আয়েশা (রাঃ) কে বিয়ে করার মাধ্যমে নবীজী (সাঃ) কি শিশুদের বিবাহ করতে উৎসাহিত করেছেন?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

নবীজী (সাঃ) ছয় বছরের বাচ্চাকে বিবাহ করতে উৎসাহিত করেননি। এবং আয়েশা (রাঃ) কে বিয়ে করার মাধ্যমেও নবীজী (সাঃ) শিশুদের বিবাহ করতে উৎসাহিত করেননি। নবীজী (সাঃ) কেবলমাত্র ছেলে বা মেয়ে বালেগ তথা প্রাপ্ত বয়স্ক হবার মূল নিদর্শন অর্থাৎ বীর্যস্খলন হলেই বিবাহ করতে বা দিতে উৎসাহিত করেছেন। আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাকে বিয়ে করেন তখন তার বয়স ছিল ৬ বছর এবং নয় বছর বয়সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সঙ্গে বাসর ঘর করেন এবং তিনি তার সান্নিধ্যে নয় বছরকাল ছিলেন। (সহীহ বুখারী হাদিস নম্বরঃ ৫১৩৩) সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস নম্বরঃ ১৮৭৭ বর্ননা অনুযায়ী নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়িশা (রাঃ) কে তার সাত বছর বয়সে বিবাহ করেন। এবং তার সাথে তার নয় বছর বয়সে বাসর যাপন করেন। জনাব! মেয়েরা সাধারণত নয় বছর বয়সেই বালেগ হয়। আর বালেগ হলেই বিবাহ দেওয়ার হুকুম রয়েছে। একদল আলিমের মতানুযায়ী নাবালেগ মেয়েকে বিয়ে দিলে সে বালেগ না হওয়া পর্যন্ত তা স্থগিত থাকবে । বালেগ হওয়ার পর সে চাইলে এ বিয়ে বহাল রাখতে পারে অথবা নাকচও করে দিতে পারে। এই মত দিয়েছেন একদল তাবেঈ ও অপরাপর আলিম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আল্লাহর রাসূল (সাঃ) যখন আয়শা (রাঃ)-কে বিয়ে করেন, তখন আয়শা (রাঃ)-এর বয়স ছিলো ৭ বৎসর, যখন তিনি আয়শা (রাঃ)-এর সাথে মিলিত হন, তখন আয়শা (রাঃ)-এর বয়স ছিলো ৯ বৎসর। আর আল্লাহর রাসূল (সাঃ) যখন মারা যান, তখন আয়শা (রাঃ)-এর বয়স ছিলো ১৮ বৎসর। ইসলামে ছেলে শিশু ও মেয়ে শিশু বলতে যা বুঝায়ঃ একজন মেয়ে শিশুর যত বৎসর পর্যন্ত মাসিক শুরু না হবে, তত বৎসর পর্যন্ত সে শিশু। যেদিন থেকে তার প্রথম মাসিক শুরু হবে, সেদিন থেকেই সে বালেগা বা প্রাপ্ত বয়স্কা। ঠিক তেমনি একজন ছেলে শিশুর যত বৎসর পর্যন্ত স্বপ্নদোষ শুরু না হবে বা লিঙ্গ উত্তেজিত না হবে বা কামরস বের না হবে, তত বৎসর পর্যন্ত সে শিশু। যেদিন থেকে তার প্রথম স্বপ্নদোষ শুরু হবে বা লিঙ্গ উত্তেজিত হবে অথবা কামরস বের হবে, সেদিন থেকেই সে বালেগ বা প্রাপ্ত বয়স্ক। বিজ্ঞান ও গবেষণা বলে, সাধারণত একজন মেয়ে শিশু (১৮÷২)=৯ বৎসরে বালেগা বা সাবালিকা ও একজন ছেলে শিশু (২২÷২)=১১ বৎসরে বালেগ বা সাবালকে পরিণত হয়। তাই হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) যথা কাজটিই করেছেন তথা যথাসময়ে বিয়ে করতে উৎসাহিত করেছেন। যথাসময়ে বিয়ে মানব ও মানবসমাজকে অশ্লীলতা, ব‍্যভিচার, যিনা, পরকীয়া, হস্তমৈথুন, সমকামিতা, অজাচার থেকে বিরত রাখে (এটা বাস্তবিকই প্রমাণিত)। ধন‍্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ