চার রাকাত বিশিষ্ট সুন্নতে যায়েদার প্রথম বৈঠকে শুধু তাশাহুদ পড়তে হবে। জনাব! তিন বা চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাযের প্রথম বৈঠকে শুধুমাত্র তাশাহুদ পাঠ করবেন এটাই উত্তম। যদি কেউ এরপর দরূদ পাঠ করে তবেও কোন অসুবিধা নেই। বিদ্বানদের মধ্যে কেউ কেউ এটাকে মুস্তাহাব বলেছেন। কিন্তু সর্বস্তরের আলেমের সর্বশুদ্ধ মত হচ্ছে নামাযের প্রথম বৈঠকে শুধুমাত্র তাশাহুদ পাঠ করবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যখন তোমরা নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ শেষ করবে, তখন আল্লাহর নিকট চারটি বিষয় হতে পানাহ চাইবেঃ (১) জাহান্নামের আযাব হতে, (২) কবরের আযাব হতে, (৩) জীবিত ও মৃত্যুকালে যাবতীয় ফিতনা হতে এবং (৪) দাজ্জালের ক্ষতি হতে। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ পবিত্র সত্তা ছাড়া কেউ তা স্পর্শ করতে পারে না। (সূরা ওয়াকিয়াঃ আয়াত ৭৯) অনেকেই বলেছেন আয়াতের উদ্দেশ্য এই যে, এটাকে এমন লোক, যারা হাদসে-আসগর ও হাদসে আকবর থেকে পবিত্র তারা ব্যতীত কেউ যেন স্পর্শ না করে। ওযু ছাড়া অবস্থাকে হাদসে-আসগর বলা হয়। ওযু করলে এই অবস্থা দূর হয়ে যায়। পক্ষান্তরে বীর্যস্থলনের কিংবা স্ত্রীসহবাসের পরবর্তী অবস্থা এবং হায়েয এবং নেফাসের অবস্থাকে হাদসে-আকবর বলা হয়। কিন্তু আয়াত থেকে এর সপক্ষে দলীল নেয়া খুব শক্তিশালী মত নয়। কিন্তু বিভিন্ন হাদীস থেকে এ মতের পক্ষে দলীল পাওয়া যায়। যেমন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআন সাথে নিয়ে কাফের দেশে সফর করতে নিষেধ করেছেন, যাতে তা কাফেরদের হাতে না পড়ে। (বুখারীঃ ২৯৯০) অন্য হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমর ইবনে হাযমের কাছে লিখে পাঠিয়েছিলেন যে, কুরআনকে যেন পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ স্পর্শ না করে। (মুয়াত্তা মালেক: ১/২৯৯) এ ব্যাপারে আলেমগণ একমত যে, হাদসে আকবর অবস্থায় কোনভাবেই কুরআন স্পর্শ করা যাবে না। কোরআন আর মোবাইলের মর্যাদা এক নয়। মোবাইলে দৃশ্যমান কোরঅান ওযু বিহীন স্পর্ষ করা যাবে এতে কোন সমস্যা নেই।