শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ফোঁড়া ফেটে যাওয়ার ভয় থাকলে কারো নামাজের ইমামতি করতে যাওয়া উচিত নয়। কেননা, শরীরের কোনো জায়গা থেকে রক্ত, পুঁজ ইত্যাদি বের হয়ে গড়িয়ে গেলে অজু ভেঙ্গে যায়। আর অজু ভেঙ্গে গেলে নামাজ ভেঙ্গে যায়। তবে ইমামতি করার মত যদি আর কোন যোগ্য ব্যক্তি না থাকে এক্ষেত্রে ফোঁড়া ফেটে যাওয়ার ভয় থাকলেও নামাজের ইমামতি করতে যাওয়া যাবে। কেননা, কখন ফেটে যাবে তা-তো তিনি জানেন না। আর সালাতের মধ্যে কোনো কারণে যদি অজু নষ্ট হয়েই যায়, তাহলে যেখানে সালাতে অজু নষ্ট হয়েছে, অজু করে এসে সেখান থেকেই সালাত আদায় করা যায়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বাণীঃ সালাতে যে ব্যক্তির বমি হয় কিংবা নাক থেকে রক্তক্ষরণ হয় কিংবা মযী তথা তরল পদার্থ বের হয়, সে যেন ফিরে যায় এবং অজু করে আর নিজের সালাতের উপর ‘বিনা’ করে, যতক্ষণ না সে কথা বলে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরো বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাত শুরু করে, তারপর বমি বমি হয় কিংবা নাক থেকে রক্তক্ষরণ হয়, তখন সে যেন তার মুখে হাত রাখে এবং এমন কাউকে 'ইমামতির জন্য' আগে বাড়িয়ে দেয়, যে কিছু সালাতের মাসবূক হয়নি। আর সাধারণ ওজর রূপে তাই গণ্য, যা অনিচ্ছায় ঘটে যায়। যা ইচ্ছাকৃত ঘটে, তা তার মধ্যে গণ্য নয়। সুতরাং একে তার সাথে যুক্ত করা যায় না। তবে নতুন করে পড়ে নেয়াই উত্তম। কিয়াসের দাবী এই যে, নতুন ভাবে সালাত শুরু করবে। এটাই হল ইমাম শাফেঈ (রহঃ) এর মত। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৫৯৫০, ৫৬ থেকে আংশিক সংগ্রহ)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ