ভাই মোটা হওয়াটার এটা করোরই হাতের জিনিস নয় , তবে মোটা হবার মত কিছু খাবার আছে ,যেগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমান ফ্যাট যা শরির্পোট কে মোটা করতে সাহায্য করে যেমন,পানি বেশি করে খাবেন ,শবজি বেশি বেশি খবেন ,এছারা নিচের নিয়ম মেনে চলুন দেখবেন কাজ হয়েছে ----- ১) প্রতিদিন সকালে ফজরের নামাজ পড়ে ঘন্টাখানেক এ্যারোবিক ব্যায়াম করুন (এ্যারোবিক ব্যায়াম করানো হয় এমন ব্যায়ামাগারে ভর্তি হলে ভালো হয়...তবে এ্যারোবিক ব্যায়ামের সিডি দেখে ও করা যায়) ২) শরীর ফ্যাট করে এমন খাবার গুলো বেশি বেশি করে খান...একজন মানুষের স্বাভাবিক দৈনিক খাদ্য চাহিদা ২৮০০ ক্যালোরি...সেক্ষেত্রে আপনি চাহিদার অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহন করুন...নিয়মিত ব্যায়াম করলে ৪০০০ ক্যালোরি পর্যন্ত খাদ্য চাহিদা সৃষ্টি হতে পারে...এতে আপনার মোটা হতে সহায়তা করবে। ৩) খাবারের জন্য মুখে রুচি আনতে এ্যারোষ্টোভিট এম মাল্টিভিটামিন...কক্স মাল্টিভিটামিন...হামদার্দের সিনকরা খেতে পারেন। তবে প্রকৃতিগত ভাবে এই ভিটামিন গ্রহন করতে পারলে বেশি উত্তম...বিভিন্ন ধরনের সবজি/ফল খেতে পারেন। ৪) বিকালে আসরের নামাজ পরে অথবা মাগরিবের নামাজের পরে আরেক দফা ঘন্টাখানেক এ্যারোবিক ব্যায়াম করুন...শরীর থেকে অঝরে ঘাম ঝড়তে দিন...ঘামে গোসল করে ফেলুন...এতে শরীর মোটা হবার সময় ক্ষতিকারক ফ্যাটগুলো পুরো ঘামের মাধ্যেমে বের হয়ে আসবে...যা আপনাকে স্থায়ীভাবে মোটাত্ব ধরে রাখতে সহায়তা করবে। ৫) দুই বেলা ব্যায়াম করার কারনে স্বাভাবিক ভাবেই আপনার ঘুমের চাহিদা থাকবে চরমে...এশার নামাজের পর পরই ঘুমাতে যান...কমপক্ষে আট ঘন্টা ঘুমান...ঘুমোতে যাবার আগে ফ্যাটযুক্ত আধালিটার গরম দুধ এক চামচ মধু মিশিয়ে খান...সাথে মাল্টিভিটামিন...অধিক ঘুম আপনাকে মোটা হতে সহায়তা করবে।
আপনি নিয়মমাফিক চললে আপনার সমস্যার সমাধান হবে।যেমন-
সকালের নাস্তা:
সকালের নাস্তা বর্জন করবেন তখন শরীর ভাববে আপনি হয়তো সারাদিন না খেয়ে থাকবেন তখন শরীর থেকে ক্যালরিগুলো ফ্যাট হিসেবে যোগ হয় এবং এই পদ্ধতিটি থেকে আরও বেশি লাভ পেতে ১০-১২ ঘণ্টা খাবার খাবেননা এবং এর পর বেশি করে খেয়ে নিন । এই উপায়ে আপনার দেহ সব ক্যালরি দেহেই জমিয়ে রাখবে এবং ওজনও বৃদ্ধি পাবে।
কম ঘুম:
কম ঘুমিয়েও চাইলে আপনি মোটা হতে পারেন। কম ঘুমালে দেহ ক্লন্তি অনুভব করবে ও কম ঘুম হওয়ার কারণে মানসিকচাপ থাকবে। মানসিক চাপের কারণে অনেকেরই খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়।
এবং শুধু তাই নয় মানিসিক চাপের কারণে দেহে যে হরমোনের পরিবর্তন হয় এর জন্যও ওজন বেড়ে থাকে। এছাড়াও কম ঘুমালে আপনি খাওয়ার অনেক সময় পাবেন ওজন বাড়ানোর জন্য। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়ে ঘুমাতে যেতে পারেন।
তেলে ভাজা খাবার:
ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস, ফ্রাইড চিকেন, ফ্রাইড অনিয়ন তাদের জন্য খুব ভাল খাবার যারা মোটা হতে চান । তবে এই ধরণের খাবারগুলোতে থাকে প্রচুর পরিমাণে সেচুরেটেড ফ্যাট। সেচুরেটেড ফ্যাট শুধুই আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে না সাথে সাথে দেহেও দেখা দিবে নানা ধরণের সমস্যা বিশেষ করে হার্টের সমস্যা হয়ে থাকে সেচুরেটেড ফ্যাটের কারণে। তবে আপনি যদি প্রিতিদিন আলুর ফ্রাই খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।
পানি খাওয়া:
কারণ দেখা যায় যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার কারণে আপনার ওজন কমতে পারে। তাই পানি কম খেয়ে কোমল পানীয় খেতে পারেন আর এগুলো যদি না খেতে পারেন তাহলে বেশি মিষ্টি দিয়ে চা খান।
ফাস্টফুড:
ওজন বাড়াতে খেতে পারেন ফাস্টফুড। এই খাবারগুলো শুধু আমাদের ওজনই বাড়ায় না ফাস্টফুডের খাবারগুলো বাস্তবেই অনেক সাহায্য করে ওজন বাড়াতে। তাই ওজন বাড়াতে চাইলে মাঝে মধ্যেই খেয়ে নিন ফাস্টফুড।
ব্যায়ামকে একেবারেই না বলুন। মোটা হওয়ার জন্য দেহে ক্যালরির প্রয়োজন। আর যদি আপনি ব্যায়াম করেন তাহলে দেহ থেকে ক্যালরি কমে যাবে তাই মোটা হতে চাইলে ব্যায়াম করা যাবেনা।
কাছে কোথাও যেতে চাইলে না হেঁটে গাড়ি ব্যাবহার করুন এবং দীঘৃ সময় ধরে টিভিও দেখতে পারেন। এইভাবে দেহের বাড়তি ক্যালরিগুলো দেহেই থেকে যাবে এবং ওজন বৃদ্ধি পাবে।