আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় জানতে চেয়েছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে আপনার পিতার বর্তমানে অন্য কেউ আপনার বিয়ে দিতে পারবেন না। আইন গত ভাবে আপনি বৈধতা হয়তো পাবেন কিন্তু মেয়ের বিয়েতে তার পিতার সম্মতি ছাড়া অন্য কেউ বিবাহ দিতে পারেন না।আপনি যত দ্রুত সম্ভব পারিবারিক ভাবে বিবাহ সম্পন্ন করতে চেষ্টা করুন। মিয়া বিবি রাজি তো কেয়া কারেগা কাজী ---- এটি ভ্রান্ত ধারনা যা ইসলামের দৃষ্টিতে অগ্রহনযোগ্য। আপনার সুন্দর জীবন কামনা করছি।
ইসলামের দৃষ্টিতে এই বিয়ে বৈধ হয়নি। আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অভিভাবক ব্যতীত বিয়ে সম্পন্ন হতে পারে না। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত কোন মহিলা বিয়ে করলে তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল। (তিরমিজীঃ ১১০২)
ভাই, বিবাহ হালাল হওয়ার জন্য কিছু শর্ত আছে সেই শর্তমুতাবেক যদি আপনি বিবাহ করে থাকেন তাহলে আপনার বিবাহ হালাল হবে ।
শর্ত সমূহঃ
বিয়ের আকদ (চুক্তি) করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালন করতে হবে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা জারী করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: “আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও।” --সূরা নুর। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল।” --হাদিসটি তিরমিযি (১০২১) ও অন্যান্য গ্রন্থকার কর্তৃক সংকলিত এবং --হাদিসটি সহীহ ।
আপনাদের আকদ যদি উভয়েরই সাবালক অবস্থায় হয়, এবং কুফু/সমতা বিধান রক্ষা করেই বিয়ে করেন, তাহলে ইসলামি শরিয়তের আলোকে আপনাদের বিবাহ হালাল হয়েছে৷ আর যদি কুফু/সমতা বিধান রক্ষা না করে থাকেন তাহলে আপনাদের উভয়ের অবিভাবকদেরই ইতেরাজ-আপত্তির অধিকার থাকবে৷ চাইলে তারা বিয়েটা মেনে নিতে পারেন অথবা ফাসখ-বাতিল করে দিতে পারেন৷