ইতিহাস থেকে এটা প্রমাণিত যে – উটের যুদ্ধে হযরত আয়েশা (রাঃ) নেতৃত্ব দিয়েছিলেন । আর সহজ কথায় এটা বলা যায় যে, আয়েশা (রাঃ) এর নৈতিক ও সশরীরে অংশগ্রহন ছাড়া ৩০ হাজার সৈন্যের একটা বাহিনী খলিফা আলী (রাঃ) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে অগ্রসর হত না । আর তালহা (রাঃ) এবং যুবায়ের (রাঃ) চলে যাবার পরেও হযরত আয়েশা রয়ে যান এবং তাঁর উট ভূপাতিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলে ।

এই যুদ্ধের ইতিহাস থেকে আমরা পাই যে , হযরত আয়েশা (রাঃ) এর পক্ষের অসংখ্য সাহাবী (রাঃ)  গন তাঁর নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন । তালহা (রাঃ) এবং যুবায়ের (রাঃ) যুদ্ধে অংশ না নিলেও আয়েশা (রাঃ) এর নেতৃত্বে বসরায় এসেছিলেন ।

অর্থাৎ অসংখ্য সাহাবী (রাঃ) একজন নারীর নেতৃত্ব মেনে নিয়েছিলেন । নারী নেতৃত্ব যদি প্রশ্নাতীতভাবে সর্বাবস্থায় (পুরুষের ওপরে) ‘হারাম’ হয়ে থাকে , তাহলে কি হযরত আয়েশা(রাঃ) এবং তালহা(রাঃ) ও যুবায়ের (রাঃ) সহ অন্যান্য সাহাবাগন হারাম কাজ করেছিলেন।


এছাড়াও তিনি খলিফার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন , তার ফলে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবী তালহা(রা), যুবায়র (রাঃ) সহ  প্রায় ১০ হাজার সাহাবী শহীদ হয়েছিলেন ।

ইসলামীয়া ইতিহাস : একাদশ শ্রেনী


সুতরাং আলী (রা.) এর বিরুদ্ধে আয়শা (রা) এর যুদ্ধ সম্পূর্ণ অবৈধ ছিল।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ