অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূমিতে কোন বস্তু পতিত না হওয়ার কারন প্রাথমিক ভাবে দুটো। ১। অভিকর্ষ বলের বিরুদ্ধে কাজ ও ২। বৃত্তাকার কক্ষপথে গতি। এই ভাগের ভেতরেও অনেক কিছু আছে যা এখানে বলছিনা।
প্রথমতঃ কোন বস্তু যদি অভিকর্ষ বলের বিরুদ্ধে কাজ করে তবে সেই কাজের পরিমান g এর মানের সমান বা বেশি হলে বস্তুটি ভূমিতে পতিত হবেনা। পাখি যখন আকাশে ওড়ে তখন সে ডানা ঝাপটায়। এই ডানার গঠন হচ্ছে পালক গুলো কেবল একদিকে ধনুকের মত বেকে বাতাসের বাধা অতিক্রম করতে পারে কিন্তু তার বিপরীত দিকে পালক বাকেই না ফলে প্রচুর বাতাস বাধে। অপরদিকে পাখির ডানা যখন নিচের দিকে নামে তখন প্রসারিত থাকে এবং পালক প্রচুর বাতাসকে বাধা দেয় ফলে ডানা বাতাসের কারনে দ্রুত নিচে নামতে না পেরে দুই ডানার লব্দি বল মাঝ বরাবর মানে দেহটিকে ঠেলে উপরের দিকে দেয়। এবং ডানা যখন উপরের দিকে ওঠে তখন ডানার পালিক ধনুকের মত বেকে যায় একই সাথে আকাশ ও মাটির সাথে লম্ব বরাবর না থেকে তির্যক ভাবে অবস্থান করে, একই সাথে ডানা সংকুচিত ও খাট হয় ফলে উপরে উঠতে গেলে বাতাসের বাধা কম পায় বলে সহজে উপরে উঠতে পারে, নির্দিষ সীমা পর্যন্ত উপরে উঠার পর আবার যখন নিচে নামতে যায় তখন পালক তীর্যক থেকে ভূমির সাথে সমান্তরালে চলে আসে ও ডানা প্রসারিত হয়ে বাতাসের উপর চাপ প্রয়োগ করে , এউ বাতাস পূর্বের মত উপরে ঠেকে দেয় বলে পাখি অভিকর্ষ বলের প্রভাবে নিচে পড়েনা। যদি ডানা অভিকর্ষ বলের বিরুদ্ধে বাতাসের উপর চাপ না দিত তবে নিচে পড়ত।
অপর দিকে কোন কিছুকে যেমন পৃথিবীকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষ পথে গতিশীল বস্তুও ভূমিতে পতন নাউ হতে পারে কারন গতিশীল বস্তু নিজেই একটি কেন্দ্রবিমুখি বল সৃষ্টি করে। তখনই বস্তুটি পৃথিবীর অভিকর্ষ বলকে নিউট্রাল করে দিতে পারে যখন ঐ বস্তুর গতি ও ভরবেগ পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের ও পৃথিবী ঘুর্ণন এর সমান হয়। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের ভেতরে সকল বস্তুর গতি পৃথিবীর গতির সমান কারন পৃথিবী যে বেগে ঘুরছে আমরাও এবং বায়ু মন্ডলের সকল কিছু পৃথিবীর সাথেই সমান বেগে ঘুরছি। কিন্তু ভুমি থেকে উপরে কোন বস্তুর বেগ অবশ্যই পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে বেশি টর্ক বল লাভ করে । ফলে পাখি যখন আকাশে ওড়ে তখন পাখি নিজেই প্রথিবীর বেগের সমান ঘুরছে অপরদিকে নিজ শক্তি বলে ভুমির বেগের চেয়ে বেশি বেগ প্রাপ্ত হওয়ায় অভিকর্ষ বলকে নিউট্রালের দিকে ধাবমান হয়। এই কারনে পাখির গতি যত বেশি হয় ততই ভুমিতে পতিত হবার সম্ভাবনা কম থাকে। আপনি দূরে একটি ঢিল ছুড়লেন। সেটি কম গতিতে ছুড়লে দ্রুত ভুমিতে পরবে আর বেশি বলে ছুড়লে ততই দূরে যাবে। ভুমিতে পড়তে চাইবেনা, কিন্তু গতি কমার সাথে সাথে ভুমির দিকেই পড়তে থাকবে। পদার্থ বিজ্ঞানের স্টুডেন্টরা আশা করছি বুঝতে পারছেন।