আমাদের একটি অস্টেলিয়া গরু আছে। গরুটির বাছুর হওয়ার পর দুধ(পানাল) প্রচুর মোটা হয়। ওটা দেখে মানুষের নজর লাগে তাই দুধ নষ্ট করে দেই। তখন আর বাছুর দুধ পাই না। আজ রাতে আবার গরুটির বাছুর হয়েছে এখন আমরা কি করতে পারি যাতে কেউ আমাদের গরুটির দুধ নষ্ট না করতে পারে। কারো জানা থাকলে প্লিজ দয়া করে সঠিক উত্তরটি দিয়ে সহায়তা করুন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

যতটা সম্ভব গরুটা লোক নজরের আড়ালে রাখার চেষ্টা করবেন|মানুষের মনের মধ্যে খারাপ কিছু থাকলে কিছুই করার থাকে না| বেল গাছের ডাল কেটে ঐ ডাল খুঁটি করে গরুটা বেধে রাখবেন|বেল গাছের ডাল এ বিষয়ে খুবই শক্তিশালী| বদ নজরের কোন উপসর্গ দেখলে তাৎক্ষনিক ভালো কবিরাজ দ্বারা চিকিৎসা করাবেন|

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

এটা আপনার কুসংস্কার । দুধ মোটা হওয়া স্বাভাবিক । আর তাতে নজর ও লাগে না । সমস্যাটা হল এ সময়ে জীবানুর আক্রমন হতে পারে সহজেই । তাই গাভীকে পরিষ্কার জায়গায় রাখুন ।  আরো একটি কারন হল দুধে অত্যাধিক চাপ পড়া । এ সকল গাভীর দুধ উৎপাদন যে হারে হয় বাচ্চাটা সব খেতে পারে না । তাই সমস্যা সৃষ্টি হয় । এজন্য অতিরিক্ত দুধ দোহন করে বের করে দিতে হবে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
বদনজর সত্য এটা কুসংস্কার নয়
আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করো। কেননা বদনজর সত্য বা বাস্তব ব্যাপার।
তোমরা বদ নজরের ক্রিয়া (খারাপ প্রভাব) থেকে রক্ষার জন্যে আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য প্রার্থনা কর। কেননা তা সত্য। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৩৫০৮)
বদনজরের চিকিৎসা
যার বদ নজর লেগেছে বলে সন্দেহ করা হয়, তাকে গোসল করিয়ে গোসলের পানি রোগীর শরীরে ঢালতে হবে। যেমনভাবে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমের বিন রাবীয়াকে গোসল করতে বলেছিলেন।
হাদীসে পাওয়া যায়, তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং লুঙ্গির নিচের অংশ ধৌত করা এবং সম্ভবতঃ মাথার টুপি, পাগড়ী বা পরিধেয় কাপড়ের নিচের অংশ ধৌত করা এবং তা ব্যবহার করাও বৈধতার অন্তর্ভুক্ত হবে।
বদনজর যাতে না লাগে সেজন্য করণীয়

বদনজর লাগার আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়াতে কোন দোষ নেই। এটা আল্লাহর উপর ভরসা করার পরিপন্থীও নয়। কারণ আল্লাহর উপর পরিপূর্ণভাবে ভরসার স্বরূপ হল বান্দা বৈধ উপকরণ অবলম্বন করে বদনজর ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবে এবং সেই সাথে আল্লাহর উপর ভরসা করবে।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) কে এই বাক্যগুলো দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করতেনঃ

‏ أُعِيذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّة
ইবন আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর জন্য এরূপ দু’আ করতেন- আমি তোমাদের উভয়কে আল্লাহ্‌র কালামের আশ্রয়ে রাখতে চাই সব ধরনের শয়তান হতে, কষ্টদায়ক বস্তু হতে এবং সব ধরনের বদনজর হতে। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের পিতা (ইবরাহীম আলাইহিস সালাম)-এর কালামের দ্বারা ইসমাঈল ও ইসহাক (আলাইহিস সালাম)-এর জন্য আল্লাহ্‌র কাছে পানাহ চাইতেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৬৬২)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ