শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Emranhasmi

Call

চাশতের নামাজের রাকাআত ও পড়ার সময়সূর্য একটি বল্লমের সমান তথা ১ মিটার পরিমাণ ওপরে উঠার পর এ নামাজ পড়তে হয়। অর্থাৎ সুর্যোদয়ের পর ইশরাক নামাজ আদায়ের সময় থেকে শুরু করে দ্বিপ্রহরের আগ পর্যন্ত এ নামাজ পড়া যায়।


আরববরা বলত, ‘চাশতের নামাজের সর্বোত্তম সময় হলো- সূর্যোদয়ের পর উটের বাচ্চা যখন গরম অনুভব করে; সে সময়টি হলো চাশতের নামাজের সময়।


চাশতের নামাজ কমপক্ষে ২ রাকাআত পড়তে হয়। বেশির কোনো সীমা নেই। তবে কেউ কেউ ১২ রাকাআতের কথা উল্লেখ করেছেন। সুতরাং প্রতিদিন সাধ্যমত ২, ৪ বা সময় সাপেক্ষে আরো বেশি পড়া 

যেতে পারে।

 

সংগ্রহ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

চাশতের নামায মুস্তাহাব নফল। এই নামাযের রয়েছে বিরাট মাহাত্ম ও সওয়াব। স্বালাতুয-যুহা বা চাশতের নামাযের সময় শুরু হয় সূর্য যখন দর্শকের চোখে এক বর্শা পরিমাণ উপরে ওঠে। অর্থাৎ সূর্য ওঠার মোটামুটি ১৫ মিনিট পরে এই নামায পড়া যায়। (ইবনে উষাইমীন ৪/১২২) আর শেষ হয় সূর্য ঢলার আগে। তবে উত্তম হল, সূর্য পূর্বাকাশে উঁচু হওয়ার পর যখন মাটি গরম হতে শুরু করবে তখন এই নামায পড়া। মহানবী (সাঃ) বলেন, সূর্য উঠে গেলে তারপর নামায পড়। কারণ, এই সূর্য মাথার উপর আসার আগে পর্যন্ত' সময় নামায কবুল হয় এবং তাতে ফিরিশতা উপস্থিত থাকেন। (আহমাদ, মুসনাদ, ইবনে মাজাহ, সুনান, হাকেম, মুস্তাদরাক, জামে ৬৬৩) আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাআতে পড়ে, অতঃপর সূর্যোদয় অবধি বসে আল্লাহর যিকর করে তারপর দুই রাকআত নামায পড়ে, সেই ব্যক্তির একটি হজ্জ ও উমরার সওয়াব লাভ হয়। বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর রসূল (সাঃ) বললেন, পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ। অর্থাৎ কোন অসম্পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব নয় বরং পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব। (তিরমিযী, সুনান, সহিহ তারগিব ৪৬১) শুরূক্ব অর্থ সূর্য উদিত হওয়া। ইশরাক্ব অর্থ চমকিত হওয়া। যোহা অর্থ সূর্য গরম হওয়া। এই সালাত সূর্যোদয়ের পরপরই প্রথম প্রহরের শুরুতে পড়লে একে সালাতুল ইশরাক্ব বলা হয় এবং কিছু পরে দ্বিপ্রহরের পূর্বে পড়লে তাকে সালাতুয যোহা বা চাশতের ছালাত বলা হয়। প্রকাশ থাকে যে, এই নামাযকে তার প্রথম ওয়াক্তে সূর্য এক বর্শা বরাবর উপরে উঠার পর পড়লে ইশরাকের নামায বলা হয়। এই সালাত বাড়ীতে পড়া মুস্তাহাব। এটি সর্বদা পড়া এবং আবশ্যিক গণ্য করা ঠিক নয়। কেননা আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কখনও পড়তেন, কখনো ছাড়তেন। বুরাইদা আসলামী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, মানুষের শরীরে ৩৬০টি জোড় রয়েছে। অতএব মানুষের কর্তব্য হল প্রত্যেক জোড়ের জন্য একটি করে ছাদাক্বা করা। ছাহাবীগণ বললেন, কার শক্তি আছে এই কাজ করার, হে আল্লাহর নবী? তিনি বললেন, চাশতের দুই রাকআত সালাতই এজন্য যথেষ্ট। চাশতের সালাতের রাকআত সংখ্যা ২, ৪, ৮, ১২ পর্যন্ত পাওয়া যায়। মক্কা বিজয়ের দিন দুপুরের পূর্বে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) হযরত আলী (রাঃ)-এর বোন উম্মে হানীর গৃহে খুবই সংক্ষিপ্তভাবে ৮ রাকআত পড়েছিলেন। প্রতি দুই রাকআত অন্তর সালাম ফিরাতে হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ