শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়

টক দই খান

আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ মিনোসোটার গবেষকদের মতে প্রতিদিন মাত্র এক কাপ করে টক দই খেলে উচ্চ রক্ত চাপ প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমে যায় এবং স্বাভাবিক হয়ে আসে। গবেষকদের মতে দই খেলে রক্ত চাপ ও রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা প্রায় ১৫ বছর ধরে প্রতিদিন ১২০ গ্রাম টক দই খায় তাদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি প্রায় ৩১% কমে যায় অন্যদের তুলনায়।

সপ্তাহে একদিন জগিং করুন

সপ্তাহে অন্তত একদিন মাত্র এক ঘন্টা করে জগিং করলে ৬ বছর আয়ু বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। কোপেনহেগেন সিটি হার্ট কার্ডোভাসক্যুলার স্টাডিতে ২৩ থেকে ৯৩ বছর বয়সী ২০,০০০ পুরুষ ও মহিলার উপর গবেষণা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষকদের মতে জগিং হৃদপিন্ডের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় এবং হৃদপিন্ডকে শক্তিশালী করে। রক্ত চাপ কমিয়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি শরীরকে সতেজ ও সুস্থ রাখে।

লবণ খাওয়া কমান

লবণ খেলে রক্তনালীর রক্তের ঘনত্ব ও চাপ বেড়ে যায়। ফলে রক্ত চাপ বেড়ে যায়। তবে শুধুমাত্র লবণ নয় প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলেও রক্ত চাপ বাড়ে। ব্লাড প্রেশার অ্যাসোসিয়েশনের মতে সল্টেড বিস্কুট, সকালের নাস্তার সেরেল ও রেডিমেড মোড়কজাত খাবারে প্রাত্যহিক আমরা যা লবণ গ্রহণ করি তার ৮০% থাকে। তাই প্রতিদিন খাবারের সাথে লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন। আর ভাতের সাথে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।

ওজন কমান

গবেষনায় দেখা গেছে যে মাত্র কয়েক কেজি ওজন কমালেও তার ইতিবাচক প্রভাব রক্তচাপের উপর পড়ে। ওজন বাড়লে হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয় এবং রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাই সব সময় চেষ্টা করুন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে।

ধূমপান ত্যাগ করুন

ধূমপান করলে শরীরে নিকোটিনের প্রভাবে অ্যাড্রেনালিন উৎপন্ন হয়। ফলে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন বেড়ে যায় এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়।

কলা খান

বৃটিশ মেডিকেল জার্নালের সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখে গেছে যে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন কলা খেলে লবণ খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। ফলে নিয়মিত কলা খেলে প্রতিবছর হাজার হাজার জীবন বাঁচানো সম্ভব। কলা খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় পটাসিয়ামের অভাব পূরণ হয় এবং শরীরের ফ্লুইডের সমতা রক্ষা হয়। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কম কাজ করুন

ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার একটি গবেষণা অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে ৪০ ঘন্টার বেশি অফিসের কাজ করলে হাইপারটেনশনের সম্ভাবনা ১৪% বেড়ে যায়। ওভারটাইম কাজ করলে এই ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। যারা সপ্তাহে ৫১ ঘন্টা কাজ করে তাদের উচ্চরক্তচাপের সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় ২৯% বেশি। অফিসে অতিরিক্ত কাজ করলে সারাদিন বসে থাকা হয় এবং ব্যায়ামের সময় পাওয়া যায় না। তাছাড়াও মনের উপর চাপ পড়ে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া হয়ে থাকে। তাই অফিসকে অতিরিক্ত সময় না দিয়ে নিজের বিশ্রামের জন্য কিছু সময় রাখুন।

অতিরিক্ত চা কফি কমান

আমেরিকার উত্তর ক্যারোলিনার ডিউক ইউনিভার্সিটি অফ মেডিকেল সেন্টারের মতে ৫০০ মিলিগ্রামের অর্থাৎ প্রায় ৩ কাপ চা/কফি খায় তাদের ব্লাড প্রেশার ৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এই প্রভাব রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে করণীয়: ১. বিড়ি, সিগারেট, জর্দ্দা, সাদা পাতা, গুলসহ সকল প্রকার তামাক জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। যদি আপনি তামাক গ্রহণ করে তাহলে আজই ছেড়ে দেয়ার জন্য মনস্থির করুন এবং ধীরে ধীরে একেবারে ছেড়ে দিন। ২. অতিরিক্ত ওজনের অধিকারীরা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হতে পারে। দুটি ভাল উপায় আছে যা আপনার ওজন  পর্যবেক্ষণে সহায়তা করবে; যেমন-বডি মাস ইনডেক্স এবং কোমরের পরিমাপ। বিএমআই বা বডি মাস ইনডেক্স একজন ব্যক্তির গড় ওজন নির্দেশ করে। বডি মাস ইনডেক্স কিভাবে হিসাব করবেন; প্রথমে আপনার ওজন (কি.গ্রাম) মাপুন এবং আপনার উচ্চতা (মি২) দ্বারা ভাগ করুন। যে ফলাফল পাবেন সেটাই আপনার বডি মাস ইনডেক্স। বিএমআই ১৮.৫-২৪.৯৯ কে স্বাভাবিক হিসাবে ধরা হয়। উল্লেখ্য দেশ এবং জাতিভেদে এই পরিমাপের তারতম্য হতে পারে। ৩. স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া সব সময় সর্বোত্তম। প্রতিদিন সকাল, দুপুর এবং রাত এই তিনবার স্বাস্থ্যসম্মত পর্যাপ্ত খাবার খান, কোন বেলায় খাবার গ্রহণ বাদ দিবেন না। প্রক্রিয়াজাত এবং ফাস্ট ফুড না খাওয়ার চেষ্টা করুন। তার পরিবর্তে- ++প্রচুর পরিমাণে ফলমূল এবং শাকসবজি খান; টাটকা এবং রঙিন ফলমূল বেশি করে খান ++সপ্তাহে অন্ততপক্ষে একদিন নিরামিষভোজী হোন ++যতদূর সম্ভব সোডিয়াম এবং লবণ কম গ্রহণ করুন ++খাবারের সাথে আলগা (পাতে) লবণ খাবেন না ++রান্না করার সময় খাবারে অল্প লবণ ব্যবহার করুন ++খাদ্যকে সংরক্ষণ করার জন্য লেবুর রস, ভিনেগার, কাচা রসুন, মসলা ব্যবহার করুন ++পণ্যের গায়ে সোডিয়ামের পরিমাণটা ভালোভাবে পড়ে নিন এবং কম সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান ++মদ্যপান পরিহার করুন ৪. শারীরিকভাবে সক্রিয় হলে স্বাস্থ্যের চমৎকার উন্নতি ঘটে, সাথে সাথে রক্তচাপের মাত্রাও সঠিক থাকে। কায়িক পরিশ্রম করুন। নিয়মিত হাঁটা, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার কাঁটার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত সময় না পেলে দিনে দুইবার দশ মিনিটের সাধারণ ব্যায়ামও অনেক সাহায্য করে। ++লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি দিয়ে উঠা-নামা করুন ++সম্ভব হলে হেঁটে বা সাইকেল করে অফিসে যান ( সংকলিত  )

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
প্রথম কথা তামাকের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করতে হবে। তাছাড়া রক্ত চাপ স্বাভাবিক রাখতে চাইলে নিয়মিত নিচের খাদ্য গুলো আহার করা চাই।
১. ওটস
উচ্চ এবং নিম্ন, দুই ধরনের রক্তচাপকে স্বাভাবিক করতে এই খাবারটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। এখানেই শেষ নয়, হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও ওটস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. আদা
এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ, যা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নানাভাবে সাহায্য করে। তাই তো যাদের এমন সমস্যা রয়েছে, তারা দিনে ১-২ বার আদা চা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠবে।

৩. বিটের রস
ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়ার কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে নিয়মিত বিটের রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ এই সবজি খাওয়া মাত্র রক্তে নাইট্রিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে ব্লাড প্রেসার কমতে সময়ই লাগে না। সেই সঙ্গে এন্ডোথেলিয়াল ইনফ্লেমেশনও কমে

৪. কলা
পরিবারে কি উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাস রয়েছে? তাহলে বন্ধু প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কলার অন্তর্ভুক্তি ঘটাতে ভুলবেন না যেন! কারণ কলা খাওয়া মাত্র দৈনিক পটাশিয়ামের চাহিদার প্রায় ১২ শতাংশ পূরণ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ১ শতাংশ ক্যালসিয়াম এবং ৮ শতাংশ ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদাও পূরণ হয়। ফলে দেহে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে কমে রক্ত চাপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও।

৫. দই
শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়তে থাকলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় চলে আসতে একেবারেই সময় লাগে না। ঠিক এই কারণেই তো ব্লাড প্রেসারে ভুগতে থাকা রোগীদের নিয়মিত দই খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কারণ দই খাওয়া মাত্র দিনের চাহিদার প্রায় ৪৯ শতাংশ ক্যালসিয়ামের চাহিদা মিটে যায়। ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে সময়ই লাগে না।

৬. টমেটো
এই সবজিটিতে রয়েছে লাইকোপেন নামের একটি উপাদান, যা শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশপাশি রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. তুলসি
তুলসি পাতায় রয়েছে ইউজেনল নামে একটি উপাদান, যা অল্প দিনেই ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

৮. মূলা
শুধু মূলা নয়, পাতা সমেত এই সবজিটি খেলে তবেই ব্লাড প্রেসার একেবারে হাতের মুঠোয় চলে আসে। আসলে মূলায় রয়েছে পটাশিয়াম, যা শরীরে লবণের পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মধ্যে দিয়ে রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

৯. ডার্ক চকোলেট
এতে রয়েছে কোকো, যা রক্ত চাপ কমানোর পাশপাশি নানাবিধ হার্টের রোগ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমায়। তাই যারা অল্প বয়স থেকেই নানা ধরনের লাইফ স্টাইল ডিজিজে আক্রান্ত, তারা এই খাবারটি খাওয়ার অভ্যাস করুন। উপকার পাবেন।

১০. বেদানা
এতে উপস্থিত পলিফেনোলিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, শিরা-উপশিরাকে প্রসারিত করে। ফলে রক্ত সরবরাহ বেড়ে যায়। আর এমনটা হলেই স্বাভাবিক হতে শুরু করে রক্তচাপ।

১১. সজনে
এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম। কী কাজে আসে এই খনিজটি? এটি শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা কমিয়ে ব্লাড প্রেসারকে স্বাভাবিক লেভেল নিয়ে আসে। তাই তো প্রেসারের রোগীদের নিয়মিত সজনে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

১২. তিল
তিল তেল বিশেষ কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। সেই সঙ্গে রয়েছে ভিটামিন-ই। এই সবকটি উপাদানই রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে দারুন কাজে আসে।

১৩. রসুন
অপনি কি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে আজ থেকেই রসুন খাওয়া শুরু করুন। কারণ এটি দ্রুত রক্তচাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে রসুনে উপস্থিত অ্যালিসিন নামে একটি উপাদান ব্লাড প্রসার স্বাভাবিক করতে নানাভাবে সাহায্য করে।

১৪. গাজর
এই সবজিটিতে উপস্থিত পটাশিয়াম, দেহের অন্দরে ফ্লইড ব্যালেন্স ঠিক রাখার মধ্যে দিয়ে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো যাদের রক্তচাপ প্রায়শই ওঠা-নামা করে, তাদের নিয়মিত গাজর খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, কাঁচা গাজর খেতে যদি ভাল না লাগে, তাহলে গাজরের রস বানিয়েও খেতে পারেন। এমনটা করলেও সমান উপকার পাওয়া যায়।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
  1. ২) খাবারে বেশি নুন খাওয়ার
  2. জন্য প্রেসার বাড়তে পারে।
  3. ৩) ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রেসার বাড়ে।
  4. ৪) শারীরিক পরিশ্রম না করে বসে বসে থাকলে ওজন বাড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে রক্তচাপ।
  5. ৫) মানসিক চাপ বা উত্তেজনা বাড়লে অ্যাড্রেনালিন গ্রন্থি থেকে নরঅ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।

কোনও একটা ব্যাপারে মাত্রাতিরিক্ত চিন্তা করে করে চাপ বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে নিজেই সচেষ্ট হলে স্ট্রেসকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেন। যে ভাবে সরিয়ে রাখবেন- 

১) নিয়মিত সঠিক এক্সারসাইজ করা। নিজে নিজে ভুলভাল কিছু না করে ট্রেনারের কাছে গিয়ে এক্সারসাইজ শিখলে ভাল হয়। এক্সারসাইজ করলে কিছু হ্যাপি হরমোন ক্ষরণ হয়। যার থেকে একটা ফিল গুড এফেক্ট আসে। অলসতা, ক্লান্তি দূর হয়। শরীর ঝরঝরে লাগে।

 ২) হেলদি লাইফস্টাইলে খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল খাওয়াদাওয়া। স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। জাঙ্কফুড, প্যাকেট ফুড একেবারে চলবে না। এতে ওজন বাড়ে। ওজন বাড়লে রক্তের চাপও বাড়ে। বরং মরসুমি ফল আর শাকসব্জি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল নার্ভকে উজ্জীবিত করে। ফলে মন তরতাজা হয়। প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। জল শরীরের টক্সিন বের করে দেয়। 
৩) সারা দিনে ছয়-সাত ঘণ্টা ঘুম খুব জরুরি। ঘুমের ব্যাঘাত হলে সেটাকে আয়ত্তে নিয়ে আসতে হবে। দরকারে ডাক্তারের পরামর্শমতো স্ট্রেস কমানোর ওষুধ খেয়ে ঘুমকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ বায়োলজিকাল ক্লক ঠিক করতে হবে। শুধু ওষুধ নয়, নির্বিঘ্ন ঘুমের কিছু রেসিপি বা টোটকা আছে। সেগুলি মেনে চললে ভাল ঘুম হয়।
(আরো অনেক উপায় আছে।  যেমন -নিয়মিত ঘুম দেওয়া, নিয়মিত ওষুধ খাওয়া)
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Ronu

Call
বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ ভুগছে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও এখন ছড়িয়ে পড়ছে এ সমস্যা।
২০-৩০ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে এ সমস্যা বাড়ছে ক্রমবর্ধমান হারে। যদি আপনার রক্তচাপ টানা ১২০-১৮০ মিমিএইচজি এর ওপরে থাকে, তাহলে আপনার এখনই কোনো কার্ডিয়াক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সঠিক যত্ন ও মনোযোগের অভাবে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন ধমনীকে সঙ্কুচিত করে। এ ছাড়া রক্ত ​​প্রবাহ সীমিত এমনকি স্ট্রোকও হতে পারে।
তবে সঠিক খাদ্যগ্রহণ আপনার হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এখান শীতকাল। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তাজা সবজি। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনার খাদ্য তালিকায় এই পাঁচ সবজি রাখতে পারেন।
১।
গাঁজর
গাজরে রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম। পটাসিয়াম আপনার রক্তনালী ও ধমনীর উত্তেজনা হ্রাস করবে। এটি সোডিয়ামের ক্ষতিকর প্রভাবও কমাবে। এথেরোসক্লেরোসিস এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়। স্যুপ, ভাপে সিদ্ধ কিংবা অন্যান্য সবজির সঙ্গে এটি খেতে পারেন।
২।
বিটমূল
বিটমূলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নিম্ন রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর ভিটামিন বি স্নায়ুর কার্যকারিতাকে উন্নত করে। গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বিটমূল নাইট্রিক অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন করে। এই গ্যাস রক্তনালীকে শিথিল ও প্রসারিত করতে সহায়তা করে। ফলে রক্ত ​​প্রবাহ আরো উন্নত হয় এবং সাময়িকভাবে রক্তচাপ কমে। এসব উপকারের জন্য বিটমূল জ্যুস হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে।
৩।
পালং শাক
পালং শাকে রয়েছে পটাসিয়াম ও লুটিন। লুটিন ধমনীর ঘন হয়ে যাওয়াকে বাধা দেয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এতে থাকা ফোলেইট, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পালং শাকে ক্যালোরি অনেক কম। সালাদ কিংবা স্যান্ডউইচেও এই শাক খেতে পারেন।
৪।
মূলা মূলায়ও রয়েছে পটাসিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ। এটি সালাদে ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া মূলা দিয়ে হতে পারে সুস্বাদু স্যুপও।
৫।
মেথি মেথি পাতা ও মেথি বীজ দুটোতেই রয়েছে দ্রবণীয় আঁশ যা কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সহায়তা করে, বিশেষ করে এলডিএল। এমন আঁশযুক্ত খাবার রক্তচাপের মাত্রা ঠিক রাখে। মেথি পাতা এবং বীজে সোডিয়ামও অনেক কম।
6।
কলা
কলা খাওয়া মাত্র দৈনিক পটাশিয়ামের চাহিদার প্রায় ১২ শতাংশ পূরণ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ১ শতাংশ ক্যালসিয়াম এবং ৮ শতাংশ ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদাও পূরণ হয়। ফলে দেহে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে কমে রক্ত চাপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও।
7।
লবণ
লবণ খেলে রক্তনালীর রক্তের ঘনত্ব ও চাপ বেড়ে যায়। ফলে রক্ত চাপ বেড়ে যায়। তবে শুধুমাত্র লবণ নয় প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলেও রক্ত চাপ বাড়ে। ব্লাড প্রেশার অ্যাসোসিয়েশনের মতে সল্টেড বিস্কুট, সকালের নাস্তার সেরেল ও রেডিমেড মোড়কজাত খাবারে প্রাত্যহিক আমরা যা লবণ গ্রহণ করি তার ৮০% থাকে। তাই প্রতিদিন খাবারের সাথে লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন। আর ভাতের সাথে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।
8।
ধূমপান
ধূমপান করলে শরীরে নিকোটিনের প্রভাবে অ্যাড্রেনালিন উৎপন্ন হয়। ফলে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন বেড়ে যায় এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ