Call

হ্যাঁ, বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থা ইসলামিক শরীয়ত অনুসারে অবৈধ।

নারী নেতৃত্ব এর অন্যতম কারণ। ইসলামিক শরীয়ত অনুসারে কোনো নারী নেতৃত্ব যায়েয নয়।

    আবু বকর (রা) থেকে বিবৃত যে নবি(স) যখন শুনেছিলেন যে পারস্য সম্রাজ্যে একজন নারী নেতৃত্ব দিচ্ছে তখন তিনি বলেছিলেন, "কোনো জাতি নারী নেতৃত্বাধীন অবস্থায় উন্নতি করতে পারবে না।"

 যেখানে বাংলাদেশে অধিকাংশ সময়ই নারী নেতৃত্বাধীন রয়েছে।

আবার গণতন্ত্রও ইসলামিকভাবে অবৈধ। একমাত্র খিলাফত শাসনই ইসলামে বৈধ। সেভাবেও বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা ইসলামিকভাবে অবৈধ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্হা ইসলামে অবৈধ হওয়ার কারণ হলঃ নারীকে প্রধান বানিয়ে তার অধীনে কাজ করা জায়েজ নয়।তবে সহযোগী হিসেবে পর্দার সাথে কাজ করতে কোন অসুবিধা নেই।{ফাতাওয়া মুফতী মাহমুদ-১১/৩৭৪-৩৭৫} ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺑﻜﺮﺓ ﻗﺎﻝ : ﻋﺼﻤﻨﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﺸﻲﺀ ﺳﻤﻌﺘﻪ ﻣﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻟﻤﺎ ﻫﻠﻚ ﻛﺴﺮﻯ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﺍﺳﺘﺨﻠﻔﻮﺍ ؟ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺍﺑﻨﺘﻪ ﻓﻘﺎﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻟﻦ ﻳﻔﻠﺢ ﻗﻮﻡ ﻭﻟﻮ ﺃﻣﺮﻫﻢ ﺍﻣﺮﺃﺓ ‏( ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ - ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻔﺘﻦ، ﺑﺎﺏ ﻣﻦ ﺑﺎﺏ ﻣﺎ ﺟﺎﺀ ﻓﻲ ﻻﻧﻬﻲ ﻋﻦ ﺳﺐ ﺍﻟﺮﻳﺎﺡ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 2262- হযরত আবু বাকরা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-যখন কিসরা পদানত হল তখন তাকে বলতে শুনেছি-কে তার পরবর্তী খলীফা? বলা হল-তার মেয়ে। তখন রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন-সে জাতি সফলকাম হয় না, যাদের প্রধান হল নারী। {সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২২৬২, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৬৮৬, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৫৯৩৭, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪৯০৭} ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻭﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﺃﻣﺮﺍﺅﻛﻢ ﺷﺮﺍﺭﻛﻢ ﻭﺃﻏﻨﻴﺎﺅﻛﻢ ﺑﺨﻼﺀﻛﻢ ﻭﺃﻣﻮﺭﻛﻢ ﺇﻟﻰ ﻧﺴﺎﺋﻜﻢ ﻓﺒﻄﻦ ﺍﻷﺭﺽ ﺧﻴﺮ ﻟﻜﻢ ﻣﻦ ﻇﻬﺮﻫﺎ ‏( ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ - ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻔﺘﻦ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ، ﺑﺎﺏ ﻣﻦ ﺑﺎﺏ ﻣﺎ ﺟﺎﺀ ﻓﻲ ﻻﻧﻬﻲ ﻋﻦ ﺳﺐ ﺍﻟﺮﻳﺎﺡ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 2266- হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যখন তোমাদের নেতারা তোমাদের মাঝের বদলোক হয়। আর তোমাদের ধনীরা হয় কৃপণ, আর তোমাদের কর্মকর্তা হয় মহিলা। তাহলে জমিনের পেট তার পিঠের তুলনায় তোমাদের জন্য উত্তম। [অর্থাৎ মৃত্যু তোমাদের জন্য উত্তম জমিনের উপরে বেঁচে থাকার চেয়ে।] {সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২২৬৬}

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কোনো ইসলামী রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দানের দায়িত্ব কোনো নারীর হাতে সোপর্দ করা জায়েয নয়। ইসলামে নারী নেতৃত্ব নাজায়েয হওয়ার শরয়ী দলিল হলোঃ এমন জাতি কখনো সফলকাম হবে না যারা তাদের নেতৃত্বের দায়িত্বভার কোন মহিলার ওপর অর্পণ করে। (সহীহ বুখারীঃ ৪৪২৫) পুরুষরা নারীদের কর্তা, কারণ আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। (আন-নিসাঃ ৩৪) আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত শ্রেষ্ঠত্ব, আল্লাহ তাআলা নিজেই পুরুষদেরকে মহিলাদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। পুরুষদের দৈহিক শক্তি, কর্মক্ষমতা, সাহস ও ধৈর্য ইত্যাদি নারীদের থেকে বহুগুণে বেশি দিয়েছেন। ফলে পুরুষদের দ্বারা যে কাজ হয় নারীদের দ্বারা সেরূপ কাজ হয় না। এজন্য নবুওয়াত কেবল পুরুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। অনুরূপভাবে রাজত্ব পরিচালনা করাও পুরুষদের হাতেই। কারণ পুরুষের শাসনে রাষ্ট্রে যে নিয়ম-শৃঙ্খলা বহাল থাকবে, নারী পরিচালিত রাষ্ট্রে তা বহাল থাকবে না। তাই যখন রূমবাসী তাদের প্রেসিডেন্ট মহিলাকে নির্বাচিত করল তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, এমন জাতি কখনো সফলকাম হবে না যারা তাদের নেতৃত্বের দায়িত্বভার কোন মহিলার ওপর অর্পণ করে। (সহীহ বুখারীঃ ৪৪২৫) সূরা আহযাবে আল্লাহ তাআলা একজন নারীর কাজ কর্মের গন্ডিসীমা পরিষ্কার ভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে- তোমরা তোমাদের নিজ নিজ ঘরে আবদ্ধ হয়ে থাকো এবং পূর্বের জাহেলী যুগের প্রদর্শনের ন্যয় নিজদেরকে প্রদর্শন করে বেড়িও না। (সূরা আযহাবঃ ৩৩) এ আয়াতে পরিষ্কার করে বলে দেয়া হয়েছে যে, নারী জাতির আসল দায়িত্ব হল গৃহের দায়িত্ব। তার কর্তব্য হল, গৃহের বাহিরের কষ্ট পরিশ্রম ও সংগ্রাম থেকে নিজকে গুটিয়ে নিয়ে নিজ গৃহের সংশোধন এবং পরিবারের তরবিয়ত প্রতিপালন-পরিচর্যার মত ফরয কাজটিকে আনজাম দেয়া, যা মূলতঃ গোটা জাতি ও জীবন সংসারের বুনিয়াদ। তাই স্বতন্ত্র অবস্থাগুলো ছাড়া উসূল ও নীতিগত ভাবে গৃহের বাহিরের কোনো দায়িত্ব নারীর হাতে সোপর্দ করা যেতে পারে না। এজন্য-ই বাংলাদেশের সরকার একজন নারী হওয়ার কারনে এদেশের শাষন ব্যবস্থা ইসলামে অবৈধ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ