Call

দুনিয়ার প্রতিটি কাজে ভালোবাসা রাখতে হবে আল্লাহর জন্য আবার ঘৃণাও করতে হবে আল্লাহর জন্য। এর অর্থ হলো এই যে, এমন কাজ করতে হবে, যা করলে আল্লাহ খুশী হবেন, ভালো কাজ করা ব্যক্তিকেও ভালোবাসাতে হবে আল্লাহর জন্য। আবার গোনাহের কাজে উৎসাহ বা প্রেরণাদানকারী ব্যক্তিকে বা কাজকে ঘৃণাও করতে হবে আল্লাহর জন্য। যদি কেউ আল্লাহর কথা ও কাজের বিপরীতে চলা ব্যাক্তিকে ভালোবাসে তবে তা হবে মুমিন মুসলমানের জন্য জুলুমস্বরূপ। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা ইসলামে বিরোধীতাকারী খ্রিস্টান ও ইয়াহুদিদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, "হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন গণ্য হবে।" (সুরা মায়িদাহ, আয়াত নং ৫১)। এছাড়াও, রাসূল (সঃ) তাঁর প্রতিটি কাজ ডান থেকে করতে বা ভালোভাবে করতে ভালোভাবে করতে ভালোবাসতেন, এজন্য ইসলামে ভালো কাজ সর্বাধিক উত্তম। আর রাসূল (সঃ) খারাপ কাজ,কথা, ও অভ্যাস সবকিছুই চরম পরিমানে অপছন্দ করতেন, তাই ইসলামে সকল খারাপ কাজ নিষিদ্ধ৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সকল ভালো কাজ-ই ইসলামে জায়েজ। তথা আল্লাহ তায়ালা ভালো কাজ করতে-ই আদেশ করেছেন। আর এটাই সঠিক পথ এর মাধ্যম-ই সুপথপ্রাপ্ত বা জান্নাত নিশ্চিত হয়। আর সকল মন্দ কাজ ইসলামে নাজায়েজ। আল্লাহ তায়ালা মন্দ কাজ করতে নিষেধ করেছেন। আর এর মাধ্যম-ই মানুষ বিপদগ্রস্ত বা জাহান্নাম নিশ্চিত হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

কথাটির অর্থ:

পবিত্র কুরআনুল কারীমে মহান আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন- 

 وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ

অর্থাৎ আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি। সূরা যারিয়াত: আয়াত ৫৬। এ আয়াত দ্বারা মানব ও জিন সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য হিসেবে যা নির্ধারণ করা হলো তা হলো ইবাদত। আর ইবাদত বলা হয়: আল্লাহ যা নির্দেশ দিয়েছেন তা পালন করা, আর যা করতে নিষেধ করেছেন তা পরিহার করা।এবং এটির মাধ্যমেই ইবাদত বাস্তবতায় রূপ নেই।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লিখিত কথাটির মর্মার্থ হলো মানব সৃষ্টির মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ