রাসূল (সা.)-এর উত্তরাধিকারী যিনি দ্বীনের অব্যাহত ধারার কর্ণধর, মানুষের সমস্যার সমাধানকারী, এক ব্যাতিক্রমধর্মী ব্যাক্তিত্ব এবং মহান ইমাম ও নেতা হিসাবে নিঃসন্দেহে তিনি বহুমূখী গুণাবলীর অধিকারী৷ এখানে ইমামের উল্লেখযোগ্য কিছু গুণাবলী আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল৷ তাকওয়া, পরহেজগারি এবং এমন নিঃস্কলুষ যে তাঁর দ্বারা সামান্যতম কোন গোনাহ সংঘটিত হয় নি৷ তাঁর জ্ঞানের উৎস হচেছ রাসূল (সা.) এবং তা ঐশী জ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত৷ অতএব তিনি সকলের পার্থিব, আধ্যাত্মিক, দ্বীন এবং দুনিয়ার সকল ধরনের (প্রশ্নের) সমাধানকারী৷ তিনি ফযিলত এবং শ্রেষ্টতম চারিত্রিক গুনাবলিতে সু-সজ্জিত৷ তিনি মানবজাতিকে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম৷
ইমাম হওয়ার জন্য বা ইমামের ইমামতি করার জন্য অনেক শর্ত-শারায়িত উল্লেখ রয়েছে। তবে যেসব শর্ত না হলে কারো জন্য মসজিদের ইমাম হওয়া কিংবা ইমাম নিয়োগ দেয়া উচিত নয় তা হচ্ছে- (১) ক্বিরায়াত বিশুদ্ধ হওয়া, (২) ইমাম হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মাসয়ালা-মাসায়িল জানা এবং ক্বলবী ইলম তথা ইলমে তাছাওউফ অর্জনের উদ্দেশ্যে কোশেশে নিয়োজিত থাকা, (৩) সম্মানিত সুন্নত উনার পাবন্দ হওয়া, (৪) ফরয, ওয়াজিব ও সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ তরক না করা, (৫) বেপর্দা না হওয়া, (৬) হালাল-হারাম তমিজকারী হওয়া, (৭) আক্বীদা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআত উনাদের অনুযায়ী হওয়া ইত্যাদি।
সুত্র:এখানে