মাসিক অবস্থায় নামায পড়া, রোযা রাখা, কুরআন পড়া ও ধরা, কাবা তাওয়াফ করা ও মসজিদে প্রবেশ করা ব্যতিত অন্য যে কোন কাজ (ইবাদত) করতে নিষেধ নাই।
আর নাপাকী অবস্থায় অযু করলে উত্তম, এতে পাপের তো কোন প্রশ্নই আসে না। বিস্তারিত দেখুন এখানে
হায়েযের স্থায়িত্ব একেক জনের একেক রকম হয়। এই সময় নারীরা অপবিত্র থাকে, তা থেকে পবিত্র হলেই গোসল এবং অজু করতে হয়। হায়েয অবস্থায় অপবিত্র থাকায় সালাত মাফ এবং পরবর্তীতে এর কাযাও আদায় করতে হয়না। এটা পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার বিশেষ অনুগ্রহ মাত্র। হাদিসে এসেছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত সময় উপস্হিত হবে তখন নামায ত্যাগ করবে। অতঃপর উক্ত সময় অতিবাহিত হলে প্রত্যেক নামাযের পূর্বে রক্ত ধৌত করে ''অজু করে'' নামায আদায় করবে। [সূনান আবু দাউদ, হাদিস নম্বরঃ ২৮৩] ইস্তেহাযা বা রক্তপ্রদর রোগগ্রস্ত মহিলার পবিত্রতা ও তার সালাত প্রসঙ্গ বিধানঃ ফাতিমা বিনতে আবূ হুবায়েশ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি ইস্তেহাযাগ্রস্ত মহিলা ছিলেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, হায়েযের রক্তের পরিচিতি এই যে, তা কাল রং এর হবে। যখন এই ধরনের রক্ত প্রবাহিত হবে তখন নামায ত্যাগ করবে এবং যখন অন্যরূপ রং দেখবে তখন অযু করে ''গোসলান্তে'' নামায আদায় করবে। [সূনান আবু দাউদ, হাদিস নম্বরঃ ৩০৪] রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একাধিক বিশেষজ্ঞ সাহাবী এবং তাবিঈন, সুফিয়ান সাওরী, মালিক, ইবনুল মুবারাক ও শাফিঈ বলেন, হায়িযের সময়সীমা পার হলে গোসল করবে এবং প্রত্যেক নামাযের জন্য নতুন করে ওযু করবে। [হায়েয অবস্থায় পবিত্র থাকা যায়না, তবুও এক্ষেত্রে অযু করতে চাইলে কোন পাপ হবেনা]