প্রবাদে আছে early to go bed & early to rise... অথাৎ দ্রুত ঘুমাতে যেতে হবে এবং দ্রুত উঠতে হবে। এছাড়া বিশেষজ্ঞরাও তাই বলে যে রাত ১১ পর্যন্ত পড়বে ও ভোরে উঠবে।এটা পড়ার সঠিক নিয়ম। তবে আপনার যদি রাত জাগার অভ্যাস থাকে তবে ঠিক আছে। তবে রাত জাগলে শরীরের হরমোন পরিবর্তন হয় ফলে স্থুলতা,ক্যানসার ছাড়াও অন্যান্য রোগ হতে পারে। তাই আপনি রাত ১২টা পযন্ত পড়ুন ও ভোর ৪টায় উঠবেন ও দুপুরে ১ ঘন্টা ঘুমাবেন।(এটা আমি ফলো করি)
এভাবে আপনি অল্প কয়েকদিন চালালেই শারীরিকভাবে খুব দুর্বল হয়ে পড়বেন। খাওয়ার চেয়ে দেহের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কমপক্ষে আটঘণ্টা নিশ্চিন্ত ঘুম। সেটা বাদ দিয়ে সারাদিন পড়লে ফলাফল ভালো হবে না। প্রকৃতিগতভাবে আমাদের অভ্যাস দিনে কাজ ও রাতে ঘুমানো। তার বিপরীত করার ঠিক হবে না। এভাবে চালালে আপনি যার জন্য পড়ছেন তাতেই ফেইলিউর হবেন। কারণ না ঘুমিয়ে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করায় পড়ায় আপনার মনোযোগ সঠিকভাবে থাকবে না। যা পড়বেন তা ঠিকভাবে কাজ লাগবে না। বেশিদিন এরকম করলে মাইগ্রেনে সমস্যা হয়ে যেতে পারে। আর শীতের সময় রাত জাগায় জ্বরও আসতে পারে। অগির একটা এপিসোড নিশ্চয়ই দেখেছেন যে বক্সিং এর প্রস্তুতির জন্য বব সারারাত, সারাদিন প্রাকটিস করে আর ম্যাচের দিন কোর্টে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এটা থেকে শিক্ষা নিতেই পারেন যে আপনার অবস্থাও কেমন হতে পারে। আপনি রাতে আটঘণ্টা না হোক সাত ঘণ্টা ঘুমান। রিক্রিয়েশনের জন্যও আধঘণ্টা বা এক ঘণ্টা রাখুন। আর খাওয়া, গোসলের জন্য তো দিনে দুই ঘণ্টা যাবেই। তাহলে আরো ১৩ ঘণ্টা বাকি থাকবে যা পড়ার জন্য যথেষ্ট। সেভাবে রুটিন ঠিক করুন। আশা করি ভালো হবে।