বিয়ার পর সংসার কিন্তু আপনার একার না, স্ত্রীরও বটে তাই স্ত্রী যদি নিজ ইচ্ছায় তার সম্পদ সংসারে খরচ করে তবে তাতে সমস্যা নাই। এমনকি আপনি আপনার স্ত্রীকে বলতেও পারেন যে আমার সমস্যা যাচ্ছে, এই সময়ে সে যদি সংসারটা চালিয়ে নেয় তবে ভাল হয়। কিন্তু আপনি তাকে চাপ দিতে পারবেন না। এমনকি তার থেকে টাকা নিয়া (ধার বা লোন বা কিছুদিন পর ফেরত দেব এই বলে) খরচ করে পরে বলবেন স্ত্রীর টাকা ফেরত দেয়া লাগেনা। এমন কাজও করতে পারবেন না। তবে স্ত্রী নিজ ইচ্ছায় দিলে অসুবিধা নাই। তবে এখানে একটি বিষয় হচ্ছে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বা আলাদা থাকার ব্যাপার না থাকলে সকল স্ত্রীই তার সম্পদ সংসারে ব্যবহার করে। স্বামীর জন্য সাহায্য করে।
সংসার চালানোর পূর্ণ দায়িত্ব শরিয়ত স্বামীকে অর্পন করেছে৷ সংসারের খরচাপাতির দায়িত্ব স্ত্রীকে দেয়া হয় নি৷ অতএব তাকে বাধ্য করা যাবে না৷ ঋণ হিসাবে তার থেকে নিতে পারেন৷ যা পরে অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে৷ তবে একটা কথা মনে রাখা দরকার সংসারে পারস্পারিক সহযোগিতা প্রয়োজন তাই স্বামীর বিপদে স্ত্রীর সহযোগিতাই কাম্য৷
স্ত্রী যদি স্ব-ইচ্ছায় দিতে চায় এক্ষেত্রে স্ত্রীর টাকায় বা সম্পদে সংসার চালানো যাবে। দেখুন একটি ঘটনা। হযরত আলী [রাঃ] এর ঘরে খাবার নেই টাকাও নেই । হযরত ফাতিমা [রাঃ] এর চাদর নিয়ে গেছেন বিক্রি করার জন্য। বিক্রি করে খাবার কিনলেন। বিক্রি করলেন ছয় দেরহাম। আসার পথে এক ভিক্ষুক হাত পেতে বসল। ফিরিয়ে দেবেন? না, পুরো ছয় দেরহাম-ই দিয়ে দিলেন তার হাতে। ঘরের ক্ষুদার্থ মানুষের কথা ভাবেননি। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার কুদরত খেয়াল করুন। হযরত জিবরাঈল [আঃ] এক আরব্য গ্রাম্য মানুষের আকৃতিতে এসে হাজির। হাতে একটি উট। আলী [রাঃ] এর সামনে এসে বললেনঃ আলী কিনবে? বাকি চাইলেও দেব। হযরত আলী [রাঃ] একশ দেরহাম দিয়ে কিনে নিলেন। কিছু যাওয়ার পর । হযরত মিকাঈল [আঃ] এর সাথে সাক্ষাত। তিনিও এসেছেন মানুষের বেশে। এসে বললেন, এটি যদি বিক্রি করেন তাহলে আমি একশ ষাট দেরহাম দিয়ে কিনতে রাজি আছি। আলী [রাঃ] বললেন রাজি আছি। এতএব একশ ষাট দেরহাম নিয়ে উট বুঝিয়ে দিলেন। পুনরায় ফিরার পথে সেই প্রতম ব্যাক্তির সাথে দেখা। তাকে দিয়ে দিলেন একশ দেরহাম। ষাট দেরহাম নিয়ে ঘরে ফিরলেন। হযরত ফাতিমা [রাঃ] দেখে তো তাজ্জব। ষাট দেরহাম! কোথায় পেলেন? কিভাবে পেলেন? হযরত আলী [রাঃ] বললেন আল্লাহর সাথে ব্যাবসা করেছি । ষাট দেরহাম লাভ হয়েছে। [সংগ্রহ]