আপনি যাই পড়ুন (সাইন্স/আর্টস/কমার্স রিলেটেড বিষয়) পড়ছেন আপনার প্রধান লক্ষ্য বুঝে পড়া। যা পরবেন তা বুঝে-শুনে প্রাক্টিকালভাবে পড়ুন। বুঝে পড়লে আপনি মৃত্যুর আদ অব্দি তা ভুলবেন না।
আপনার পড়ার জন্য বেস্ট উপায় হচ্ছেঃ
-
আগে সেই ইংরেজির বঙ্গানুবাদ করুন। প্রত্যেকটি লাইন, একটি শব্দও বাদ দেবেন না।
-
কোনো টপিকের বাংলা জানার পর তার পেছেনর লজিকটা বুঝবার চেষ্টা করুন।
-
নিজেকে নিজে প্রশ্ন করুন। কোনো কিছুর উত্তর না জানলে জানবার উপায় খুজুন।
যেমনঃ Mitchondria is the power house of cell=মাইটোকন্ড্রিয়া হচ্ছে কোষের শক্তিঘর।
প্রঃ কিন্তু কেন? কোষের কেন শক্তি প্রয়োজন হবে ?
উঃ কোষের শক্তি প্রয়োজন হয় জীবের দৈহিক এবং অভ্যন্তরীণ কার্য সম্পাদনের জন্য।
প্রঃ কিন্তু শক্তি যোগানর জন্য তো অনেক কিছুই আছে একটি কোষদেহে। যেমনঃ সাইটোপ্লাজম,গলজি বডি,রাইবোজোম ইত্যাদি থাকতে মাইটোকন্ড্রিয়াতেই কেন শক্তি উৎপাদিত হবে ?
উঃ এর কারন হচ্ছেঃ
i.মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের সমস্ত কাজের জন্য শক্তি উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণ করে।
ii.মাইটোকন্ড্রিয়া শ্বসনের জন্যে প্রয়োজনীয় এনজাইম,
কো-এনজাইম প্রভৃতি ধারন করে।
iii. মাইটোকন্ড্রিয়া শ্বসনের বিভিন্ন পর্যায় যেমন- ক্রেবস চক্র, ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট,
অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন সম্পন্ন করে।
iv.নিজস্ব DNA ও RNA তৈরী করে।
v.স্নেহ বিপাকে সাহায্য করে।
vi. কোষদেহে সকল উপাদানের নিজস্ব কাজ রয়েছে। কেউ নিজ কার্য ছাড়া অন্য অংশের কাজ করতে পারেনা। কোষদেহে অন্যান্য অংশে শ্বসনকার্যে শক্তি উদপাদিত হলেও সবথেকে বেশি শক্তি উদপাদিত হয় মাইটোকন্ড্রিয়াতে।
এভাবে প্রত্যেকটি সমস্যা আপনি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে পড়লে আপনি প্রত্যেকটি জিনিস অন্তর থেকে বুঝবেন ফলে ভবিষ্যতে আপনার কোনো সমস্যা হবে না।
আর কণ্ঠের ব্যপারটা ঃ আপনি কারো সাথে কথা বলেন যেই কণ্ঠে সেই কণ্ঠে সেইভাবে পড়ুন। কল্পনা করুন আপনি আপনার সামনে থাকা কাউকে আপনার পড়ার টপিকটি রিডিং করে শুনাচ্ছেন এবং বোঝাচ্ছেন। এভাবে পড়লে আপনার মাথার মধ্যে কাজ করবে যে আমি অন্যকে একটা বিষয় বুঝাতে পারবো তখনি যখন আমি নিজে বুঝবো। তখন আপনার ব্রেইন আরো ফাস্ট ফাস্ট বিষয়টি ক্যাচ করবে/বুঝতে শুরু করবে।