Call

তোমরা নামাজ কায়েম করো ও যাকাত দাও এবং রুকূ কারীদের সাথে রুকূ করো। (বাকারাঃ ৪৩) আর নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছেই তার প্রতিদান কামনা করা উচিত। আর এই চাওয়াটার মূল বিষয় যেন হয় জান্নাত। হাদিয়া দেয়া ও নেয়া সুন্নত। আর পারিশ্রমিক নেয়া শ্রমিকের অধিকার। আর ইমামতী করে হাদিয়া নেয়া জায়েজ আছে। তবে বলতে পারেন পারিশ্রমিক নেওয়া কি জায়েজ দেখুন বিস্তারিত! ইমাম তার নিজের জীবিকা নিজে নির্বাহ করবে সাধারণ ভাবে। কিন্তু এতে তিনি তার স্বেচ্ছাসেবী কর্মে মনযোগ তেমন হয়ত দিতে পারবেন না । আবার এদিকে মনোযোগ দিলে জীবিকা অর্জনের সময় হয়ে উঠছে না । ফলে এলাকার জনগণ তার জন্য একটি মাসিক অর্থের ব্যবস্থা করতে পারে যেন তিনি নিজেকে পার্থিব কর্ম হতে মুক্ত করে পুরো সময়টা দ্বীনী কাজে ব্যয় করতে পারেন । তবে তিনি যদি তা না নিতে চান কারণ জীবিকা নির্বাহের যথেষ্ট সময় তার আছে তবে তা হলো সবচেয়ে উত্তম। অর্থাৎ এই স্বেচ্ছাসেবী কাজে যারা কোন অর্থ নিতে চায় না তারা সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি। তবে উনাদের পরিবার চালনা যেন কোন সমস্যার সম্মুখীন না হয় জীবিকা অর্জনের সময়ের অভাবে তা দেখা এলাকাবাসীর অবশ্যই কর্তব্য। এক্ষেত্রে পারিশ্রমিক দেওয়া নেওয়াটা নাজায়েজ বলে গন্য হবে না। অর্থাৎ ইমামকে বেতন বা সম্মানী হিসেবে টাকা দেওয়া বা নেওয়াতে কোন সমস্যা নেই। তাদের পরিবার পরিচালনার খরচ যোগার করে দেওয়াটাও তাদের একটা অধিকার।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে আল্লাহর বাণী প্রচার করা। পবিত্র আল-কুরআনের বিধান নিজে পরিপালন ও অপরের নিকট প্রচারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ(স:) হিন্দু,মুসলিম,খ্রীষ্টান,ধর্ম- বর্ণ সকলের কাছে কুরআন প্রচার করেছেন।তিনি এই প্রচার করতে গিয়ে কোন পারিশ্রমিক নেননি। আল্লাহর আয়াত দিয়ে নামাজ পড়িয়ে বা ইমামতি করে কোন অর্থ (টাকা) সম্পদ নেননি।আল্লাহ্ কুরআনে বহু স্থানে কুরআনের আয়াত বিক্রি করে বা শিখিয়ে পাঠ করে কোন মূল্য নিতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু আমাদের সমাজের ইমামগণ এই কুরআন বিরোধী কার্যকলাপ করছেন।সুন্নতের কথা বলে নিজেরা বিধান (হাদিস)লিখছেন।অথচ তারা নবী-রাসূলদের অনেক কাজই মানছেন না।নবী-রাসূলরা নামাজ পড়িয়ে বা কুরআনের আয়াত পড়ে কোন পারিশ্রমিক নেননি।অথচ এখনকার ইমামরা নিচ্ছেন। নবী-রাসূলরা শুধু নামাজের বিষয় প্রচার করেননি। উনারা নামাজ পড়ার পাশাপাশি সমাজে যার- যার কর্মক্ষেত্রে নৈতিকতার উপদেশ দিয়েছেন কুরআনের বিধান অনুযায়ী। সূরা বাকারার ১৭৪-১৭৫ নম্বর আয়াতে বলাহয়েছে “আল্লাহ্ যেকিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন যাহারা তাহা গোপন রাখে ও বিনিময়ে (বিক্রয় করে) তুচ্ছ মূল্য (সামান্য টাকা) গ্রহণ করে তাহারা নিজেদের জঠরে (পেটে) আগুন ব্যতীত আর কিছুই পুরেনা।কিয়ামতের (বিচার দিবসে) দিন আল্লাহ্ তাহাদের সঙ্গে কথা বলিবেন না এবং তাহাদেরকে পবিত্র করিবেন না।তাহাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রহিয়াছে। তাহারাই সৎপথের বিনিময়ে ভ্রান্ত পথ এবং ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি ক্রয় করিয়াছে; আগুন সহ্য করিতে তাহারা কতইনা ধৈর্যশীল।” বিস্তারিত দেখুন : {(ক) পূর্বে কোন নবী রসূল আসমানী কিতাবের কথা প্রচার করে,আল্লাহর পথে আহবান করে/ দাওয়াতী কাজ করে, আসমানী কিতাবের ওয়াজ করে ও সালাতে ইমামতি করে কোন বিনিময়/ পারিশ্রমিক/ হাদিয়া গ্রহণ করেননি, দেখুন ১০: ৭২, ১১: ২৯, ১১: ৫১,২৬: ১০৯, ২৬: ১২৭, ২৬: ১৪৫, ২৬: ১৬৪, ২৬: ১৮০ ইত্যাদি। (খ)আল্লাহর আয়াত গোপন/ পরিবর্তন/ বিকৃত/ বিক্রয় করা এবং এসব করে দুনিয়ার তুচ্ছমূল্য/বিনিময়/ পারিশ্রমিক/ হাদিয়া গ্রহণ করা চরম ভাবে নিষিদ্ধ। এসব করে যারা বিনিময়/ পারিশ্রমিক/ হাদিয়া গ্রহণ করবে তারা লা’নত প্রাপ্ত, জালিম, বিভ্রান্ত/ দল্লীন,নিকৃষ্ট, বিশ্বাসঘাতক, সীমালংঘনকারী, যাদের সাথে কিয়ামাতের দিন আল্লাহ কথা বলবেন না, পবিত্র করবেন না, তাদের জন্য মর্মান্তিক শাস্তি; দেখুন ০২: ৪১ – ৪২, ০২: ৭৯,০২: ১৪০, ০২: ১৫৯ -১৬০, ০২: ১৭৪, ০২: ২১১, ০৩: ৭৭-৭৮, ০৩:১৬২, ০৩: ১৮৭, ০৫: ১৩-১৫,০৬: ৯১, ০৭: ১৬৯, ০৯: ০৯-১০, ০৯: ৩০-৩৫ ইত্যাদি। (গ) মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ (সা:) আল্লাহর পথে মানুষকে আহবান করে বা কুরআনের ওয়াজ করে কোন বিনিময় বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করেননি, দেখুন ০৬:৯০, ১২: ১০৩-১০৪, ২৫: ৫৬-৫৭, ৩৪: ৪৭, ৩৮: ৮৬, ৪২: ২৩, ৫২: ৪০, ৬৮: ৪৬ ইত্যাদি। (ঘ) মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ (সা:) ওয়াজ নসিহত করে কোন যাতায়াত খরচ, খাওয়া খরচ বাবদ কোন হাদিয়া/ মূল্য গ্রহণ করেননি, দেখুন ২৩: ৭২ (আরবি ‘খরজ’এর বাংলা অর্থ ‘খরচ’ দেখুন ১৮: ৯৪)। (ঙ) আল্লাহর শেষ নবী আল্লাহর পক্ষ থেকে আয়াত বদলাননি,পরিবর্তন করেননি, গোপন করেননি; দেখুন ১০: ১৫, ১৭: ৭৩-৭৬ ইত্যাদি। (চ) আল্লাহর পথে আহবান করে, ওয়াজ নসিহত করে আয়াতের বিনিময় গ্রহণ ও পারিশ্রমিক প্রাপ্তির উপর চূড়ান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করে আল কুরআনেআল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন যে, কোন অবস্থায় এসব গ্রহণকারীকে অনুসরণ করা যাবে না তথা তাদের পিছনে সালাত আদায় জায়েজ হবে না, দেখুন ৩৬: ২১, কারণ, এরা হলেন ০৭: ১৬৯ ও ৩৫:৩২ আয়াত অনুযায়ী আসমানী কিতাব আল কুরআনের নিকৃষ্ট ওয়ারিস এবং এরা হিদায়াত প্রাপ্ত নয়। যদি কোন মু’মিন ক্ষুধায় ভীষণ কাতর হয়ে পড়ে, তাহলে ভোগেরও সীমালংঘনের জন্য নয়, কেবলমাত্র জীবনরক্ষার তাগিদে মৃতজীব, রক্ত, শুকরের গোশত এবং গায়রুল্লাহর নামে নিবেদিত জীবের গোশত খেতে পারবে ততটুকু পরিমাণে যতটুকু জীবনরক্ষার জন্য প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এর পরবর্তী পর্যায়ে এমন হারাম বা নিষিদ্ধখাদ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে জীবনের অস্তিত্ব বিপন্ন হলেও বা জীবন গেলেও গ্রহণকরা বা ভক্ষণ করার অনুমোদন নাই। তা হচ্ছে আল্লাহ তাঁর কিতাবে যা নাযিল করেছেন তা গোপন করে পার্থিব সম্পদ গ্রহণ বা আয়াতের বিনিময়ে মূল্যগ্রহণ তথা ওয়াজ নসিহত করে,ইমামতি করে ইত্যাদি উপায়ে হাদিয়া গ্রহণ করা। ০৯: ৩৪ এর অনুবাদ: হে ঐসব লোক যারা ঈমান/ বিশ্বাস করেছো, (জেনে রাখো যে,) নিশ্চয় বেশিরভাগ আহবার ও রুহবান/ ধর্মগুরু এমন যে, তারা খেয়ে থাকে মানুষের মালসমূহ বাতিল পন্থায়/ অন্যায়ভাবে; আর তারা বাধা দেয় সাবীলিল্লাহ/ আল্লাহর পথ থেকে। আর যারা জমা করে রাখে সোনা ও রূপা, আর উহা ইনফাক/ ব্যয় করে না সাবীলিল্লাহে/ আল্লাহর পথে। সুতরাং তাদেরকে সংবাদ দাও আযাবুন আলীমের/ কষ্টদায়ক শাস্তির। [০৯:৩৪ এর আনুষঙ্গিক আলোচনাঃ ‘আহবার ও রুহবান’ তথা ধর্ম গুরুরা বাতিলপন্থায় মানুষের মালসম্পদ খেয়ে থাকে। ইসলামে কোন যাযক তন্ত্রবা পীরতন্ত্র নেই। পীরেরা মানুষকে কুরআনের তালিম দেয় না এবং তারা কুরআনের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্তও নয় এবংবাস্তবেও তারা কুরআনেরআলোকে বিচার ফায়সালা করে না। এছাড়া আল্লাহ আল কুরআনে কোন পীরমুরিদি প্রথা দেননি এবং কোন পীরের আনুগত্য করার আদেশ আল কুরআনে নেই। তাই, যত পীরানী প্রথায় যত পীর আছে তারা হচ্ছে প্রতারক আর যারা পীরের মুরিদ হয় তারা সব হচ্ছে আহাম্মক। পীরেরাসম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাদের মুরিদ থেকে মালসম্পদ গ্রাস করে থাকে। তারা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না; বরং পীরেরা অবৈধভাবে অনেক বাড়ি গাড়ির মালিক হয় এবং অনেক টাকা পয়সা জমা করে থাকে। পীরেরা সুপারিশ করে মুরিদদেরকে জান্নাতে নিতে পারবেন এই বৃথা আশ্বাসে লোকজন পীরদেরকে টাকা পয়সা, সোনদানা ও উট গরু, ভেড়া ছাগল ইত্যাদি তোহফা বা নজরান দিয়ে থাকে, যা আদায় ও ভক্ষণ করা এবং জমা করা আল কুরআনের আলোকে সম্পূর্ণ অবৈধ। এছাড়া যারা ওয়াজ করে তার প্রতিদান গ্রহণ করে তারাও তা অন্যায়ভাবে গ্রহণ করে; কারণ, আল্লাহ ওয়াজ করে বিনিময় গ্রহণ বৈধ করেননি।] উপরে উল্লেখিত আযাতগুলো থেকে প্রমান হয় যে বর্তমানওয়াজকারীগণ,মসজিদের ইমামগণ এবং আল্লাহর আযাত পাঠ করে টাকা নেওয়া হুজুর/মোল্লাগণধর্ম ব্যবসিক। তারা নিশ্চিত জাহান্নামি জেনেও ধর্ম ব্যাবসা করে।কাল বিচার দিনেআল্লাহ্ তাদের সাথে কথা বলবেন না,ক্ষমা করবেন না বলে হুশিয়ারী দেওয়ার পরও তারাকুরআনের আয়াত পাঠ/প্রচার করে টাকা গ্রহণ করে যা প্রকাশে প্রমানীত তারাজাহান্নামী।আজ পর্যন্ত কোন ওয়াজে বা খুতবায় এই আয়াতদ্বয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলেআমি শুনিনি। আপনারা শুনেছেন কি ? এদের অনুসরণ/এদের কথায় ধর্ম পালন আপনার ঠীকানা কোথায় হবেভেবে দেখেছেন কি ? আসুন আল্লাহর দেওয়া বিধান (কুরআন) পড়ি। **ফেষবুক থেকে সংগ্রহ করা****

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ