আমি শুনেছি যে ইসলামে ৪ টার বেশি বিয়ে করা হারাম।যদি তাই হয় তবে রাসুল সাঃ কেন ১১ টা বিয়ে করলেন?শরীয়তের বিধান তো সবার জন্য সমান।আমাদের উপর ৫ ওয়াক্ত নামাজ যেমন ফরজ রাসুল সাঃ এর উপরেও তো তাই ছিল।তো এক্ষেত্রে কেন বৈষম্য?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Junait

Call

 ২৫ বছর বয়সে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর সাথে আরবের তৎকালীন বিশিষ্ট ধনী এবং সম্মানিত ব্যক্তিত্ব খাদিজার বিয়ে হয়। খাদিজা ছিলেন তাঁর প্রথম স্ত্রী। তাদের বৈবাহিক জীবন প্রায় ২৪ বছর স্থায়ী হয়। এরপর খাদিজা মৃত্যুবরণ করেন। খাদিজার জীবদ্দশায় তিনি আর কোন স্ত্রী গ্রহণ করেননি। মুসলিম জীবনীকারদের বর্ণনামতে, খাদিজার মৃত্যুর পর নবী আরও ১০ জন (মতান্তরে ১২ জন) স্ত্রী গ্রহণ করেন। অর্থাৎ তার স্ত্রীর সংখ্যা সর্বমোট ১১ জন (মতান্তরে ১৩ জন)। ইসলামে এককালীনভাবে চারটির অধিক বিয়ে নিষিদ্ধ হলেও কুরআনের সূরা আহযাবের ৫০-৫২ আয়াত অনুযায়ী মুহাম্মাদ চারটির অধিক বিয়ের অনুমতিপ্রাপ্ত ছিলেন। স্ত্রীদের মধ্যে শুধুমাত্র আয়েশা ছিলেন কুমারী। বাকি সব স্ত্রী ছিলেন বিধবা । মুহাম্মাদের জীবনকে প্রধান দুইটি অংশে ভাগ করা হয়: মক্কী জীবন এবং মাদানী জীবন। মক্কী জীবনে তিনি দুইজনকে বিয়ে করেন। তার বাকি সবগুলো বিয়েই ছিলো মাদানী জীবনে তথা হিজরতের পরে। মুহাম্মদের বৈবাহিক জীবনে তালাক ছিল না। এ কারণে কুরআনে তালাক সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা রয়েছে।



মুহাম্মদ (সঃ) যে একাধিক বিবাহ গুলো করেছিলেন তা যৌনচার বা এ ধরনের কোনো মনমানসিকতা নিয়ে বিবাহ করেন নি যদি তাই হতো তাহলে তালাকপ্রাপ্ত নারীদের বিবাহ করতেন না।  তিনি এতোগুলো বিবাহ করেছেন শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মের কল্যাণের জন্যে। 

অার ভাই, আপনি এইটা নীতিবাচক ভাবে কি যুক্তি দেখালেন..?

তাঁর অন্যন্য চরিত্রের সাথে নিজেকে মিলিয়েছেন কখনোও..?

তিনি তো নবী ছিলেন আপনি কি..?

বিশ্বের মুসলিম, ননমুসলিম সারাবিশ্বের মানুষের কোনো সন্দেহ

নেই যে তিনি চারিত্রিক দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ মানব। 



ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ