তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে গুনাহ মাফ হয় এবং মনের আশা পূরণ এমনভাবে জোর দিয়ে কেউ বলতে পারবে না।তবে আপনি যদি যথেষ্ট সুন্দরভাবে তাহাজ্জুদ সম্পন্ন করেন এবং আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে গুনাহ মাফ হওয়া এবং আশা পূরণ হওয়ার ব্যাপারে চান তবে আল্লাহ তা কবুল করতে পারেন।আর তাহাজ্জুদের আসল সময় গভীর রাত বা মধ্যরাত। নীরবে, একাকী পড়া উত্তম।তবে এশার পরেও তাহাজ্জুদ পড়তে পারেন। এতে নামাজও হবে, তাহাজ্জুদের সাওয়াবও পাবেন, কিন্তু উত্তম হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

তাহাজ্জুদ নামাজের ফযিলত 


রাত্রি জাগরণ বা নিদ্রা ত্যাগ করে রাতে ‘তাহজ্জুদ’ নামাজ পড়া হয়। রাত দ্বিপ্রহরের পর ঘুম থেকে জেগে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ‘সালাতুত তাহাজ্জুদ’ বা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া হয়। তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সব নফল ইবাদত অপেক্ষা অধিক এবং এটি আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়। যারা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন এবং অপরকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করেন, তারা আল্লাহর অপার রহমতের মধ্যে বিচরণ করেন।

হাদিসে ইরশাদ করা হয়েছে, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ওই ব্যক্তির ওপর রহমত নাজিল করেন, যিনি রাতে নিদ্রা থেকে জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন এবং তার স্ত্রীকে নিদ্রা থেকে জাগিয়ে দেন। 

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর তাহাজ্জুদ নামাজ বাধ্যতামূলক ছিল। তাই তিনি জীবনে কখনো তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া থেকে বিরত হননি। তবে উম্মতে মুহাম্মদির জন্য এটা সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা অর্থাৎ এ নামাজ আদায় করলে অশেষ পুণ্য লাভ করা যায়, কিন্তু আদায় করতে না পারলে কোনো গুনাহ হবে না।

তাহাজ্জুদ নামাজ রাত দ্বিপ্রহরের পরে পড়তে হয়। মধ্যরাতে যখন লোকেরা গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন। সুবহে সাদিক হয়ে গেলে এ নামাজ আর পড়া যায় না। যদি রাত দ্বিপ্রহরের পর নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে এশার নামাজের পর এবং বিতরের আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া অবকাশ রয়েছে।।

হাদিসে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি অধিক সম্মানের অধিকারী বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুসলমানদের মধ্যে আল-কোরআনে অভিজ্ঞ ও তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি সম্মানের অধিকারী হবেন।’

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

কুরআন এ এটি সম্পুর্ন ভাবে উল্লিখিত্ত নেই।কিন্তু নামাজ পড়ে আপনি অনুতপ্ত মনে ১ বার ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তা আলা আপনার গুনাহ মাফ করে দিবেন।তাই নামাজ পড়া বাদ দিবেন নাহ।তাহাজ্জুদ নামাজে একাকী পড়া উত্তম তাই এটি মধ্যরাতে পড়তে পারেন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সকল নফল নামাযের মধ্যে তাহাজ্জদ এর নামায সব থেকে মর্যাদাপূর্ণ। তাহাজ্জদ পড়ার সঠিক সময় হল রাতের এক ৩য় অংশ, মানে রাত ২/৩ টাই উত্তম। আমি একটি হাদিসে পড়েছিলামঃ রাতের এক ৩য় অংশে মহান আল্লাহ্‌ সর্ব নিম্ন আকাশে নেমে আসেন এবং বলতে থাকেন কে আছো যে আমার ইবাদত করছো এবং কে আছো আমার কাছে কিছু চাইছো তুমি যা চাইবা আমি তোমাকে তা দিয়ে দিব। তাহলে বোঝা যায় নিয়মিত তাহাজ্জদ আদায় করলে মনের হালাল আশা পূরণ হবে। যদি এমন হয় আপনি আশা করছেন ঃ ওই পাড়ার ছমিরণ এর সাথে জেন আপনার প্রেম টা হয়ে যায় এখন তাই বলে যদি তাহাজ্জদ পড়ে দোয়া করেন তাহলে কোন ভাবেই সেই দোয়া কবুল হবে না। কারণ বিয়ের আগে প্রেম করা হারাম। আর কোন হারাম কাজের দোয়া আল্লাহ্‌ কবুল করেন না। তাই যেই আশা থাকুক না কেন সেটা জেন হালাল হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ