শবে মেরাজ কি? এই রাতে কি করুনিয়? কিভাবে কি করতে হয় প্লিজ জানাবেন?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

যে রাতে ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) অলৌকিক উপায়ে উর্ধ্বাকাশে আরোহণ এবং স্রষ্টার সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন, এমন একটি সম্মানিত রাতকে লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রজনী হিসাবে আখ্যায়িত। মেরাজে গমন করে রাসুলুল্লাহ (সা.) আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আদেশসহ ইসলামী সমাজ পরিচালনার বিধি-বিধান নিয়ে আসেন। প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মাদ (সাঃ) বিশ্ব মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামকে একটি পূর্ণাঙ্গ ও সর্বজনীন জীবন ব্যবস্থা হিসেবে রূপ দেয়ার জন্য তিনি আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পেয়েছিলেন মেরাজ রজনীতে। এ জন্য এ রাতটি মুসলমানদের কাছে অতীব গুরুপূর্ণ রাত। মেরাজের রাতে যেকোনো ইবাদত করলে এর সওয়াব পাওয়া যাবে যেকোনো রাতের চেয়ে বেশি। এজন্য মেরাজের রাতে বেশি বেশি নফল ইবাদত করা উচিত। আর নফল ইবাদত মানে শুধুই নামাজ নয়, কোরআন তেলাওয়াত, তাসবিহ-তাহলিল, জিকির, দান-সদকাও নফল ইবাদতের মধ্যে পড়ে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

শব এটা ফারসী শব্দ। এর অর্থ রাত্র। মেরাজের শাব্দিক অর্থ আরোহণের মাধ্যম, মই, সিঁড়ি। শবে মেরাজ মানে এমন একটি রাত যে রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সাথে সাক্ষাত লাভের উদ্দেশ্যে ঊর্ধ্বাকাশে গমন করেছিলেন। এ রাত্রে করণীয় কিছু নেই। অন্যান্য রাতের মতই এ রাত্রটিকে যাপন করবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মেরাজ সত্য। তার গুরুত্বও রয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে আগত সে রাতের স্বতন্ত্র গুরুত্ব ইসলামী শরীয়তে নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবী, তাবিয়ীদের কেউই এ রাতকে ইবাদতের দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্ব দেন নি। বরং এ রাতকে বিশেষ ইবাদাতের রাত মনে করা হলে তা বিদাত হবে। সারকথা এ রাতে কিছুই করণীয় নেই। বর্তমানে এ রাতকে কেন্দ্র করে যা কিছু হচ্ছে তার সবই গর্হিত ও অপাঙক্তেয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ