আজ দুপুরে আমার মাসিক শেষ হলে আমি গোসল শেষ করি। কিন্তু গোছলের পর এক ফোঁটা হালকা লাল/বাদামি রঙের স্রাব বের হয়।এখন আমাকে কী পুনরায় গোছল করে নামাজ পড়তে হবে না এ অবস্থায় ওযু করে নামাজ পড়তে পারব? গোছল করতে ভয় পাচ্ছি কারন আমারর বেবি আছে। 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

দেখুন, আমি একজন মুফতি সাহেবকে এ সম্বন্ধ্যে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি বলেছেন যে, এখানে দুটি বিষয় আছে। 

  • যদি মনেহয় স্রাব ভিতর থেকে এসেছে, তাহলে পূণরায় গোসল করতে হবে।
  • আর, যদি মনেহয়, না স্রাব ভিতর থেকে আসেনি। তাহলে গোসল করতে হবে না। অযু করে নামায পড়তে পারবেন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইয়াহইয়া ইবনু হাবীব ইবনু আসরাবী (রহঃ) -আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। ফাতিমা বিনতে আবূ হুবায়শ (রাঃ) এর ইস্তিহাযা হলে তিনি রাসুলুল্লাহ কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার ইস্তিহাযা হয়, অতএব আমি পাক হই না। এমতাবস্থায় আমি কি সালাত ত্যাগ করব? রাসুলুল্লাহ বললেনঃ এটা হায়েয নয় (বরং এটা একটি শিরা মাত্র যা হতে রক্ত নির্গত হয়)। অতএব হায়েয দেখা দেয় তখন নামায পড়বে না। আর যখন হায়েয বন্ধ হবে তখন রক্তের চিহ্ন ধৌত করবে এবং ওযু করবে। কারণ এটি হায়েয নয়, বরং তা একটি সিরার রক্ত মাত্র।  তাঁকে প্রশ্ন করা হলঃ হায়েয বন্ধ হওয়ার পর কি গোসল করতে হবে? তিনি বললেনঃ এতে কারও সন্দেহ থাকতে পারেনা। সূনান নাসাঈ হাদিস নম্বরঃ ২১৭ হাদিসের মানঃ হাসান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
MDSourov

Call

যেভাবে আদায় করবেন শবে কদরের নামাজ

নফল নামাজ : ন্যূনতম বার রাকাত থেকে যত সম্ভব পড়া যেতে পারে। এ জন্য সাধারণত সুন্নতের নিয়মে ‘দুই রাকাত নফল পড়ছি’ এ নিয়তে নামাজ শুরু করে শেষ করতে হবে।

এ জন্য সূরা ফাতেহার সাথে আপনার জানা যেকোনো সূরা মেলালেই চলবে। বাজারে প্রচলিত কিছু বইয়ে ৩৩ বার সূরা আল কদর, ৩৩ বার ইখলাস ইত্যাদি উল্লেখ করা আছে। তবে সে নিয়মে পড়লেও অসুবিধার কারণ নেই।

হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ৪ রাকাত নামাজ ক্দরের রাতে আদায় করবে এবং উক্ত নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ২১ বার করে সূরা ইখলাছ পাঠ করবে, আল্লাহ তা’য়ালা ওই ব্যক্তিকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ করে দেবেন এবং বেহেশতের মধ্যে এক মনোমুগ্ধকর মহল তৈরি করে দেবেন।

অপর এক হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, হযরত রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ক্দরের রজনীতে ৪ রাকাত নামাজ আদায় করবে এবং উহার প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা কদর ও সূরা ইখলাছ তিনবার করে পাঠ করবে, নামাজ শেষে সিজদায় গিয়ে নিম্নের দোয়াটি কিছু সময় পাঠ করে আল্লাহর দরবারে যা-ই প্রার্থনা করবে তিনি তাই কবুল করবেন এবং তার প্রতি অসংখ্য রহমত বর্ষিত করবেন।

দোয়াটি হলো : সুব্হানাল্লাহি ওয়ালহাম্দু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।

ক্দরের নামাজের নিয়ত :
নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়া’লা রাকআ’তাই ছালাতি লাইলাতিল ক্বাদরি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

জিকির ও দোয়া : হাদিসে যে দোয়া ও জিকিরের অধিক ফজিলতের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো থেকে কয়েকটি নির্বাচিত করে অর্থ বুঝে বারবার পড়া যেতে পারে। ইস্তেগফার (মা প্রার্থনা) ও দরুদ আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। কমপক্ষে ১০০ বার ইস্তেগফার ও ১০০ বার দরুদ পড়া যেতে পারে।

এ রাতে নীরবে-নিভৃতে কিছুটা সময় আত্মসমালোচনা করুন, দেখবেন আপনি সঠিক পথ খুঁজে পাবেন। আত্মসমালোচনা আমাদের বিবেককে জাগিয়ে তুলে। আত্মসমালোচনা আত্মশুদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

কদর হলো বছরের সর্বোত্তম রাত এবং এই রাতে পবিত্র আল কোরআন নাজিল হয়েছে। এই রাতে করা কোনো ভালো কাজ অন্য হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এই হাজার মাসকে যদি ১২ দিয়ে ভাগ করা হয় তাহলে হিসাব দাঁড়ায় ৮৩ বছরের চেয়ে কিছু বেশি।

এই রাতে ইবাদত করার মর্যাদা সারাজীবন ইবাদত করার চেয়ে আরো অনেক বেশি। এটা এমন এক রাত যেখানে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত খোদার বিশেষ রহমত এবং শান্তি বর্ষিত হতে থাকে।

এই রাতে ইবাদত-বন্দেগি করে আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফের জন্য প্রার্থনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এ কারণে মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে সওয়াব হাসিল ও গুনাহ মাফের রাত হিসেবে শবে কদরের ফজিলত অতুলনীয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ