শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস। শুধু অ্যাপলই নয়, পিক্সার নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে স্টিভ জবসের নাম। নিজের স্বপ্নকে সফল করতে অসম্ভব সফল তিনি। আর তার ছিল মানুষকে বিমোহিত করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এ লেখায় থাকছে মানুষকে বিমোহিত করার স্টিভ জবসের কয়েকটি উপায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার। ১. কঠোর পরিশ্রম নানা কাজে স্টিভ জবস সব সময়েই তার সর্বোচ্চ পরিশ্রম করেছেন। আর তাই জবসের মতে, ‘কঠোর পরিশ্রম করুন, অন্যরা আপনাকে সম্মান করবে। নিজের ইচ্ছাকে হাতের নাগালে পেতে সম্মান হলো প্রথম পদক্ষেপ।’ ২. আগ্রহের সঙ্গে কাজ কাজের প্রতি আগ্রহ এবং তাতে লেগে থাকা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্টিভ জবসের মতে, কাজে লেগে থাকতে হবে। মানুষ আপনার আবেগের শক্তিশালী প্রদর্শন দেখে মুগ্ধ হবে। ৩. মানুষকে বিমোহিত করুন মানুষ হয়তো আপনার জন্য কাজ করছে, কিংবা আপনি হয়তো মানুষের জন্য কাজ করছেন। এখানে মানুষ সব সময় তাদের কাজের জন্য স্বীকৃতি আশা করে। আর এখানে আপনার অনুরূপ কাজের মাধ্যমে তাদের বিমোহিত করা হতে পারে এর একটি ভালো উপায়। ৪. দাবি করুন ভালো আইডিয়াগুলো নিজের বলেই দাবি করুন। আর এক্ষেত্রে পিছিয়ে গেলে পূর্ণোদ্যমে নতুন আইডিয়ার জন্য কাজ করুন। অতীত স্মৃতি সহজেই পরিবর্তিত করা যায়। জবস সব সময় সঠিক ছিলেন না। কিন্তু সামনের মানুষকে বিমোহিত করার অদ্ভুত শক্তি ছিল তার। তিনি কোনো অবস্থানে মজবুতভাবে নিজেকে ধরে রাখতে পারতেন। ৫. দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত জবসের চরিত্রের অন্যতম বিষয় ছিল দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। নতুন পণ্য আনার ক্ষেত্রে অ্যাপল কোনো সময়ক্ষেপণ করত না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও বিলম্ব পছন্দ করতেন না জবস। সবাইকে বিমোহিত করার স্টিভ জবসের ১২ কৌশল ৬. সততা স্টিভ জবস সততার মাধ্যমে নিজের শক্তিশালী ইমেজ গড়ে তুলেছিলেন। অ্যাপলে দ্বিতীয়বার তিনি যখন ফিরে আসলেন তখন নিজের সে ইমেজ ব্যবহার করেন। বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে তিনি নিজ অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। ৭. সমস্যা সমাধানে দেরি নয় কোনো একটি সমস্যা দেখা দিলে তা সমাধানে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া জবসের অন্যতম বৈশিষ্ট। সমস্যা সমাধান যে কোনো মূল্যে করতে হবে, এমনটাই তাঁর মত। ৮. গ্রহণ বা ত্যাগ, মাঝামাঝি নয় জবস কোনো ব্যক্তিকে মাঝামাঝি দৃষ্টিতে দেখতেন না। তার দৃষ্টিতে সবাই অনেকটা বাইনারি। অর্থাৎ হিরো কিংবা জিরো। তিনি এক ইঞ্জিনিয়ারকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন কম্পিউটারের জন্য প্রথম মাউস বানাতে, যে মাউস উপরে-নিচে বা ডানে-বামে নয়, মনিটরের যে কোনো স্থানেই সহজেই চলে যাবে। কিন্তু সে ইঞ্জিনিয়ার দায়িত্ব নিয়ে পরে সেটা ‘অসম্ভব’ বলে আলোচনা করেছিলেন। পরের দিনই জবস সে ব্যক্তিকে চাকরি থেকে বাদ দিয়ে দেন। তার বদলে এমন একজন ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেন, যিনি বলেছিলেন ‘আমি পারব।’ ৯. জটিলতা নয় জটিল নানা বিষয় জবস পছন্দ করতেন না। তিনি জটিলতা ত্যাগ করতেন। আর এ ধরনের বিষয়ে তিনি নিরবতা অবলম্বন পছন্দ করতেন। ১০. সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত বহু সফল ব্যক্তির মতো জবসেরও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত বা কাজ করা। ১১. অস্ত্র ব্যবহার করুন আপনার হাতে যদি এমন কোনো অস্ত্র থাকে, যা দিয়ে সফল কিছু করা সম্ভব, তাহলে তা অবিলম্বে ব্যবহার করুন। জবস এক্ষেত্রে কোনো কাজের সফলতার জন্য সম্ভাব্য সব উপায় ব্যবহারে কোনো বিলম্ব করতেন না। ১২. যে কোনো মূল্যে নিখুঁত পণ্য জবস তার প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মান যেন কোনোভাবেই খারাপ না হয়, সেদিকে মনোযোগী ছিলেন। তিনি সব সময়েই নিখুঁত পণ্য চাইতেন এবং এজন্য কোনো অজুহাত শুনতেন না

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Baki Billah

Call

দৃশ্যপট ১
মাহবুবুল হক। ছাত্রজীবন থেকেই স্বপ্ন সফল উদ্যোক্তা হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি। সফলতার সাথে সেটি পরিচালনা করে তিন বছরের ব্যবধানে মালিক হলেন আরো কয়েকটি কোম্পানির। বর্তমানে একটি গ্রুপ অব কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। একজন সফল উদ্যোক্তা।

দৃশ্যপট ২
মাহদী হাসান। ছাত্রজীবনে তিনিও স্বপ্ন দেখতেন সফল উদ্যোক্তা হবার। পড়াশোনা শেষ করে করে তিনিও প্রতিষ্ঠা করেন একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি। পাঁচ বছরেও তেমন কোনো সফলতার দেখা পেলেন না। অবশেষে সব কিছু বাদ দিয়ে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।

এমন বিপরীতমুখী দৃশ্য আমরা প্রায়ই দেখি। অনেকেই চান ব্যবসা করতে। সফল উদ্যোক্তা হতে। কিন্তু কেউ হতে পারেন। কেউ পারেন না। কিন্তু কেন? আসুন জেনে নেই সফল উদ্যোক্তার কিছু বৈশিষ্ট্য।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে একজন সফল উদ্যোক্তার নিম্নোক্ত গুণাবলী থাকে।
১. আত্মবিশ্বাস
এটি এক জাদুকরি শক্তি যা নিজের কর্মকাণ্ড এবং নিজের শক্তি-সামর্থের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। বলা হয়- আত্মবিশ্বাসই সফলতার মূল শর্ত। একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে এ গুণটি থাকা অপরিহার্য।
২. লক্ষ্যভিত্তিক প্রচেষ্টা
ভালো ফল পেতে হলে কোনো কাজ করার আগে লক্ষ্য নির্ধারণ করা দরকার। আরো দরকার নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা। একজন সফল উদ্যোক্তা শুধু কিছু কাজই সম্পাদন করেন না। বরং সব সময় সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে মনযোগী হন।
৩. ঝুঁকি গ্রহণ
একজন সফল উদ্যোক্তা অনুধাবন করেন যে, কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে তিনি ক্ষতির সম্মুখীনও হতে পারেন। তবুও লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ঝুঁকি গ্রহণের মতো প্রয়োজনীয় মানসিকতা ও সাহস তার থাকে।

ব্যবসায় উদ্যোক্তা হলেন তারা- যারা সিদ্ধান্ত নেবেন, ব্যবস্থা নেবেন। বিশ্বাস করেন যে, নিজেদের ভাগ্য তারা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তারা মনে করেন, সফলতা ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে না। বরং তা নির্ভর করে নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রমের ওপর।

তাহলে উপরের কোন বৈশিষ্ট্যটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আত্মবিশ্বাস। আত্মবিশ্বাস ছাড়া কোনো কিছুই করা সম্ভব নয়। আপনি যদি নিজের সামর্থের ওপর আস্থা রাখতে না পারেন, তবে প্রথম যে সমস্যাটি হবে সেটি হলো- লক্ষ্য অর্জনের জন্য আপনার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।
আপনার আত্মবিশ্বাসকে উচ্চতর পর্যায়ে রাখতে কিছু কৌশল আলোচনা করা হলো-
ইতিবাচক চিন্তা
ইতিবাচক চিন্তার শুরুটা হবে ইতিবাচক আচরণের মাধ্যমে। কাজ শুরুর আগে মনে করুন, প্রথম ধাপেই ভালো কিছু একটা হবে। নেতিবাচক চিন্তাকে মোটেই প্রশ্রয় দিবেন না এক্ষেত্রে। বিশ্বাস রাখুন, আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে না পৌঁছানোর কোনো কারণই নেই।
মনে রাখবেন, ইতিবাচক চিন্তা সংক্রামক। যখন তা ছড়িয়ে পড়ে- তখন নতুন নতুন বন্ধু, গ্রাহক ও আইডিয়ার জন্ম দেয়।

নাছোড়বান্দার মতো লেগে থাকা
আপনার সব ইতিবাচক চিন্তা, বিশ্বাস ও আইডিয়া পৃথিবীতে অচল যদি আপনি তা কাজে না লাগান। আপনাকে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। কাজ করতে হবে। কোনো ধরনের অভিযোগ চলবে না এক্ষেত্রে। কাজ করতে হবে নাছোড়বান্দার মতো।
কোনো ধাপ অতিক্রম করতে একটি উপায় একবার অবলম্বন করুন। সফল না হলে নতুন উপায় বের করে আবার চেষ্টা করুন। সফল হওয়ার আগে কাজটি ছেড়ে দেয়া চলবে না।

প্রবন্ধের প্রথমাংশে যে বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছি- তা সব সফল উদ্যোক্তারই থাকে। আপনিও সামনের দিকে তাকান। আপনাকে কোন অবস্থানে দেখতে চান, তা নির্দিষ্ট করুন। নিজের সামর্থ, শক্তি ও দক্ষতার ওপর আস্থা রাখুন। নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যান। কোনোভাবেই পিছিয়ে যাবেন না। প্রচেষ্টা ছেড়ে দিবেন না। আর তা যদি করতে পারেন, তবে অর্ধেক পথ পৌঁছে গেছেন -এ কথা মনে করতেই পারেন আপনি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

১. প্রাধান্য ও লক্ষ্য
প্রতিদিন আমাদের অনেক কাজ থাকে। এর মধ্যে প্রধান কাজগুলো বাছাই করুন। এবার গুরুত্বের বিচারে কাজগুলো ক্রমান্বয়ে সাজিয়ে নিন। তারপর কাজগুলো কিভাবে করবেন তার পরিকল্পনা করুন।

একইভাবে দীর্ঘ মেয়াদী ও স্বল্প মেয়াদী কাজের তালিকা করুন। মাঝে মাঝে আপনার এ কাজগুলোর অগ্রগতি যাচাই করুন।

২. দৃষ্টি নিবদ্ধ করা
আপনি শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত কিনা তা যাচাই করুন। এবার সমস্যা সমাধানের জন্য শারিরিক ও মানসিক দুর্বলতাগুলো ঝেড়ে ফেলুন। এতে আপনি আপনার কাজ ও ক্যরিয়ারের প্রতি ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারবেন।

৩. দক্ষতা বাড়ান
বিভিন্ন চাকরির প্রয়োজনীয় যোগ্যতা আলাদা। তাই আপনার জ্ঞান ও যোগ্যতা নিয়মিত বাড়াতে থাকুন। আপনার জ্ঞান কিভাবে বৃদ্ধি করবেন তার উপায়সমুহ খোঁজ করুন। বিভিন্ন সেমিনার ও কনফারেন্সে অংশ নিন। বই পড়ুন। নিজে নিজে ভাবুন।

৪. সামাজিক হোন
সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিন। এতে নিজেকে সামাজিক মানুষ হিসেবে প্রস্তুত করে তুলতে পারেন। নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার দক্ষতা অর্জন করুন। নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হোন। তাদেরকে সম্মান করুন। আলাপে মনযোগী হোন। তাদের কথা শুনুন। তাহলে নতুন কিছু শিখতে পারবেন।

৫. মেধা যাচাই করুন
আপনার সক্ষমতা ও দুর্বলতা খুঁজে বের করুন। এরপর আপনার কাঙ্খিত ক্যারিয়ারের সাথে আপনার সক্ষমতা ও দুর্বলতা মিলিয়ে নিন।

৬. ঝুঁকি নিন
কাজ করলেই কেবল নিজেকে চেনা যায়। নিজের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা কাজের মধ্যে প্রকাশ পায়। আরাম-আয়েশে থাকার চেয়ে নতুন ঝুঁকি নিয়ে নতুন কিছু শেখা ও অর্জন করার চেষ্টা করুন। নিয়মিত আপনি যা করেন তা করতে থাকলে আপনি তাই পাবেন যা আপনি আগেও পেয়েছেন। সেজন্য নতুন কিছু করুন।

৭. যোগাযোগ
ফলপ্রসু যোগাযোগের কৌশল শিখে নিন। অন্যদের কথা শুনুন ফলে আপনি জানতে পাবেন কিভাবে মানুষ সুন্দর করে কথা বলে, কাজ করে এবং কাজের স্বীকৃতি দেয়। আবার কিছু বুঝতে না পারলে তা অন্যের কাছ থেকে প্রশ্ন করে জেনে নিন।

৮. অন্যের সমালোচনা বন্ধ করুন
সহকর্মী ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নিয়ে কর্মস্থলে সমালোচনা বা গীবত চর্চা করবেন না। প্রতিষ্ঠান ও কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। এতে প্রতিষ্ঠানের সবার কাছে নিজের অবস্থান তৈরি হবে। সবার আস্থা অর্জনে সক্ষম হবেন। যা খুলে দেবে আপনার উন্নতির পথ।

৯. ধৈর্য্য ধরুন
ধৈর্য্যের সাথে সমস্যা সমাধান করুন। আগের থেকে ভালো কিছু করার চেষ্টা করুন। নিজের ভালোলাগার কাজগুলো সৃজনশীলতার সাথে করুন। এতে দিনে দিনে আপনার সৃজনশীলতা আরো বাড়বে।

১০. প্রিয় কাজটি খুঁজে বের করুন
নিজের কাজে হতাশা আসলে কাজের মধ্যে ভালোলাগার বিষয়টি খুঁজে বের করুন। বিফলতার পরে নতুন ভালো কিছু করার সম্ভাবনা আসতে পারে। সেই কাজটি খুঁজে বের করুন।

দার্শনিক কনফুসিয়াসের ভাষায়, ‘তোমার প্রিয় কাজটি খুঁজে বের কর, তোমাকে আর কোনোদিন কাজ করতে হবে না’।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ