কাজের ক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যাত হওয়া (job rejection) একজন মানুষের জীবনে চরম প্রভাব ফেলে। আর সেই প্রভাবটা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নেতিবাচক হয়ে থাকে। কাজ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর একজন মানুষের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোটা বেশ কষ্টসাধ্য কাজ হয়ে দাঁড়ায়। আর সেটা যদি হয় কারো প্রথম চাকরী বা কাজের ইন্টারভিউ তাহলে সেই সময়ের মানসিক অবস্থার কোন তুলনাই হয় না। কিন্তু জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যেতে হলে এই সময়টার মোকাবেলা করার উপায়গুলো জানা প্রয়োজন।
কাজের ক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যান নিঃসন্দেহে অনেক কষ্টকর আর আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে দেওয়ার মতো একটি ব্যাপার। কিন্তু এটি পুরোটাই নির্ভর করে আপার উপর যে আপনি কিভাবে এই ব্যাপারটা মোকাবেলা করবেন। আপনি কি এই ব্যাপারটিকে মাথায় নিয়ে নিজেকে ইতিবাচক উপায়ে অনুপ্রাণিত করবেন নাকি নেতিবাচক হিসেবে হতাশগ্রস্ত হবেন এটি সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। আপনি এই প্রত্যাখ্যানকে ইতিবাচক দৃষ্টি দিয়ে দেখে নিজেকে আরো যোগ্য হিসেবে পরের বারের জন্য প্রস্তুত করুন।
আপনার যোগ্যতাকে কেবল একটি মাত্র চাকরী অথবা ইন্টার্ভিউ এর মাঝে সীমাবদ্ধ করে ফেলবেন না। একটি মাত্র প্রত্যাখ্যান আপনার পুরো জীবনের কর্মক্ষমতার মূল্যায়িত করবে এমনটা ভাবা ঠিক নয়। তাই প্রত্যাখ্যান খুব বেশী ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ না করে এটা ভাবুন যে আপনার কাজের দক্ষতা আর গুনগত মাণ আরো ভালো কোন কাজের জন্য তৈরি হয়েছে।
নিজেকে দোষারোপ করা বা নিজের অযোগ্যতা খুঁজে বের করা খুব সহজ কাজ। চাকরীতে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর নিজের অক্ষমতাকে খুঁজে বের করে তার সাথে কাজ না পাওয়ার যোগসূত্র না মিলিয়ে নিজের যোগ্যতা আর সক্ষমতা গুলো খুঁজে বের করে তার ব্যবহার করুন ও নিজেকে উৎসাহিত করুন।
বাস্তবতা মেনে নিয়ে এটা নিজেকে বোঝান যে ইন্টারভিউ বোর্ডে ব্যর্থতাও কাজের একটি অংশ। প্রত্যাখ্যান আছে বলেই আমরা নতুন নতুন কাজের প্রতি আগ্রহ অনুভব করী, তাই চাকরীতে প্রত্যাখ্যান আবেগ দিয়ে বিশ্লেষণ না করে বাস্তবতার নিরিক্ষে বিশ্লেষণ করুন।
কোন কিছু থেকে বাদ পড়ে যাওয়া মানে জীবন থেমে যাওয়া নয় বরং নতুন উদ্যমে সব কিছু আবার শুরু করা। তাই চাকরী ক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যানের শিকার হয়ে নিজেকে গুটিয়ে না ফেলে নিজেকে আরো একটু প্রসারিত করুন। নিজের সহ্য শক্তি বাড়িয়ে তুলুন, জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে তুলুন আর বাইরের জগতটাকে নিজের সীমার মধ্যে নিয়ে আসুন তবেই না আপনি নিজেকে প্রসারতি করতে পারবেন।
“যে সহে সে রহে।” ঠিক একইভাবে প্রতিযোগিতার এই দুনিয়ায় একবার আপনি পিছিয়ে পড়েছেন বলে আর আগে বাড়বেন না এই মানসিকতার বদল ঘটান। একবার পিছিয়ে পড়েছেন দেখে আর যাতে পিছিয়ে পড়তে না হয় সেদিকে নিজের দৃষ্টি স্থাপন করুন।