আমার এক বন্ধু একটি মেয়ের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করেছে। এবং তার লিঙ্গ মেয়েটির লিঙ্গ স্পর্শ করেছে কিন্তু তার ভিতরে প্রবেশ করান নি। সে কি ব্যভিচারের শাস্তি পাবে। সে অবিবাহিত তার শাস্তি কি ইহকালে ১০০ বেত্রাঘাত হবে। সে অনেক অনুতপ্ত। সে আল্লাহর কাছে তওবা করলে কি ক্ষমা পাবে। উত্তর টি জানা খুবই দরকার। 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
HMMOBAROKBD

Call

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ “কোন বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টি দেওয়া চোখের যিনা, অশ্লীল কথাবার্তা বলা জিহ্বার যিনা, অবৈধভাবে কাউকে স্পর্শ করা হাতের যিনা, ব্যাভিচারের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের যিনা, খারাপ কথা শোনা কানের যিনা আর যিনার কল্পণা করা ও আকাংখা করা মনের যিনা। অতঃপর লজ্জাস্থান একে পূর্ণতা দেয় অথবা অসম্পূর্ণ রেখে দেয়”। সহীহ আল-বুখারী, সহীহ আল-মুসলিম,সুনানে আবু দাউদ, সুনানে আন-নাসায়ী। যিনা হারামঃ আল্লাহ তাআ’লা যিনাকে হারাম ঘোষণা করে বলেনঃ “তোমরা যিনার কাছেও যাবে না। কেননা তা অত্যন্ত নির্লজ্জ এবং খারাপ কাজ”। সূরা বনী ইসরাঈলঃ ৩২। অতঃপর -আপনার বন্ধুর দ্বারা যা হয়েছে তাও জিনার অন্তর্ভুক্ত তাওবা না করলে এরও নির্দিষ্ট শাস্তি আছে৷  যিনাহ/ব্যভিচার ৭ টি জিনিস দিয়ে হয়: ★মন- এখান থেকেই ব্যভিচারের উৎপত্তি। যে ব্যক্তি মনের বিরুদ্ধে চলতে পারে সেই পূর্ণ ঈমানদার মুসলমান হয়। ★চোখ- চোখের ব্যভিচার সবচেয়ে বড় ব্যভিচার্। কারোর প্রতি অসাবধানতাবশত প্রথমবার চোখ পড়লে পাপ হয়না কিন্তু ২য় বার তাকালে বা ১ম বার দৃষ্টির পর সাথে সাথে দৃষ্টি ফিরিয়ে না নিলে যিনা তথা ব্যভিচার হয়। ★জিহ্বা- জিহ্বা দ্বারা ব্যভিচার হয় যখন একজন নর/নারী আরেকজন নর/নারীর সাথে কথা বলে রক্ত ও স্ত্রীর সম্পর্ক ছাড়া। ★কান- এটা দিয়ে ব্যভিচার হয় যখন নর/নারীর কথা শুনা হয়। রক্তের সম্পর্ক থাকলে সমাস্যা নেই। ★হাত- এটা দিয়ে ব্যভিচার হয় যখন কোন বিবাহিত/ অবিবাহিত নর/নারীর শরীরের যেকোন অংশ স্পর্শ বা ধরা হয়। ★পা- এটা দিয়ে ব্যভিচার হয় যখন পায়ে হেটে কাঙ্খিত কোন নর বা নারীর কাছে যাওয়া হয়। ★গুপ্ত অঙ্গ- এটা দিয়েই শুধু ব্যভিচার হয় মানুষ তা ভাবলেও এটার স্থান সবার পরে। কেননা উপরে ৬ টিকে দমন করতে পারলেই এই অঙ্গ হেফাযত করা যাবে। সুসংবাদ এটাই যে,আপনার বন্ধু অনুতপ্ত ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছে৷  যিনা-ব্যভিচার কবিরা গুনাহ। তওবা ব্যতীত এ গোনাহ মাফ হয় না। ব্যভিচারী ব্যক্তি ঐ গর্হিত কর্ম থেকে ফিরে এসার জন্য অনুতপ্ত হয়ে খালেছ অন্তরে তওবা করলে আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন-ইনশাআল্লাহ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সে যেহেতু অনেক অনুতপ্ত। সে আল্লাহর কাছে বিশুদ্ধ তওবা করলে ক্ষমা পাবে ব্যভিচারের শাস্তি পাবে না। তবে শর্ত হচ্ছে, উলামা সম্প্রদায়ের উক্তি এই যে, প্রত্যেক পাপ থেকে তওবা করা ওয়াজেব। তওবা কবুলের জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে। ১। পাপ সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে। ২। পাপে লিপ্ত হওয়ার জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে। ৩। ঐ পাপ আগামীতে দ্বিতীয়বার না করার দৃঢ় সঙ্কল্প করতে হবে। সুতরাং যদি এর মধ্যে একটি শর্তও লুপ্ত হয়, তাহলে সেই তওবা বিশুদ্ধ হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর বিশুদ্ধ তওবা। (সূরা তাহরীম ৮ আয়াত)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ