শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

      না, পড়তে হয় না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

না পড়তে হয় না। তবে আপনার ইচ্ছা হলে পড়তে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
AnSumonKhan

Call

হাদীস শরীফ এ লিখা আছে 'ক্বেরায়াতুল ইমামি ক্বেরায়াতুল লাহু' অর্থঃ ইমামের ক্বেরাতই হচ্ছে মুক্তাদীর ক্বেরাত । সুতরাং , ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা না পড়লেও হবে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কোরআনের বানীঃ- আর যখন কোরআন পড়া হয় তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোনো এবং চুপ থাকো, যাতে তোমাদের প্রতি দয়া করা হয়। [সুরা আরাফ, আয়াতঃ ২০৪] হাদিসের বানীঃ- উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করেনি তার নামায হয়নি। [সূনান আত তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ২৪৭] মুহাম্মাদ ইবনু মানসূর (রহঃ) উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি সালাতে সূরা ফাতিহা পড়েনি তার সালাত হয়নি। [সূনান নাসাঈ, হাদিস নম্বরঃ ৯১০] আবু নুআইম ওয়াহব ইবনু কাইসান (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি নামায আদায় করল অথচ তাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করল না, সে নামাযই আদায় করেনি। হ্যাঁ ইমামের পিছনে হলে ভিন্ন কথা, সেক্ষেত্রে ফাতিহা পাঠের দরকার নাই। [সূনান আত তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ৩১৩] আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সশব্দে কিরাআত পাঠ করা নামায শেষ করে বললেনঃ  তোমাদের মধ্যে কেউ এখন কি আমার সাথে কিরাআত পাঠ করেছিলো? এক ব্যক্তি বলল, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ  আমি নামাযে মনে মনে বলছিলাম, আমার কি হল, কুরআন পাঠ করতে আমি বাধাগ্রস্ত হচ্ছি কেন? রাবী বলেন, লোকেরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখে এরূপ শুনল তখন তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যেহরী (স-শব্দে) কিরাআত পাঠ করা নামাযে তার পিছনে কিরাআত পাঠ করা হতে ক্ষান্ত থাকল। [সূনান আত তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ৩১২]   এ অনুচ্ছেদে ইবনু মাসউদ, ইমরান ইবনু হুসাইন ও জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতেও হাদীস উল্লেখিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। ইবনু উকাইমা লাইসীর নাম উমারা, তাকে আমর ইবনু উকাইমাও বলা হয়ে থাকে। ইমাম যুহরীর কিছু ছাত্র এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন এবং তা নিম্নোক্ত বাক্যে উল্লেখ করেছেনঃ-“যুহরী বলেছেন, লোকেরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এরূপ শুনল তখন হতে ইমামের পিছনে কিরাআত পাঠ করা ছেড়ে দিল।” যারা ইমামের পিছনে কিরাআত পাঠ করার স্বপক্ষে, এ হাদীসের আলোকে তাদের বিরুদ্ধে আপত্তি তোলা যায় না। কেননা যে আবু হুরাইরা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে উপরোল্লিখিত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তিনিই আবার তার নিকট হতে এ হাদীসও বর্ণনা করেছেনঃ “যে ব্যক্তি নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করেনি তার নামায ত্রুটিপূর্ণ ও অসম্পূর্ণ রয়ে গেল।” এ হাদীসের একজন বাহক তাকে (আবু হুরাইরাকে) বললেন, আমি কখনও ইমামের সাথে নামায আদায় করে থাকি । তিনি বললেন, নিজের মনে মনে তা পাঠ করে নাও। (হাদীসের বাহক বলতে আবু হুরাইরার কোন ছাত্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে)। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৮৩৮), মুসলিম। আবু উসমান আন্নাহদী আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে এও বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এই আহবান জানাতে আদেশ দিলেন- “সূরা ফাতিহা পাঠ না করলে নামায হয় না।” হাদীস বিশারদগণ এই বিধান পছন্দ করেছেনঃ ইমাম যখন সশব্দে কিরাআত (সূরা ফাতিহা) পাঠ করবে, মুক্তাদীগণ তখন ফাতিহা পাঠ করবে না। ইমামের পিছনে কিরাআত (সূরা ফাতিহা) পাঠ করার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। বেশিরভাগ সাহাবা, তাবিঈ ও তাদের পরবর্তীগণের মতে, মুক্তাদীগণ ইমামের পিছনে কিরাআত (সূরা ফাতিহা) পাঠ করবে। ইমাম মালিক, আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক একই রকম কথা বলেছেন। ইবনুল মুবারাক বলেন, আমি ইমামের পিছনে কিরাআত (ফাতিহা) পাঠ করি এবং অন্যান্য লোকও পাঠ করে থাকে, কিন্তু কুফাবাসীদের একদল পাঠ করে না। আমি যদিও ইমামের পিছনে ফাতিহা পাঠ করে থাকি, তবুও যারা পাঠ করে না তাদের নামাযও আমি জায়িয মনে করি । বিশেষভাবে একদল বিশেষজ্ঞ আলিম এ ব্যাপারে আপোষহীনতা মত অবলম্বন করেছেন। তারা বলেছেন, কোন ব্যক্তি হয় একাকী না হয় জামাআতে নামায আদায় করুক না কেন, সে যদি সূরা ফাতিহা পাঠ না করে তবে তার নামাযই হবে না। তারা উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের ভিত্তিতে এ মত দিয়েছেন। উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের পরও ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পাঠ করেছেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসের উপর আমল করেছেনঃ “যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করেনি তার নামায হয়নি।" ইমাম শাফিঈ, ইসহাক এবং অন্যান্যরাও এমন কথা বলেছেন। আহমাদ ইবনু হাম্বল বলেন, “যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করেনি তার নামায হয়নি” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ বাণী একাকি নামায আদায়কারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অর্থাৎ সে যদি একাকি নামায আদায় করে এবং সূরা ফাতিহা পাঠ না করে তবে তার নামায হবে না। তিনি তার এ দাবির সমর্থনে জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীস পেশ করেছেন। জাবির (রাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি নামায আদায় করল এবং তাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করল না, সে যেন নামাযই আদায় করল না, অবশ্য ইমামের পিছনে হলে অন্য কথা।” ইমাম আহমাদ বলেন, জাবির (রাঃ) ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী। তিনি তার হাদীস “যে সূরা ফাতিহা পাঠ করেনি তার নামায হয়নি। এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, এ হুকুম একাকী নামায পাঠকারীর বেলায় প্রযোজ্য। এতদসত্ত্বেও ইমাম আহমাদ (রহঃ) ইমামের পেছনে সূরা ফাতিহা পাঠ করার নীতি অনুসরণ করেছেন এবং (বলেছেন) লোকেরা যেন ইমামের সাথে নামায আদায় করলেও সূরা ফাতিহা পাঠ করা ছেড়ে না দেয়। আমাদের হানাফী মাজহাব মতে, ইমামের পিছনে নামায আদায় করলে সূরা ফাতিহা পাঠ করা লাগবেনা।  

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ