গায়রে মাহরাম সকল পুরুষের সামনে যাওয়া-ই নারীদের জন্য ইসলামী শরীয়তে জায়েজ নয়। আর স্ত্রীর শরীর অন্য পুরুষ স্পর্শ করা হারাম কার্যকলাপে গন্য হয়। একজন পরপুরুষ একজন মহিলাকে স্পর্শ করলে তা যিনার শামিল হয়ে যায়। ইসলামে এমন কার্যকলাপকে কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে। ইসলামে পুরুষের জন্য বিধান হচ্ছে, তারা নিভৃতে কোনো নারীর সঙ্গে আলাপ করবে না এবং শরীর স্পর্শ করতে পারবে না, সে যতই নিকটতম বন্ধু বা আত্মীয় হোক না কেন। উকবা বিন- আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, সাবধান! নিভৃতে নারীদের নিকটে যেয়ো না (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি) অন্য এক হাদিসে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোনো নারীর নিকটে যেয়ো না। কারণ শয়তান তোমাদের যেকোনো একজনের মধ্যে রক্তের ন্যায় প্রবাহিত হবে (তিরমিজি) এ ছাড়া পরনারীকে স্পর্শ করলে পরকালে তার জন্য কঠিন শাস্তির বিধানের কথা উল্লেখ করে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন, যদি কেউ এমন কোনো নারীর হস্ত স্পর্শ করে, যার সঙ্গে তার কোনো বৈধ সম্পর্ক নেই, তাহলে পরকালে তার হাতের ওপর জ্বলন্ত আগুন রাখা হবে। এই হাদিস দ্বারা পুরুষকে অন্য নারীকে স্পর্শ না করার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি দৃষ্টিসীমা সংযত রাখার বিধানে আল-কোরআনে বলা হয়েছে, হে নবী! মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনমিত রাখে এবং যৌন পবিত্রতা রক্ষা করে চলে। এটাই তাদের জন্য পবিত্রতম পন্থা। নিশ্চয়ই তারা যা কিছুই করে, আল্লাহ তৎসম্পর্কে পরিজ্ঞাত (সুরা নূরঃ ৩০) এই আয়াত দ্বারা পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে আল্লাহ পুরুষদের দৃষ্টি সংযত রাখার আদেশ করেছেন। এটা নারীর ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য। অপরিচিত নারীর রূপ ও সৌন্দর্য-শোভা দর্শন করে আনন্দ উপভোগ করা পুরুষের জন্য অনাচার সৃষ্টিকারী। আর অনাচার বিপর্যয়ের সূচনা স্বাভাবিক ও প্রকৃতিগতভাবে দৃষ্টি বিনিময়ের মাধ্যমে হয়। এ জন্য সর্বপ্রথম এই পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।