জ্বী ওয়াক্ত শুরুর সাথে সাথেই নামাজ পরতে পারবেন তবে জামাতে নামাজ পড়া একা নামাজ থেকে ২৭ গুণ বেশি সওয়াব। حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ আয়াত নং- ১৮ : তোমরা নামাযসমূহের প্রতি যত্নবান হও। বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামায এবং আল্লাহ তাআলার জন্য বিনয়ের সাথে দাঁড়াও। (সূরা বাকারা: আয়াত- ২৩৮) এ আয়াতের তাফসীরে হযরত ইবনে আব্বাস রা. বলেন: {حَافِظُواْ عَلَى الصَّلَوَات} الْخمس بوضوئها وركوعها وسجودها وَمَا يجب فِيهَا فِي مواقيتها “অযু, রুকু, সিজদা এবং নামাযে যা কিছু আবশ্যকীয় রয়েছে সেগুলোসহ নির্দিষ্ট সময়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সংরক্ষণ কর”। (তাফসীরে ইবনে আব্বাস) #সারসংক্ষেপ : এ আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সময়মতো নামায পড়া নামায সংরক্ষণের অংশ এবং আল্লাহ তাআলার নির্দেশ। إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَوْقُوتًا আয়াত নং- ১৯ : মুমিনদের প্রতি নির্দিষ্ট সময়ে নামায আদায় করা ফরয করা হয়েছে। (সূরা নিসা: আয়াত- ১০৩) এ আয়াতের তাফসীরে আল্লামা ইবনে কাসীর রহ. বলেন: يَأْمُرُ اللَّهُ تَعَالَى بِالْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّلَوَاتِ فِي أَوْقَاتِهَا، وَحِفْظِ حُدُودِهَا وَأَدَائِهَا فِي أَوْقَاتِهَا، كَمَا ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ عَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّ الْعَمَلِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: “الصَّلَاةُ عَلَى وَقْتِهَا”. قُلْتُ: ثُمَّ أَيٌّ؟ قَالَ: “الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ”. قُلْتُ: ثُمَّ أَيٌّ؟ قَالَ: “بِرُّ الْوَالِدَيْنِ”. قَالَ: حَدَّثَنِي بِهِنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَوِ استزدتُه لَزَادَنِي #অনুবাদ : আল্লাহ তাআলা সময়মতো নামায সংরক্ষণ, নামাযের সীমারেখা সংরক্ষণ এবং নির্দিষ্ট সময়ে নামায আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। বুখারী-মুসলিমে হযরত ইবনে মাসউদ রা. থেকে যেভাবে বর্ণিত হয়েছে। হযরত ইবনে মাসউদ রা. বলেন: আমি রসূলুল্লাহ স.কে জিজ্ঞেস করলাম: কোন্ আমল সবচেয়ে উত্তম? রসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন, সময়মতো নামায পড়া। আমি পুনরায় বললাম, তারপরে কি? তিনি ইরশাদ করলেন: আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম: তারপরে কী? রসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করলেন: মাতা-পিতার আনুগত্য। হযরত ইবনে মাসউদ রা. বলেন: রসূলুল্লাহ স. আমাকে এগুলো বললেন; যদি আমি আরও বেশী চাইতাম তাহলে তিনি আমাকে আরও বেশী বলতেন। (বুখারী: ৫৫৪৫)
পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের নির্দিষ্ট কিছু সময় আছে যা ওয়াক্ত হয়ে গেলেই নামায আদায় করতে পারবেন। আল্লাহ তাআলার বাণীঃ ‘‘নিশ্চয়ই সালাত নির্ধারিত সময়ে আদায় করা মুমিনদের উপর ফার্য (ফরয)।’’ (সূরা আন-নিসাঃ ১০৩) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আসরের নামাযের সময় আরম্ভের পূর্ব পর্যন্ত যুহয়ের নামাযের সময় অবশিষ্ট থাকে এবং সূর্য হলুদ বর্ণ ধারণ করার পূর্ব পর্যন্ত আসরের নামাযের সময় থাকে। মাগরিবের নামাযের সময়সীমা হল পশ্চিম আকাশের শাফাক অস্তমিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। এশার নামাযের ওয়াক্ত রাতের অর্ধেক সময় পর্যন্ত, এবং সূর্য উঠার পূর্ব পর্যন্ত হল ফজরের নামাযের সময়।
ওয়াক্ত শুরুর সাথে সাথে কি নামাজ পড়া যাবে। মুহাম্মদ ইবনু সিনান ও সা’ঈদ ইবনু নাযর (রহঃ)...... জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সমস্ত যমীন আমার জন্য প্রবিত্র ও সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ের উপযোগি করা হয়েছে। কাজেই আমার উম্মাতের যে কোন লোক ওয়াক্ত হলেই সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে পারবে;