ভাই আমি একজন মেয়েকে মোবাইলে ৩ জন সাক্ষী এবং একজন  আলেম কে দিয়ে আমার প্রেমিকাকে বিবাহ করেছি। কিন্তু কাগজ কলম না এবং ১ লক্ষ্য টাকা দেন মহর এই বিবাহ কি জায়েজ এবং আমি কি শরিয়াত মোতাবেক তার সাথে সব করতে পারবো? কারন আমি কলেমা পরে আল্লাহ কে সাক্ষী রেখে বিবাহ করেছি মেয়েটা আগে বিবাহিত ছিলো তার সামি তাকে চাই না এবং আমি বিবাহ করেছি কেও আমাকে হেল্প করলে অনেক উপকৃত হতাম কারন আমি একজন মুসলিম একদিন আমার আল্লাহ সামনে দারাতে হবে আমি ভয় পায় ।              
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আপনি যদি সত্যি ঐভাবে বিবাহ সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে তা জায়েজ।কিন্তু বেআইনি।এটাকে আইন বিশ্বাস করবে না কারণ আপনার লিখিত কোনো প্রমাণ নেই।তার উপর মহিলাটির আগের পক্ষের স্বামীর সাথে তালাক হয় নি।এর জন্য আপনার ও মহিলার নামে কেইস হতে পারে ।কারণ একটি স্বামীর সাথে তালাক হবার আগে আরেকটি বিবাহ যা আইন কখনো সমর্থন করে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মোবাইলে বিবাহের প্রশ্ন পরে আসচ্ছে। যেহেতু মেয়েটির আগের স্বামী তালাক হয়নি কাজেই বিবাহ শুদ্ধ হয় কি করে?  কোন বিবাহিত স্বামী ওয়ালী সধবা মহিলাকে বিবাহ করা বৈধ নয়, যতক্ষণ না তার তালাক হয়েছে অথবা তার স্বামী মারা গেছে এবং তার নির্ধারিত ইদ্দত কাল অতিবাহিত হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেছেন, “নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতিত সকল সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ, তোমাদের জন্য এ হল আল্লাহ্‌র বিধান। উল্লেখিত নারীগণ ব্যতিত আর সকলকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধ করা হল; এই শর্তে যে, তোমরা তাঁদেরকে নিজ সম্পদের বিনিময়ে বিবাহের মাধ্যমে গ্রহণ করবে, অবৈধ যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে নয়।” (নিসাঃ ২৪) বিদ্র: মেয়েটির পুবে'র স্বামীকে তালাক দিতে হবে তারপর বিবাহ করুন। তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ভাই দেখুন ইসলামী শরীয়তে বিয়ের জন্য দুইজন সাক্ষী এবং বর ও কনে রাজী থাকলেই বিয়ে হয়ে যায় । কিন্তু যেহেতু মেয়ের আগে বিয়ে হয়েছিল তাই আপনাকে দেখতে হবে তার সাথে তার আগের স্বামীর তালাক হয়েছে কি না ? তালাক হয়ে থাকলে অবশ্যই বিয়ে হবে । কিন্তু আপনাতে কোন এক রেজিস্টারের (কাজী) কাছ থেকে বিয়ের কাবিন রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিবেন । তা না হলে বেআইনি বিয়ের দায়ে আপনার সমস্যা হতে পারে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

প্রথমেই বলি বিয়েতে দুই পক্ষের অভিভাবক রাজী ছিল কি? মেয়েটা আগে বিবাহিত ছিলো তাকে কি তালাক প্রদান করা হয়েছিল বা ইদ্দত পালন করেছিল? উত্তর যদি হয় না। তাহলে আপনাদের এই বিবাহ বৈধ হয়নি। তালাক যে পক্ষ-ই দিক না কেন তালাক প্রাপ্ত নারী দ্বিতীয় বার বিয়ে করতে হলে তিন মাস বা তিন হায়েজ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিয়েতে অভিভাবক রাজী না থাকলে বিয়ে শুদ্ধ হবে না। যেহেতু নবী (সাঃ) বলেছেন, যে নারী তার অভিভাবকের সম্মতি ছাড়াই নিজে নিজে বিবাহ করে, তার বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ) আর এমতাবস্থায় যদি সংসার করেন তাহলে ব্যভিচারে লিপ্ত হবে। এবং পরকালের শাস্তিতো আছেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ