ইসলামী নাকি পীর মানা হারাম। তবে অনেকেয় তো চরমোনাই পীরকে মানে , __আমার প্রশ্ন চরমোনাই পীর কি হক্কানী না ভন্ড পীর__। চরমোনাই পীর বলেন নামাজের হাত বাধতে হয়  নাভির নিচে এবং অনেকে বুকে হাত বাঁধে এবং রুকুতে সেজদায় যাওয়ার আগে তাকবীর এর মত হাত উঠাই তারা কি ঠিক, নাকি চরমোনাই পীরের কথা ঠিক। না আগের মানুষ যেমন নামাজ পড়তো সেটা ঠিক ,কোনটা সঠিক।।।।। 
Share with your friends

উনি ঠিক না । কারন আমাদের শুধু দুইটা জিনিস ফলো করতে হবে ১.রাসুল(সা:) এর সুন্তত ২.আল-কোরআন । এই শুধু ফলো করেন সব উত্তর পাবেন

Talk Doctor Online in Bissoy App

আরে ভাই চরমৈনাই একজন হক্কানি পীর, তিনি কখন ভন্ড হতে পারেননা,,,আপনি তার কি ওয়াজ কখন শুনেননি,, শুনলে বুযতে পারবেন,অথবা প্রতি বছর চরমৈনাই মাহফিল হয়,আপনি মাহফিলে গেলে বুযতে পারবেন,,,,তারা কত বড় বুযর্গ লোক। @@@@@@ পীর কেন মানবেন? আসলে পীর মানে হল মুরুব্বী। বয়স্ক। মানে যিনি অভিজ্ঞ। অর্থাৎ কিভাবে আল্লাহকে পাওয়া যাবে? কিভাবে আমল করলে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা যাবে? কিভাবে চললে দ্বীনের উপর আমল সহজ হবে? শরীয়তের পূর্ণ পাবন্দ হওয়া যাবে? ইত্যাদি বিষয়ে যিনি অভিজ্ঞ? আর সেই অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট যিনি তার উস্তাদ তথা শায়েখ থেকে পেয়েছেন তিনিই হলেন পীর বা শিক্ষক। এখন কেউ যদি প্রশ্ন করে, কুরআন ও হাদীস থাকতে তা শিখার জন্য উস্তাদের কাছে যেতে হবে কেন? মাদরাসায় ভর্তি হবে কেন? আমরা উক্ত ব্যক্তিকে কি বলবো? বলবো, বেটা! কুরআন ও হাদীসে কি আছে, তার সঠিক জ্ঞান লাভ করার জন্য এ বিষয় যিনি ভাল করে জেনেছেন, তার কাছে যেতে হয়। তার কাছে থেকে শিক্ষা নিতে হয়। তারপর উক্ত উস্তাদ যদি আমাকে সার্টিফিকেট দেয় যে, আমি তা শিখতে পেরেছি। তখন সেখান থেকে মুজাহাদা মেহনত করে পড়াশোনা করে, পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বের হবার পর আমারও আবার কুরআন ও হাদীস পড়ানোর যোগ্য বলে কাজ করার অধিকার হয়। একই অবস্থা পীর মুরিদীর। একজন পীর তিনি শিক্ষক। তিনি আল্লাহকে পাওয়ার পথ সম্পর্কে সমধিক অবগত। তিনি এ বিষয়ে অভিজ্ঞ। শরীয়ত কিভাবে তবিয়তে পরিণত করতে হয়, এ বিষয়ে একজন হন অভিজ্ঞ। তাই আল্লাহভোলা মানুষগুলো তার কাছে প্রশিক্ষণ নিতে যায়। যেন সে কুরআন ও হাদীস বুঝার জন্য মাদরাসায় ভর্তি হয়। উস্তাদের কাছে গমণ করে। তারপর পীর সাহেব তার মুরীদকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। যেন উস্তাদ তার ছাত্রকে কুরআন ও হাদীস বুঝার প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। আরো সহজ ভাষায় বললে- মাদরাসা হল, কুরআন ও হাদীস বুঝার একটি থিউরীক্যাল মাধ্যম। আর পীর সাহেবের খানকাহ হল কুরআন ও হাদীসের উপর আমল শিখার প্র্যাক্টিক্যাল মাধ্যম। মাদরাসায় যিনি শিক্ষা প্রদান করেন, তার নাম হল টিচার, মুআল্লিম, শিক্ষক উস্তাদ। তেমনি কুরআন ও হাদীসের উপর আমল প্রশিক্ষণ দাতার নাম হল পীর, মুর্শীদ। মাদরাসার শিক্ষার্থীর নাম হল, ছাত্র। তালেবুল ইলম। ষ্টুডেন্ট। আর পীর সাহেবের খানকার শিক্ষার্থীল নাম হল মুরীদ। পীর মুরীদের আসল হাকীকত যদি কোন ব্যক্তি জানে, তাহলে কোন ব্যক্তি “কুরআন ও হাদীস থাকতে পীর ধরবো কেন?” এমন মুর্খতাসূলভ প্রশ্ন করতেই পারে না। কারণ এটি পুরোটাই আহমকী প্রশ্ন। যেমন “কুরআন ও হাদীস থাকতে, তা শিখার জন্য উস্তাদের কাছে যাবো কেন?” প্রশ্নটি একটি আহমকী ও বোকামীসূলভ প্রশ্ন। তবে এক্ষেত্র্রে জেনে রাখা উচিত যে, যেমন দ্বীন শিখা আবশ্যক। তেমনি দ্বীনের উপর সহীহ পদ্ধতিতে আমল করাও আবশ্যক। এখন কোন ব্যক্তি যদি উস্তাদের কাছে না গিয়ে, মাদরাসায় ভর্তি না হয়ে দ্বীন শিখে ফেলতে পারে, তাহলে তার যেমন মাদরসায় ভর্তি হবার, উস্তাদের কাছে যাবার দরকার নেই। কারণ তার মূল উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে গেছে। তেমনি কোন ব্যক্তি যদি পীর তথা মুর্শীদের কাছে না গিয়েই সে তার আত্মশুদ্ধি করে ফেলতে পারে, তাহলে তার জন্য কোন পীর বা মুর্শীদের কাছে যাবার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ পীর বা মুর্শীদের কাছে যাবার যে প্রয়োজনীয়তা যে উদ্দেশ্যে ছিল তা তার অর্জিত হয়ে গেছে। বাকি রইল আব্দুল কাদীর জিলানী রহঃ ছিলেন কি না? পীর মানে শিক্ষক। এ শিক্ষক মূলত পূর্বসূরী সমস্ত বড় উলামায়ে কেরামই ছিলেন। হযরত আব্দুল কাদীর জিলানী রহঃ পীর ছিলেন না, এমন অজ্ঞতাসূচক বক্তব্য যারা প্রদান করেন, তারা আব্দুল কাদীর জিলানী রহঃ রহঃ এর নিজের লেখা “গুনিয়াতুত তালেবীন” কিতাবটি পড়লেই আশা করি সেই ভুল ভেঙ্গে যাবে। যে ব্যক্তি আব্দুল কাদীর জিলানী রহঃ এর নিজের লেখা “গুনিয়াতুত তালেবীন” নামক গ্রন্থটিও দেখেনি, তার জন্য এ মহান মনীষী সম্পর্কে মন্তব্য করার কি অধিকার থাকতে পারে? গুনিয়াতুত তালেবীন গ্রন্থের ২য় খন্ডের শেষ দিকের আলোচনাগুলো দেখলেই পরিস্কার হয়ে যাবে। ১১ নং অধ্যায়ের কয়েকটি শিরোনাম দেখলেই আমাদের কাছে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে। যেমন- ১-মুরীদের আদাব। ২-ইরাদা, মুরীদ ও মুরাদ। ৩-মুতাসাওয়িফ এবং সূফী। ৪-সুলুকের পথে প্রাথমিক ব্যক্তিদের জন্য আবশ্যকীয় বিষয়াবলী। ইত্যাদি, ইত্যাদি। তাছাড়া হযরতের লেখা “আদাবুস সুলুক ওয়াত তাওয়সসুল ইলা মানাজিলিল মুলুক” নামক গ্রন্থটি দেখলেই হবে। যে গ্রন্থটি পীর মুরীদীর আদাবের উপর লিখিত। তিনি পীর না হলে এসব আলোচনা তিনি কেন করলেন তার কিতাবে?

Talk Doctor Online in Bissoy App