শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

হিজরত শব্দের অর্থ হলোঃ ত্যাগ করা, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া - ইত্যাদি। আল্লাহ তা'য়ালার নির্দেশে রাসূল (সঃ) ও সাহাবা (রাঃ) দের মক্কা নগরী ত্যাগ করে ইসলামের প্রচার ও প্রসারের জন্য মদিনায় চলে যাওয়াকেই হিজরত বলে অবহিত করা হয়। যুগে যুগে প্রায় সকল নবী-রাসূলগণকেই নিজ জন্মভূমি ত্যাগ করে অন্য স্থানে যেতে হয়েছে। কেননা, নবী-রাসূলগণের বিরোধিতা করা, তাদের অপবাদ দেয়া, গালমন্দ করা, এমনকি হত্যা পর্যস্ত করা পৃথিবীর ইতিহাসে নতুন কোনো ঘটনা নয়। সর্বশেষ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) যখন অাল্লাহ তায়ালার এই নির্দেশ প্রাপ্ত হোন যে, "অতএব, আপনি যে বিষয়ে আদিষ্ট হয়েছেন তা প্রকাশ্যে প্রচার করুন।" (সূরা হিজর, আয়াত নং ৯৪) তখন থেকেই প্রিয় নবী (সঃ) মক্কার অধিবাসীদের মূর্তি পূজা পরিত্যাগ করে এক আল্লাহর ইবাদতের জন্য আহ্বান করতে লাগলেন। হাতে গণা কয়েকজন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি ছাড়া মক্কার অধিকাংশ কাফির-মুশরিকরাই রাসূল (সঃ)-এর সেই আহ্বানে সাড়া দিল না। সাড়াতো দিলোই না, বরং তাঁর প্রচার কাজে নানাভাবে বাধার সৃষ্টি করতে লাগলো। চালাতে থাকল অমানুষিক জুলুম-নির্যাতন। এমনকি, সামাজিকভাবেও রাসূল (সঃ) এবং তাঁর সঙ্গী-সাথীদের বয়কট করে। কেউ কেউ আবার প্রাচুর্যের প্রলোভনও দেখাতে লাগলো। তাদের সেই শত নির্যাতন ও প্রলোভনকে পদ্দলিত করে রাসূল (সঃ) দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে ঘোষণা করলেন, 'আমার এক হাতে চাঁদ আরেক হাতে যদি সূর্যও এনে দেয়া হয়, তবুও আল্লাহ আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা পালন করা থেকে কোনো অবস্থাতেই আমি বিরত হবো না।' রাসূল (সঃ)-এর এই ঘোষণা শুনে কাফির মুশরিকরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলো যে, তারা মুহাম্মদ (সঃ)-কে হত্যা করে ফেলবে। মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাকে সে কথা জানিয়ে দিয়ে হিজরত করার নির্দেশ দিলেন। আল্লাহ তা'য়ালার সেই নির্দেশে তিনি স্বীয় বিছানায় হযরত আলী (রাঃ)-কে রেখে অতি সন্তর্পণে গৃহ ত্যাগ করেন, এবং তাঁর প্রিয় সাহাবী হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ)-কে সঙ্গী করে মক্কা থেকে ২৯৬ মাইল দূরে অবস্থিত মদীনার অভিমুখে রওনা হন। নবীজি কাফেরদের ভয়ে মক্কা থেকে মদীনায় যান নি, বরং আল্লাহর আদেশে মদীনায় গমন করেছেন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ