নামাযের অজুর পর কিছু খেলে নামাযের অযু নষ্ট হয়না। আগুনে প্রস্ত্তত খাদ্য আহারের ক্ষেত্রে অযু করার বিধান সম্বলিত হাদিসটি নাসিখ বা রহিতকারী বলে গণ্য। ইবনু আবী উমার (রহঃ) আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন আগুনে পাক করা খাদ্য আহার করলে অযু করতে হবে। যদিও তা পনিরের টুকরো হয়। রাবী বলেন ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এই কথা শুনে আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু কে বললেন তাহলে কি তেল ব্যবহার করে বা গরম পানি ব্যবহার করেও আমাদের অযু করতে হবে? আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হে ভ্রাতুষ্পুত্র, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত কোন হাদিস শুনলে এর উদাহরন দিতে যেও না। (সূনান তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৭৯ হাদিসের মানঃ হাসান) সাহাবা, তাবেঈ এবং তৎপরবর্তী অধিকাংশ আলিম এই ক্ষেত্রে অযু জরুরী নয় বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন। আবী উমার (রহঃ) জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে আমিও ঘর থেকে বের হলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক আনসারী মহিলার বাড়িতে গেলেন। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য একটি বকরী যবেহ করলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা থেকে আহার করলেন। তারপর সেই মহিলা এক কাঁদি কাঁচা খেজুর এনে হাযির করলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা থেকে কিছু খেজুর খেলেন। পরে যুহরের অযু করলেন এবং সালাত আদায় করে ফিরে বসলেন। উক্ত মহিলা বকরীটির গোশত থেকে যা অবশিষ্ট ছিল তা তাঁর সামনে এনে হাযির করলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা আহার করলেন। পরে তিনি আসরের সালাত আদায় করলেন, কিন্তু অযু করলেন না। (সূনান তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৭৯ হাদিসের মানঃ হাসান)
আমার জানামতে ওজু ভঙ্গের কারণ মোট ৭টি । আর এসব কারণের মধ্যে খাবারের কোনো আলোচনা করা হয় নি । এই হিসেবে আমরা ধরতে পারি না যে , ওজুর পরে কিছু খেলে ওজু ভেঙ্গে যায় । _____ আরেকটা লক্ষণীয় বিষয় হলো , বিশেষ করে রমজান মাসে প্রায় সবাই ওজুর করার পর ইফতার করে । আর এ ওজু দিয়েই মাগরিবের নামাজ পড়ে । _____ আমি আরো কিছু হাদিস পড়েছি , যাতে দেখেছি মহানবি (সাঃ) খাওয়ার পরই নামাজ আদায় করেছেন (ওজুর কথা আলোচনায় দেখি নি)