Call

তালাককে যারা পানি-ভাত মনে করেন তারা যে কোনো সময় করুণ বিপদে পড়তে পারেন। একটা পশু জবাই করে কেউ যদি বলে ভুল হয়ে গেছে, হাজার চেষ্টা করেও যেমন ওই পশুর কর্তিত গলা জোড়া লাগানো যাবেনা- তেমনি একবার তিন তালাক দিয়ে দিলে- তা রাগের মাথায় হোক, হাসতে হাসতে হোক যেভাবেই হোকনা কেন ওই স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে। এটাই ইসলামী শরীয়তের ফায়সালা। অর্থাৎ এক সাথে তিন তালাক প্রদানের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেলে পূনরায় বিবাহ ব্যতিত তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী তার পূর্বের স্বামীর কাছে ফিরতে পারবেনা এ ক্ষেত্রে হিল্লা প্রথার আশ্রয় নেওয়া হারাম। ইব্‌ন মাসউদ রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিল্লাকারী এবং যার জন্য হিল্লা করা হয় উভয়কে লানত করেছেন।” ইমাম তিরমিজি রাহিমাহুল্লাহ বলেন : এ হাদিসটি হাসান। এখন তারা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে যদি তিন তালাক দিয়ে দেয় এবং যদি কোনো স্বাক্ষী না থাকায় পরে অস্বীকার করে, সেক্ষেত্রে তাদের বিবাহটা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন না হলেও প্রকৃতপক্ষে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে। তারা যদি তা গুরুত্ব না দিয়ে চুপিয়ে রেখে পুনরায় সংসার করতে থাকে সেক্ষেত্রে তারা কবীরা গুনাহে গুণাহগার হবে। এক তালাকের স্থলে তিন তালাক দেয়াকে কেবল নিষেধই করা হয় নাই, বরং বেদ‘আত এবং মারাত্মক গোনাহ বলে বিবেচিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

হ্যা তালাক হয়ে যাবে। ইসলামিক সরিয়ত মোতাবেক ৪টি জিনিস শুধু ভুলে না, যদি কেও হাসি তামাসা করেও বলে সেটি হয়ে যাবে। ১। বিবাহ ২। তালাক ৩। কুফর ৪। গোলাম আজাদ। এই ৪ টি জিনিস হাসি তামাসা করে বললেও হয়ে যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

হা তালাক হয়ে যাবে|কারন ইসলামে আছে যদী কোন ব্যক্তি বলে আমি তকে তালাক দিব তাহলেও বউ তালাক হয়ে যায়|এক কথায় তালাক কথাটি যে ভাবেই বলা হক না কেন যদি বউকে উদ্দেশ্য করে বলে তাহলে বউ তালাক হয়ে যাবে|তাই এসব কথা বলার আগে ভেবে চিনতে বলতে হয়| বল*

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ইসলামী শরীয়া মতে রাগত আবস্থায় তালাক দিলেও তালাক পতিত হয়ে যায়। এ বিষয়ে কিছু হাদীসের ভাষ্য নিম্নরূপ : ১। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তিনটি জিনিষ এমন রয়েছে যেগুলোর ব্যাপারে রসিকতা ও বাস্তবতা সমান- বিবাহ, তালাক এবং স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনা। (মুস্তাদরাকে হাকেম; হাদীস ২৮০০, শামেলা সংস্করণ) ২। জনৈক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলল, তুমি তোমার পরিবার পরিজনের সাথে গিয়ে মিলিত হও। আমের শা’বী রাযি. কে মাসআলটি জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে যদি সে রাগান্বিত অবস্থায় তালাকের নিয়ত করে থাকে (তাহলে সমস্যা হবে)। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা; হাদীস ১৮৩৫৮) ৩। জনৈক ব্যক্তি ইবনে আব্বাস রাযি.কে জিজ্ঞেস করল, আমি রাগান্বিত অবস্থায় আমার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছি। তখন ইবনে আব্বাস রাযি. বললেন, আল্লাহ তাআলা তোমার উপর যা নিষিদ্ধ করেছেন তা তোমার জন্য বৈধ হতে পারে না। তুমি তোমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করেছো এবং তোমার উপর তোমার স্ত্রীকে হারাম এবং নিষিদ্ধ করে ফেলেছো। তুমি আল্লাহকে ভয় করোনি। ভয় করলে আল্লাহ তোমার জন্য সমাধানের একটি পথ করে দিতেন। (সুনানে দারাকুতনী; হাদীস ৩৯৭১) ৪। হযরত আয়েশা রাযি. বলেন, যেসব ইয়ামীন (শপথ) স্বেচ্ছায় রাগত অবস্থায় অথবা অন্য কোনো অবস্থায় সম্পাদন করা হয় তাতে কাফফারা আবশ্যক হয়। (জামিউল উলূমি ওয়াল হিকাম ১৭/২১) আর রাগান্বিত অবস্থায় তালাক দিলে তা পতিত না হওয়া সম্পর্কে যে হাদীসটি প্রচার করা হয় সে সম্পর্কে কিছু আলোচনা নিম্নে তুলে ধরা হলো : (১) হাদীসের মান : আল্লামা ইবনে বাত্তাল রহ.বলেন, ‘হাদীসটি প্রমাণিত নয়।’ বক্তব্যটির আরবী পাঠ এরূপ- واما الحديث: لا طلاق في إغلاق فليس بثابت. (শরহু ইবনিল বাত্তাল ১১/১৪২; শামেলা সংস্করণ)     আল্লামা দারাকুতনী রহ. হাদীসটি মুহাম্মদ ইবনুল হাজ্জাজ রহ. থেকে আব্দুর রহীম ইবনে সুলাইমান রহ. এর সূত্রে এই সনদে বর্ণনা করেছেন,نا محمد بن الحجاج الضبي نا عبد الرحيم بن سليمان عن محمد بن اسحاق عن ثوربن يزيد عن محمد بن عبيد..الخ (সুনানে দারাকুতনী; হাদীস ৯৮, শামেলা সংস্করণ) উপরোক্ত সনদের রাবীمحمد بن عبيد بن أبي صالح  দুর্বল। তার ব্যাপারে আল্লাম যাহাবী রহ. বলেন, মুসলিম রহ. তাকে দলীলযোগ্য মনে করেননি। এবং আবূ হাতেম রহ. বলেন, সে দুর্বল। (মুস্তাদরাকে হাকেম; হাদীস ২৮০২, শামেলা সংস্করণ)     হাদীসটিকে  একইভাবে ইমাম আবূ দাউদ রহ. স্বীয়  সুনান গ্রন্থে (হাদীস ২১৯৩; দারুল হাদীস) এবং  ইমাম বায়হাকী রহ. আস-সুনানুল কুবরা গ্রন্থে (হাদীস ২০৫০৯; শামেলা সংস্করণ) ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম ‘আন আবিহি’ সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাঁদের সনদ এই-ثنا عبيد الله بن سعد أن يعقوب بن ابراهيم حدثهم قال ثنا أبي عن ابن اسحاق عن ثور بن يزيد عن محمد بن عبيد بن أبي صالح...الخ অনুরূপভাবে হাদীসটিকে ইবনে আবী শাইবা স্বীয় মুসান্নাফ গ্রন্থে (হাদীস ১৮৩৪২; শামেলা সংস্করণ) এবং তার থেকে ইবনে মাজাহ রহ. তার সুনান গ্রন্থে (হাদীস ২০৪৬; দারুল হাদীস) এবং আবূ ইয়ালা রহ. তার মুসনাদ গ্রন্থে (হাদীস ৪৪৪৪; শামেলা সংস্করণ) আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর রহ. এর সনদে উল্লেখ করেছেন এবং একই সনদে হাদীস বর্ণনা করেছেন ইমাম হাকেম রহ. মুস্তাদরাক গ্রন্থে (হাদীস ২৮০২; শামেলা সংস্করণ)। তবে ইমাম বায়হাকী রহ. স্বীয় আস-সুনানুল কুবরা গ্রন্থে (হাদীস ১৫৪৯৩; শামেলা সংস্করণ) জারীর ইবনে হাযেম রহ. এর সনদে হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন। প্রকাশ থাকে যে, ইয়াকুব রহ. এর পিতা ইবরাহীম, আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর এবং জারীর ইবনে হাযেম রহ. এই তিনজনই হাদীসটিকে মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক থেকে বর্ণনা করেছেন। এবং মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক থেকে শেষ পর্যন্ত সনদে মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদ ইবনে আবী সালেহ নামের রাবী রয়েছে। যার ব্যাপারে ইতোপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে।     হাদীসটিকে ইমাম হাকেম রহ. মুস্তাদরাক গ্রন্থে (হাদীস ২৭০৩; শামেলা সংস্করণ) এ সনদেও বর্ণনা করেছেন-ثنا نعيم بن حماد ثنا أبو صفوان عبد الله بن سعيدالأموي عن ثور بن يزيد عن صفية بنت شيبة عن عائشة رضي الله عنها...الخ উপরোক্ত সনদে মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদ (রাবী) বাদ পড়েছে এবং সনদে বিদ্যমান রাবী নু‘আইম ইবনে হাম্মাদ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী রহ. এর মন্তব্য হলো, তিনি অনেক অগ্রহণযোগ্য বর্ণনার অধিকারী। বক্তব্যটির আরবী পাঠ এরূপ-تعليق الذهبي في التلخيص:نعيم صاحب مناكير (মুস্তাদরাকে হাকেম; হাদীস ২৮০৩, শামেলা সংস্করণ)     হাদীসটিকে ইমাম দারাকুতনী রহ. স্বীয় সুনান গ্রন্থে (হাদীস ৯৯; শামেলা সংস্করণ) এবং ইমাম বায়হাকী রহ. তার সুনানুল কুবরা গ্রন্থে (হাদীস ১৫৪৯৪; শামেলা সংস্করণ) এ সনদেও বর্ণনা করেছেন-...قزعة بن سويد عن زكريا بن اسحاق ومحمد بن عثمان جميعا عن صفية بنت شيبة عن عائشة...الخ উক্ত সনদে বিদ্যমান রাবী কুযআ ইবনে সুওয়াইদ সম্পর্কে ইমাম আবূ হাতেম রাযী রহ. এর বক্তব্য হলো, তিনি তেমন শক্তিশালী নন। তার হাদীস লেখার যোগ্য হলেও দলীলযোগ্য নয়। বক্তব্যটির আরবী পাঠ এরূপ-ليس بذاك القوي، محله الصدق، وليس بالمتين، يكتب حديثه ولايحتج به. (আল-জরহু ওয়াত-তাদীল ১/১৩৯; শামেলা সংস্করণ) উপরোক্ত আলোচনা থেকে যে বিষয়টি বুঝে আসে তা হলো- হাদীসটির কোনো সনদে অধিক দুর্বল রাবী আবার কোনো সনদে কম দুর্বল রাবীও রয়েছে। যে কারণে অনেকে হাদীসটিকে বাতিল তথা অগ্রহণযোগ্য আবার অনেকে দুর্বল হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। এ ছাড়াও হাদীসে বর্ণিত إغلاق বা غلاق শব্দদ্বারা ক্রোধ অর্থ নেয়াটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত নয়; বরং এটি পরবর্তী আলেমগণের মতামত মাত্র। যা অনেকে প্রত্যাখানো করেছেন; বরং এর বিপরীতে এর চেয়েও শক্তিশালী হাদীস রাগান্বিত অবস্থায় তালাক হওয়ার বিষয়টিকে স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যা পেছনে উল্লেখ করা হয়েছে। (২) إغلاق বা غلاق সম্পর্কে  কিছু কথা : প্রশ্নে বর্ণিত সুনানে আবূ দাউদের শেষে ইমাম আবু দাউদ রহ. যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে যথেষ্ট দুর্বলতা রয়েছে। কারণ তিনি বক্তব্য শুরুই করেছেনأظنه  শব্দ দ্বারা যার মাধ্যমে তাঁর ধারণা ফুটে উঠলেও জোরাল কিছু প্রমাণিত হয় না। এজন্যই- (ক) ইমাম আবূ হানিফা রহ. ছাড়া বাকি ইমামগণ এর দ্বারা إكراه (বাধ্য করা) উদ্দেশ্য নিয়েছেন। (খ) যারা غضب (রাগ) উদ্দেশ্য নিয়েছেন; "غريب الحديث" এর গ্রন্থাবলীসহ হাদীস সংক্রান্ত বিভিন্ন কিতাবে তাদেরকে খ-ন করা হয়েছে। এ জাতীয় কিছু খ-ন কিতাবের নামসহ নিচে উল্লেখ করা হলো- ১. আল্লামা হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী রহ. বলেন,‘لاطلاق في إغلاق হাদীসটির রাবী (বর্ণনাকারী) মুহাম্মাদ ইবনে সালেহকে ইমাম আবূ হাতেম রাযী রহ. দুর্বল বলেছেন। আর হাদীসে বিদ্যমান إغلاق শব্দের ব্যাখ্যায় ‘গরীবুল হাদীসে’ অভিজ্ঞ উলামায়ে কেরাম আল্লামা ইবনে কুতাইবা রহ., আল্লাম খাত্তাবী রহ. এবং ইবনুস সায়্যিদসহ প্রমূখ উলামায়ে কেরামের বক্তব্য হলো- এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো চাপ প্রয়োগ।’...আবার কেউ কেউ যেমন ইমাম আবু দাউদ ও ইমাম আহমাদ রহ. ‘ক্রোধ’ উদ্দেশ্য নিয়েছেন। ইবনুস সায়্যিদ রহ. ক্রোধ অর্থের খ-নে বলেন, তাহলে তো আর তালাক শব্দের প্রয়োগ থাকলো না। কারণ সবাই তো রাগের মাথায়ই তালাক দেয়।’ (আত তালখীসুল হাবীর, ইবনে হাজার আসকালানী ৩/৪৪৯; শামেলা সংস্করণ, আউনুল মা’বূদ, আজিমাবাদী ৬/১৮৭; শামেলা সংস্করণ, বুসতানুল আহবার মুখতাসারু নাইলিল আউতার, ফয়সাল বিন আব্দিল আযীয আন নজদী ৪/৪১৭; শামেলা সংস্করণ, শরহুয যুরকানী আলা মুয়াত্তা মালেক ৯/১২৭; শামেলা সংস্করণ) ২. বুখারী শরীফের বিশিষ্ট ব্যাখ্যাকার আল্লামা ইবনে বাত্তাল রহلاطلاق في إغلاق  হাদীস দ্বারা ক্রোধ অবস্থায় তালাক পতিত না হওয়ার পক্ষ অবলম্বণকারীদের খ-নে বলেন, (সহীহ বুখারী; হাদীস ৩১৩৩; দার ইবনি হাযম) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ক্রোধ অবস্থায় শপথ সংঘটিত হওয়া সম্পর্কিত হাদীসটি উক্ত মতামতের বিপক্ষে একটি শক্তিশালী দলীল। (শরহু ইবনি বাত্তাল ১১/১৪২; শামেলা সংস্করণ) ৩. মুয়াত্তা মালেক কিতাবের ব্যাখ্যাকার আল্লামা যুরকানী রহ. বলেন, রাগান্বিত অবস্থায় তালাক দিলে তা পতিত হওয়ার বিষয়টি হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. ও হযরত আয়েশা রাযি. থেকে নির্ভরযোগ্য বর্ণনা সূত্রে সুপ্রমাণিত। এমনকি সাহাবাদের একটি জামা‘আত এমনটি ফাতাওয়া দিয়েছেন। (শরহুয যুরকানী আলা মুয়াত্তা মালেক ৯/১২৭; শামেলা সংস্করণ) ৪. ইমাম ইবনে মাজাহ রহ. لاطلاق في إغلاق হাদীসটিকে باب طلاق المكره والناسي তথা চাপের মুখে এবং ভুলে তালাক দেয়া সম্পর্কিত অধ্যায়ে নিয়ে আসার দ্বারা একথাই প্রমাণিত হয় যে, إغلاق দ্বারা উদ্দেশ্য إكراه বা চাপ প্রয়োগ করা, غضب বা ক্রোধ নয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ ২/২২৪; দারুল হাদীস, উমদাতুল কারী শরহু সহীহিল বুখারী, আল্লামা আইনী রহ. ৩০/১০৮; শামেলা সংস্করণ) ৫. বিশিষ্ট সালাফী আলেম আল্লামা শামসুল হক আজিমাবাদী রহ. বলেন, ক্রোধ অবস্থায় তালাক দিলে তা পতিত হয়। আর এটাই অধিকাংশ উলামায়ে কেরামের মত।’ (আউনুল মা’বূদ ৬/১৮৭; শামেলা সংস্করণ) ৬. আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলী রহ. হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. এর এ আছারটি-عن ابنِ عباس: أنَّ رجلاً قال له: إني طلقت امرأتي ثلاثاً وأنا غضبان، فقال: إنَّ ابنَ عباس لا يستطيع أنْ يُحِلَّ لك ما حرَّم الله عليك، عصيتَ ربَّك وحرمت عليك امرأتك. তুলে ধরার পর বলেন, ইমাম জুযাজানী রহ. এবং ইমাম দারাকুতনী রহ. (সুনানে দারাকুতনী; হাদীস ৩৮, শামেলা সংস্করণ) এটিকে ইমাম মুসলিম রহ. এর শর্ত সংবলিত সনদে বর্ণনা করেছেন। (জামিউল উলূমি ওয়াল হিকাম, ইবনে রজব হাম্বলী ১৭/২০; শামেলা সংস্করণ) ৭. আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলী রহ. হযরত আয়েশা রাযি.এর এ আছারটিعن عائشة قالت: اللغو في لأيمان ما كان في المراءِ والهزل والمزاحة، والحديث الذي لا يعقد عليه القلب، وأيمانُ الكفارة على كُلِّ يمينٍ حلفت عليها على جدٍ من الأمر في غضب أو غيره: لَتَفْعَلنَّ أو لَتَترُكنَّ، فذلك عقدُ الأيمان فيها الكفارة. তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, কাজী ইসমাঈল ইবনে ইসহাক রহ. স্বীয় গ্রন্থ আহকামুল কুরআন এ বিশুদ্ধ বর্ণনাসূত্রে এটিকে বর্ণনা করেছন। তিনি আরো বলেন, এ ছাড়া আছারটি ইবনে ওয়াহাব রহ. নি¤েœর সনদে বর্ণনা করেছেন-  ابن وهب، عن يونس، عن الزهري، عن عروة، عن عائشة আর যেটিকে হাদীস শাস্ত্রের পরিভাষায় أصح الأسانيد তথা অধিক বিশুদ্ধতম বর্ণনা সূত্র বলা হয়। তাই উক্ত আছারটি একথাই দাবী করে যে, আপনার উপস্থাপিত হাদীসটি হয় অগ্রহণযোগ্য অথবা তার দ্বারা ‘ক্রোধ’ উদ্দেশ্য নেয়া বিশুদ্ধ নয়। তিনি এ-ও বলেন, একাধিক সাহাবা থেকে ক্রোধ অবস্থায় শপথ সংঘটিত হওয়া এবং তাতে কাফ্ফারা আবশ্যক হওয়ার ব্যাপারে ফাতাওয়া দেয়ার ব্যাপারটি সুপ্রমাণিত। (জামিউল উলূমি ওয়াল হিকাম ১৭/২১-২২; শামেলা সংস্করণ) (সূত্র : সুনানে দারাকুতনী; হাদীস ৯৮, ৯৯, শামেলা সংস্করণ, আসসুনানুল কুবরা; বায়হাকী, হাদীস ১৫৪৯৩, ১৫৪৯৪, ২০৫০৯, শামেলা সংস্করণ, সুনানে আবূ দাউদ; হাদীস ২১৯৩, দারুল হাদীস, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা; হাদীস ১৮৩৪২, ১৮৩৫৮, শামেলা সংস্করণ, সুনানে ইবনে মাজাহ; হাদীস ২০৪৬, দারুল হাদীস, মুসনাদে আবী ইয়া’লা; হাদীস ৪৪৪৪, শামেলা সংস্করণ, মুসতাদরাকে হাকেম; হাদীস ২৮০০, ২৮০২, ২৮০৩, শামেলা সংস্করণ, সুনানে সাঈদ ইবনি মানসূর, ১/২৫০; শামেলা সংস্করণ, আল-জরহু ওয়াত তা‘দীল, ইবনে আবী হাতেম ১/১৩৯, শামেলা সংস্করণ, বুসতানুল আহবার মুখতাসারু নাইলিল আওতার, ফয়সাল বিন আব্দিল আযীয আন নজদী ৪/৪১৭; শামেলা সংস্করণ, শরহু ইবনিল বাত্তাল ১১/১৪২, শামেলা সংস্করণ, শরহুয যুরকানী আলা মুয়াত্ত মালেক ৯/১২৭; শামেলা সংস্করণ, জামিউল উলূমি ওয়াল হিকাম, ইবনে রজব ১৭/২০-২১; শামেলা সংস্করণ,   সুনানে দারাকুতনী; হাদীস ৩৮, শামেলা সংস্করণ, উমদাতুল কারী, বদরুদ্দীন আলআইনী ৩০/১০৭, শামেলা সংস্করণ, সুনানে ইবনে মাজাহ; হাদীস ২০৪৬, দারুল হাদীস, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া ১৮/১৫৩-১৫৪, যাকারিয়া)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ