আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে মনে হয়, দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজরের নামাজ সবচেয়ে কমসংখ্যক মুসলমান আদায় করে থাকে। মসজিদে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য নামাজে ৪/৬ কাতার মুসল্লী জামাতে নামাজ আদায় করলেও ফজরের ওয়াক্তে বড়জোর ২ কাতার মুসল্লী মসজিদে আসেন। এর সবচেয়ে বড় কারণ সম্ভবত সকালের ঘুম। আর শুক্রবারের জোহরের নামাজে অর্থাৎ জুম্মার নামাজে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মুসল্লী নামাজ আদায় করে।
যারা খাঁটি ঈমানদার মুসলমান তারা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ-ই আদায় করে। আর যাদের ইবলিশ শয়তান ধোকায় ফেলে তারা গাফলতি করে যেকোন ওয়াক্তের নামাজ কম বেশি কাযা করে যা উল্লেখ করে বলা মুশকিল। তবে ওয়াক্তের নামাজের কাতার গুনলে দেখা যায় ফজরের জামাআতে লোক সংখ্যা কম হয়। কেনো? এই সময় ইবলিশ শয়তান যেন নিজের হাতে বাতাস করে। উক্ত সময়ে ঘুম বেশি ধরে। মাগরিব এবং ইশায় একটু লোক বেশি-ই দেখা যায়!
ফজর নামাযে মানুষের উপস্থিতি কম থাকে৷ এর বহু কারণ রয়েছে৷ তবে কারণগুলো সবই ঘুম কেন্দ্রিক৷ আর সেটা হয় অলসতার কারণে অথবা ঘুমুতে বিলম্ব হওয়ার কারণে৷ অপরদিকে সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি দেখা যায় মাগরিব নামাযে৷ কারণ সারাদিনের ক্লান্তি শেষে মানুষ তখন একটু ফুরসত পায়৷ তাছাড়া সে সময় বেশির ভাগ মানুষ ক্লান্ত থাকে৷ এ অবস্থায় আল্লাহর শ্মরণ বেশি হয়৷ বি,দ্র, কোন মুসলমানের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের কোনটিরই অবহেলা করা উচিত নয়৷ তাতে কবীরা গুনাহ হয়৷ আর একটা কবীরা গুনাহই জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট৷ আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন৷ আমীন৷
আসসালামু আলাইকুম। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে সবচেয়ে কম সংখ্যক মুসল্লি হয় ফজর নামাজে। এর কারন হচ্ছে ঈমানের কমজুরী। যারা মুমিন তারা নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে। রাসুল (স.) বলেছেন, ঘুম নামাজ উত্তম। কিন্তু যারা সত্যিকারের মুমিন নয় তারাই ফজরের নামাজ আদায় করেনা।রাসুল (স.) আরও বলেছেন যারা মুনাফিক মুসল্লি তারা ফজর ও এশার নামাজ আদায় করতে অনীহা করে।সম্ববত তারা ঘুম থেকে উঠে ফজর নামাজ আদায় করতে অবহেলা করে। আর বাকী সব তো আল্লাহ-ই ভালো যানেন। আর বাকি চার ওয়াক্ত মোটামুটি সবাই আদায় করে। আর সবচেয়ে বেশি আদায় করে জুম'আর নামাজ। কারন নামদারী মুসল্লীরা মনে করে যদি অন্তথ জুম'আর নামজও যদি না পড়ি তাহলে আমি কিসের মুসলমান। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ সবার মনের খবর জানেন।।