হাশরের মাঠে বিচারের দিনে মহানবী(সাঃ) ছাড়া আর কেউ সুপারিশ করতে পারবেন?দলিলসহ জানাবেন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

হ্যাঁ, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়াও হাশরের ভয়াবহ মাঠে সুপারিশ করার অধিকার থাকবে অল্প সংখ্যক মানুষের। মহান আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে একে অপরের জন্য সুপারিশ করতে পারবেন। হাদিসে এর অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। তবে এ সুপারিশের ক্ষমতা পাওয়ার জন্য কিছু শর্তের বাস্তবায়ন লাগবে। যেমন-
আল্লাহর অনুমতি

সুপারিশের জন্য প্রথমত আল্লাহর অনুমতি লাগবে। তার অনুমতি ছাড়া কেউ সুপারিশ করতে পারবে না। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে- কে সেই ব্যক্তি যে, আল্লাহ তায়ালার অনুমতি ব্যতিত তার কাছে সুপারিশ করবে? [সুরা বাকারা : আয়াত ২৫৫]
আল্লাহর সন্তুষ্টি

সুপারিশের দ্বিতীয় শর্ত হলো- সুপারিশকারী ও যার জন্য সুপারিশ করা হবে, তাদের উভয়ের উপর আল্লাহর সন্তুষ্টি থাকতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘শুধু তাদের জন্য সুপারিশ, যাদের উপর আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট।’ [সুরা আম্বিয়া : আয়াত ২৮]

ঈমানদার হওয়া

সুপারিশের তৃতীয় শর্ত হলো- ঈমানদার হওয়া। কাফেরদের জন্য সুপারিশ নেই। সে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে, কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। কেউ তাদের জন্য সুপারিশ করলে তা গ্রহণীয় হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘আর সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোনো উপকারে আসবে না।’ [সুরা মুদ্দাসসির : আয়াত ৪৮]
উল্লিখিত তিন শর্ত পাওয়া যাওয়ার ভিত্তিতে নবী, ওলী, শহিদ, সৎ আলেম ও হাফেজগণ সুপারিশ করার অনুমোদন পেয়ে থাকবেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ঈমানদার হিসেবে কবুল করে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনসহ হাশরের মাঠে শাফায়াতের অনুমতি লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

তথ্যসূত্র: এখানে দেখুন৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

কুরআন কিয়ামতের দিন সুপারিশকারী হবে।- ইবনে হিব্বান; হাদিস নং ১২৪

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কেয়ামতের ভয়াবহ ও সঙ্কটময় কালে সাধারণ মানুষ যখন আতঙ্কগ্রস্ত ও ভীত- সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে, তখন কেবল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলবেন, হে আল্লাহ পাক! আপনি আমার উম্মতকে মাফ করুন। তিনিই সর্বপ্রথম শাফায়াত করার অনুমতি প্রাপ্ত হবেন। এটাই শাফায়াতে কুবরা। যেমন মহান আল্লাহ পাক বলেন, কে সে, যে তার অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে। (বাকারা-আয়াতঃ ২৫৫)। আম্বিয়া, আউলিয়া, শুহাদা, বুযুর্গ, পীর দরবেশ, সাধারণ মোমিনদের শাফায়াত। উনারাও আল্লাহ পাক উনার কাছ থেকে শাফায়াত করার অনুমতিপ্রাপ্ত হবেন। এটাকে শাফায়াতে সুগরা বা শাফায়াতে আম্মা বলা হয়। কুরআনে মহান আল্লাহ তাআলা বলেনঃ সেদিন শাফায়াত কার্যকর হবে না, অবশ্য স্বয়ং রহমান কাউকে উহার অনুমতি দিলে এবং তার কথা শুনতে পছন্দ করলে অন্য কথা। (সূরা ত্বাহাঃ ১০৯) তিনি যার উপর সন্তুষ্ট তিনি ছাড়া আর কেউ তাঁর নিকট সুপারিশ করতে সক্ষম নয়। (সূরা আম্বিয়া, ২১-২৮) যেদিন ‘রূহ’ ও ফিরিস্তারা কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়াবে, কেহই কোন কথা বলবে না- সে ব্যতীত, যাকে পরম দয়াময় অনুমতি দিবেন এবং যে যথাযথ কথা বলবে। (সূরা নাবাঃ ৩৮) দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন এবং যার কথায় সন্তুষ্ট হবেন সে ছাড়া কারও সুপারিশ সেদিন কোন উপকারে আসবে না। (সূরা ত্বোহাঃ ১০৯) শাফায়াতের জন্য ৩ টি শর্ত রয়েছে। ১. শাফায়াত কারীর উপর আল্লাহর সন্তুষ্টি থাকা। ২. যার জন্য সুপারিশ করা হবে, তার উপরও আল্লাহর সন্তুষ্টি থাকা। ৩. শাফায়াতকারীর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে শাফায়াত করার অনুমতি থাকা। যা আল্লাহ পাক কুরআনে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ