীয় একটা স্বভাবও বলতে পারেন, সবারই যা থাকে। এরকম সবারই কমবেশি হয়ে থাকে। যখন আত্মবিশ্বাসের অভাবে মানুষ ভুগে তখনই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নেতিবাচক চিন্তা মাথায় আসে। আপনি নিজে কাজটা পরিশ্রমের সাথে মনোযোগ দিয়ে যদি করেন তাহলে কিন্তু এরকম চিন্তা আসা কমে যাবে। তাই চেষ্টা করুন প্রত্যেক কাজ মনোযোগের সাথে একটু পরিশ্রম করে করার। নিজের মনের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নিজের কাছে রাখুন ও সবকিছু ইতিবাচকভাবে জোর করে হলেও চিন্তা করুন। একসময় তা অভ্যাসে পরিণত হবে এবং সবকিছুকেই ইতিবাচকভাবে চিন্তা করতে পারবেন। যদি সমস্যা বেশি মনে করেন সেক্ষেত্রে একজন কাউন্সিলর বা সাইক্রিয়াট্রিস্ট এর সাহায্য নিন। আপনাকে সুন্দরভাবে মোটিভেট করে সকল সমস্যা দূর করে দিবেন।
আপনার মন দুর্বল যার ফলে এমনটা হয়। আমরা সাবাই বলে থাকি আত্মবিশ্বাসী হলে সফলতা আসবে।আত্মবিশ্বাস মানে হলো নিজের প্রতি আস্থা। নিজের প্রতি আস্থা না রাখলে ভালো কিছু করা যায় না।নিজের প্রতি এই আস্থা অর্জিত হয় নিজের কাজ,নিজের কাজ,দক্ষতা,ক্ষমতা,যোগ্যতার স্বীকৃতি পাওয়ার মাধ্যমে।আমি এতটুকু বলতে পারি আপনি সব সময় জয়ী হবার চেষ্টা করুন। ধরুন,আপনি কোন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে ১ম হলেন তাহলে দেখবেন আপনি নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হতে পারবেন। আর আত্মবিশ্বাসী হলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। আরো একটা উপাদান হলো সাহস। অনেকেই অনেক কিছু পারে।বঙ্গবন্ধু তার একটি উদাহরণ - জাতির পিতার যদি সাহস না করত তবে কি হতো? আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেতাম না। তাই সাহস করতে পারেন। সকল কাজ সাহসের সাথে করবেন।আশাকরি দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে পারেন। তবে ভালো হয় সাইক্রিয়াস্ট্রিস্ট দেখালে।
এমনটা হতেই পারে। হয়তো আপনি আপনার জীবনের বয়ঃসন্ধিকাল অতিক্রম করছেন। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে মানুষের দু'ধরনের পরিবর্তন দেখা দেয়।
১) মানসিক
২) শারীরিক
মানসিক পরিবর্তনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য-
১) মনে হতাশা সৃষ্টি হওয়া
২) বিভিন্ন অজানা বিষয়ে কৌতূহল সৃষ্টি হওয়া
৩) বিপদজনক কাজের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি
৪) অল্পতেই ঘাবড়ে যাওয়া
৫) আবেগ দ্বারা পরিচালিত হওয়া
৬) একাকিত্বে ভোগা
ইত্যাদি
➤প্রথমতঃ এ পরিবর্তনগুলো যে স্বাভাবিক, এ বিষয়টি খুব স্পষ্ট করে বুঝতে হবে। এটা বুঝতে পারলে অস্বস্তি বা ভয় কমে যাবে।
➤দ্বিতীয়তঃ এ বিষয়গুলো নিয়ে খোলা মনে মা-বাবা বা বড় ভাই-বোনের সাথে আলোচনা করলে সংকোচ কেটে যাবে। ফলে একা থাকা বা লোকজন এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে।
➤এছাড়া ভালো গল্পের বই পড়া, সাথীদের সাথে খেলাধূলা করলে মানসিক প্রফুল্লতা বজায় থাকবে।
➤পরিশেষে পরিমিত পরিমাণ পুষ্টিমান খাবার গ্রহণ করতে হবে যাতে স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি না ঘটে।