নামাজ আদায় করা এবং কোরআন পাঠ করা সম্পূর্ণ আলাদা দুটি ইবাদত ।
মহান আল্লাহ কোরআন শরীফ নাযীল করেছেন মানুষ ও জীন
আলহামদুলিল্লাহ। আপনি কুরআন না পারলেও সালাত আদায় করা শুরু করেছেন।
আপনি জানেন কি নামাজে ১৩ ফরজ আছে।আর এই তের ফরজ হতে যেকোন একটি বাদ গেলে নামাজ হবে না।এই ১৩ ফরজের একটি হলো কেরাত পড়া।আর আপনি যদি কেরাত না পড়েন,তবে নামাজ হবে না।কিন্তু আপনি যদি জামাতে নামাজ পড়েন শুধু ফরজ নামাজ হবে।আর নামাজ ভঙ্গের কারণের মধ্যে একটি হলো এমন কিরাত পড়া যাতে কুরআনের অর্থ পাল্টে যায়।আর যেহেতু আপনি কুরআন পড়তে পারেন না সেহেতু সাধারণ যে সূরা গুলো মুখস্থ , এই সূরা গুলো ভুল হলে শোধরাতে পারেন না।তাহলে আপনার নামাজে অর্থ পাল্টে যায়।সুতরাং আপনার নামাজ হবে না।কিন্তু আপনি জামাতে যে নামাজ পড়েন,তা হবে।আর সবই আল্লাহর ইচ্ছা।
ধন্যবাদ।
সূত্র:রাহে নাজাত ও বেহেশতী জেওর।
নামাজে কিরাত পড়া আবশ্যক। এবং সেটা সহীহ শুদ্ধ হওয়াও আবশ্যক। এখন প্রশ্ন হলো, যারা কিরাত পড়তে পারে না কিংবা শুদ্ধ পড়তে পারে না তাদের নামাজ কি হবে না ? উত্তর হলো, যারা একেবারেই কুরআন পড়তে পারে না তাদের নামাজ ও আদায় হবে। তারা কিরাতের জায়গায় তাসবীহ তাহলীল পাঠ করবে। তদ্রূপ যারা শুদ্ধ করে কুরআন পড়তে পারে না তাদেরটাও বিশুদ্ধ হবে। এদেরকে শরয়ী পরিভাষায় মাজুর তথা উজরগ্রস্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু তাদের কুরআন শেখা ও শুদ্ধ করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। নতুবা তারা গুনাহগার হবে। আর যারা শুদ্ধ করে কিরাত পড়তে পারে না তারা শুদ্ধপাঠকারী ব্যক্তিদের ইমাম হতে যাবে না। এতে ইমাম মুসল্লী সকলের নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। সারকথা স্বাভাবিক ক্ষেত্রে নামাজে কিরাত আবশ্যক। কিরাত পাঠে সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কেউ যদি কিরাত না পড়ে তাহলে নামাজ হবে না। আপনার জন্য করণীয় হলো, আপাতত নামাজ পড়তে থাকুন এবং কুরআন শেখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করুন।