আপনি যদি সত্যিই নিজের ভুল বুঝতে পারেন, তাহলে এখনি তওবা করুন যে এই ভুল আর কখনো করবেননা আর আল্লাহ্র কাছে মাফ চান। আল্লাহ্ একমাত্র শিরক এর গুনাহ ছাড়া সব গুনাহ চাইলে মাফ করে দিতে পারেন।
আল্লাহ্র উপর ভরসা রাখুন। আল্লাহ্ প্রদত্ত নিয়ম-কানুন, হুকুম-আহকাম মেনে চলুন।
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে হিদায়াত দান করুন।
যেহেতু আপনি হাদিসের কথা উল্লেখ করেছেন সেহতু আপনি মুসলিম।। আর হাদিসে এটাও আছে যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আল্লাহ বলেন যে ব্যক্তি আমার কাছে বারবার ক্ষমা চায় সে আমার কাছে অধিক প্রিয়।।। আর পবিত্র কুরআনে বলেন আল্লাহু গফুরুর রহিম তিনি পরম ক্ষমাশীল ও দয়ালু।।। তাই আপনি বারবার ক্ষমা চান তিনি ক্ষমা করবেন।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেন। নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল ও অতিশয় দয়ালু। সূরা যুমার ২৩। সুতরাং আমাদের জানা মতে হাদীসে এমন কোনো পাপের কথা উল্লিখিত হয় নি যার কোনো ক্ষমা নেই। আমাদের নিকট পাপটা পাহাড়ের মতো বড় মনে হলেও আল্লাহর দয়ার সামনে তা কিছুই নয়। তবে ক্ষমা প্রাপ্তির কিছু ধরন ও শর্ত আছে। অপরাধটা যদি মানুষ সংশ্লিষ্ট হয় তাহলে এ অপরাধের ক্ষমা পাওয়ার জন্য মানুষের কাছ থেকে ক্ষমা পেতে হবে। মানুষ ক্ষমা না করলে আল্লাহ ক্ষমা করবে না। তবে যদি মানুষটির এন্তেকাল হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে অনেক বেশি পরিমাণে আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করতে হবে। তবে আশা করা যায় আল্লাহ রোজ হাশরে ঐ ব্যক্তিকে আপনার ব্যাপারে সন্তুষ্ট করে দিবেন। আর ক্ষমা পেতে হলে তাওবা করতে হয়। তাওবা কবুলের জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। তন্মধ্য হতে অন্যতম শর্ত হলো, উপার্জন হালাল হওয়া। অর্থাৎ খাবার দাবার ও পোষাক আষাক বৈধ ও হালাল হওয়া। এগুলো হালাল না হলে দুআ কবুল হবে না। সুতরাং আপনি যদি দুআ ও তাওবা কবুলের শর্ত পূরণ করে আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে ভবিষ্যতে অন্যায় না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে নিজের গুনাহের উপর প্রচণ্ডরকমের অনুশোচিত ও অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকট তাওবা করেন তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ আপনার গুনাহ ক্ষমা করবেন। সবচেয়ে উত্তম হবে, স্থানীয় কোন ভালো আলেম বা ইমামের সাথে যোগাযোগ করে তার নিকট বিস্তারিত বলে উপদেশ ও পরামর্শ গ্রহণ করা এবং তার সাথে সম্পর্ক রেখে জীবন পরিচালনা করা।