শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

হ্যা,, নবী করিম (স) আল্লাহর রাসূল এবং নিঃসন্ধেহে একজন ভালো মানুষ ।  আপনি কোন প্রমান দেখাতে পারবেননা যে নবী (স) বিনা অপরাধে কাউকে হত্যা করেছে। তিনি একজন শয়তানকে মেরেছে দশজন ভালো মানুষকে বাঁচানোর জন্য। তিনি খারাপ বা কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছে । সেটা অন্যায় নয় বরং সকলের উপর দায়িত্ব।

 আপনি যদি আপনার ভুল চিন্তা নিয়ে আপনার মনে সন্ধেহ জন্মান তাহলে আপনার ইমান থাকবেনা।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মহান আল্লাহর দ্বীন ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে রাসুল (সাঃ)-কে বেশ কিছু ছোট-বড় যুদ্ধের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সেই সমস্হ যুদ্ধে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, কিন্তু তার হাতে একজন অমুসলিমও নিহত হয়নি। তরবারি ব্যবহারের চেয়ে ক্ষমাই ছিল তার যুদ্ধনীতির মূল প্রেরণা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

রাসূল (সঃ) কোন কারণ ছাড়া কাওকে হত্যা করেন নি। আপনি বলেছেন, রাসূল (সঃ) কেন আল্লাহর রাসূল হওয়া সত্বেও মানুষকে হত্যা করেছেন?

উত্তরঃ আপনি ভুল বুঝেছেন। রাসূল (সঃ) কাওকে অযথা হত্যা করেন নি। তিনি সর্বদা জিহাদের জন্য তৎপর ছিলেন। কেননা আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, "তোমরা হালকা ও ভারী উভয় অবস্থায় যুদ্ধে বের হও, এবং তোমাদের মাল ও জান নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।" (সুরা তওবা আয়াত নং ৪১)।

এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে আরো বলেছেন, "আর তার রাস্তায় তোমরা জিহাদ কর, যাতে তোমরা সফল ও মুক্তিপ্রাপ্ত হও। (সুরা মায়িদা, আয়াত নং ৩৫)। আল্লাহ তায়ালা জিহাদের গুরুত্ব বোঝাতে আরো বলেছেন, "আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।" (সুরা বাক্বারা, আয়াত নং ১৯০)৷

মহোদয়! আপনি রাসূল (সঃ)-এর সম্পর্কে যেদিকটি বুঝেছেন, সেটা প্রকৃতপক্ষে ভুল ধারণা। কেননা, রাসূল (সঃ) কাওকে অবৈধভাবে হত্যা করেন নি, বরং যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

হ্যাঁ, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল।আর তিনি আল্লাহর রাসূল হ‌ওয়ার কারণেই এতগুলো মানুষ মেরেছেন। কারণ ঐ মানুষগুলোকে মারতে তাদের সৃষ্টি কর্তাই নির্দেশ দিয়েছিলেন।এরকম কোন ইতিহাস নেই যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের জন্য মানুষ মেরেছেন বা নিজ সত্বার স্বার্থে এমন কাজ করেছেন। তবে তিনি দ্বীনের উপর আঘাত কঠোর ভাবে দমন করেছেন তাও আল্লাহর ইশারায় বা সরাসরি নির্দেশে।সাহাবায়ে কেরাম ও এমন শিক্ষায় গড়ে উঠেছিলেন।কুর‌আনে এসেছে, সূরা আল ফাতহ:29 - মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত দেখবেন। তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন । তওরাতে তাদের অবস্থা এরূপ এবং ইঞ্জিলে তাদের অবস্থা যেমন একটি চারা গাছ যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে-চাষীকে আনন্দে অভিভুত করে-যাতে আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ