যার অবস্থান আছে, যা স্থান দখল করে, বল প্রয়োগে বাধা দেয়, ভর আছে তাকে পদার্থ বলে। যেমন লোহা। একটি দেয়াল, এ পৃথিবীতে আমরা যা কিছু স্পর্শ করতে পারি তা সবই পদার্থ( আরও পদার্থ আছে যা স্বাধারন ভাবে স্পর্শ করতে না পারলেও বিশেষ অবস্থা আছে তাও পদার্থ যেমন বায়) । অপদার্থ বলে কিছু না নাই তবে এমন কিছু বিষয় আছে যার অবস্থা,ভর, বাধা কিছু নাই, কিন্তু তার অস্তিত্ব আছে এবং তা বল সৃষ্টি করতে পারে, এগুলোকে শক্তি হিসাবে অভিহিত (শক্তির সঙ্গা দিচ্ছিনা কিন্তু) এগুলো পদার্থ নয়, শক্তি। এখন এগুলোকে যদি আপনি অপদার্থ বলতে চান আমি আপত্তি করছিনা। মানুষ জীব>প্রাণী তথাপি মানুষ পদার্থের অন্তঃর্ভুক্ত। কারন জীবনী শক্তি কে বাদ দিলে মানুষও পদার্থের মতই স্থান দখল করে, বলে বাধা দেয় এবং মানুষের দেহ বিভিন্ন মৌলিক পদার্থ দিয়েই তৈরি। তাই মানুষ পদার্থের শ্রেণীতে। অন্য দিকে আমরা মাঝে মাঝে অপরকে অপদার্থ বলে বকা দেই। এই বিষয়টা বৈজ্ঞানিক বা পদার্থ সংক্রান্ত নয়। এটা সাহিত্যিক ভাষা। আমরা অপদার্থ তাকেই বলি যার দ্বারা ভাল কোন কাজ হয়না। আর এটি বলার কারন হচ্ছে, ধরুন এক খন্ড ইট পড়ে আছে। এটি কোন কাজে আসেনা বা ভাংগা জিনিস ফেলে দেই। এইগুলো বস্তু বা পদার্থ। তো এগুলো কাজের নয় বলে , যে মানুষ কাজ করেনা আসলে যে ব্যক্তির কাজ কোন ভাল উপকারে আসে না বা আমাদের চাহিদা পুরন করেনা সেই মানুষকে তাচ্ছিল্য করতে আমরা অপদার্থ শব্দটি ব্যবহার করি।