শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

অজু করার পর নিজের লজ্জাস্থানে হাত দিলে অজু নষ্ট হয় না। লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে অজু ভঙ্গ হবে না। কারণ এটি শরীরের একটি অঙ্গ। অন্যান্য অঙ্গ স্পর্শ করলে যেমন অজু ভাঙ্গবে না, তেমনি লজ্জাস্থান স্পর্শ করলেও অজু ভাঙ্গবে না। কায়েশ বিন তালক তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করে যে, যে ব্যক্তি তার গোপনাঙ্গ স্পর্শ করেছে সে কি অজু করবে? রাসূল (সাঃ) বললেন, এটিতো তোমার একটি অঙ্গ বা বলেছেন তোমার শরীরের একটি অঙ্গ। তাই এটি ধরলে অজু ভাঙ্গবে কেন? (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নাম্বারঃ ১৬২৮৬) তবে কিছু হাদিস আছে যেগুলোতে গোপনাঙ্গ স্পর্শ করার দ্বারা অজু ভেঙ্গে যাওয়ার কথা আছে কিন্তু সেগুলোর সনদের দিক থেকে দূর্বলতা ও বিপরীতমুখী হাদিস ও কিয়াস থাকায় আমলযোগ্য নয়। সাহাবায়ে কেরামগণ এবং তাবেয়ীগণ থেকে নির্ভরযোগ্য হাদীস বর্ণিত হয়েছে। যারা লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে অজু করার কথা বলতেন না। লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে অজু করতে হবে এ-প্রসঙ্গে হাদিস হলোঃ ইমরান ইবনু মূসা (রহঃ) বুসরা বিনত সাফওয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি তোমাদের কেউ নিজ লজ্জাস্থানে হাত রাখে, তবে সে যেন অজু করে নেয়। ইসহাক ইবনু মানসূর (রহঃ) বুসরা বিনত সাফওয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি নিজ গুপ্তাঙ্গ স্পর্শ করে সে যেন অজু করা ব্যতীত সালাত আদায় না করে। আবূ আব্দুর রহমান বলেন, হিসাম ইবনু উরওয়াহ হাদিসটি তার বাবা হতে শোনেন নি। আল্লাহই ভালো জানেন। (সূনান নাসাঈ, হাদিস নম্বরঃ ৪৪৫-৪৪৭) তাহলে বুঝা গেল লজ্জাস্থান স্পর্শ করার সাথে অজু ভঙ্গের কোন সম্পর্ক নেই। যে হাদীসে অজু ভঙ্গের কথা আসছে সেখানে উদ্দেশ্য হল এর দ্বারা যদি ভিতর থেকে মজী বা অজী জাতীয় নাপাক বেরিয়ে আসে, তাহলে অজু ভেঙ্গে যাবার কথা বুঝানো উদ্দেশ্য। এমনিতে ধরলেই অজু ভেঙ্গে যাওয়া উদ্দেশ্য নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ