উপরের সব কথা গুলিই ভূয়া/বানোয়াট, মহানবী (সাঃ) যুদ্ধে নারী-শিশু হত্যা নিশিদ্ধ করেছেন, ২য় কথাটিও কোন হাদিসে নেই,আপনি চাইলে বোখারী অন্যান্য হদিসের কিতাবে খুঁজে দেখতে পারেন, তৃতীয় কথাটি কি আমি বোঝতে পারিনি চতূর্ত কথাটি শিয়াদের একটি প্রোগান্ডা, পঞ্চম টিও ভূয়া প্রোগান্ডা,আপনি চাই ওখানে যে হাদিসের কিতাব গুলির নাম দিয়েছে সেগুলি দেখতে পারেন,হাদিসে এই ধরনের কোন কথা নেই,সবই জাল দলিল।
১। প্রতিপক্ষে যদি যোদ্ধা নারী ও যোদ্ধা শিশু থাকে তাহলে তাদের হত্যা করা যাবে। তবে যদি প্রতিপক্ষের নারী শিশুরা যুদ্ধ না করে তাহলে তাদের হত্যা করা যাবে না। ২। হাদীসের নামে প্রচলিত এ কথাটি বানোয়াট। ৩। এ বর্ণনাটি দলীলসমৃদ্ধ নয়। ৪। বর্ণনাটি সঠিক নয়। ৫। ঘটনাটি সহীহ বুখারীর ৬৯৩২ নম্বর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। এ ঘটনার ব্যাখ্যা হলো, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন ভীষণ অসুস্থ ছিলেন। তখন যদিও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু লিখেত চেয়েছিলেন কিন্তু অসুস্থতার দরুণ কষ্ট হবে বলে উমর রা. বলেছিলেন, তোমরা লেখে নিয়ো না। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভীষণ অসুস্থ। এতে তাঁর কষ্ট হবে। তোমাদের নিকট তো আল্লাহর কুরআনে আছেই। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কষ্ট দেয়ার প্রয়োজন নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের লিখতে চাওয়ার বিষয়টি মূলত ওহী ছিলো না। কারণ এ ঘটনার পরও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো কদিন বেঁচে ছিলেন। ওহী হলে অবশ্যই আবার লিখেত বলতেন। এ ঘটনা নিয়ে শিয়ারা সাহাবায়ে কেরামের ব্যাপারে মারাত্মক ধরনের উক্তি করে থাকে।