আল্লাহ তাআলার দরবারে বান্দার তাওবা করা অধিক পছন্দনীয়। মানুষ অপরাধ করার পর আল্লাহ তাআলার নিকট তাওবা করা ও গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করাকে তিনি অত্যধিক পছন্দ করেন। আল্লাহ তাআলা তাওবা কবুল করেন এবং তাওবার মাধ্যমে বান্দাকে পুত-পবিত্র করেন। তবে তাওবা কি বা তাওবা কবুল হওয়ার জন্য শর্তাবলী কি তা আমাদের জানা থাকা জরুরি।
মানুষ ভুল করে। শয়তানের কুমন্ত্রনায় পড়ে তার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ভুলে যায় স্রষ্টার নির্দেশ, ফলে অন্যায় ও পাপকর্মে জড়িয়ে পড়ে নিজেকে কলুষিত করে। তবে যদি নিজের ভুল বুঝতে পেরে ভবিষ্যতে আর কখনো আর তাতে ফিরে যাবেনা বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে তাওবা করে; ফিরে আসে আল্লাহর পথে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তাওবাকারীর সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেন এবং অত্যান্ত খুশি হন।
তবে আপনার তাওবাতে থাকতে হবে এই তিনটি বিষয়/শর্ত৷
১। পাপ কাজটি পরিহার করতে হবে।
২। কৃত পাপকর্মের প্রতি আন্তরিকভাবে লজ্জিত বা অনুতপ্ত হতে হবে।
৩। ভবিষ্যতে আর এপাপকর্মে লিপ্ত হবেনা বলে দৃঢ় সংকল্প করতে হবে।
قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ وَاللهِ إِنِّي لأَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ فِي الْيَوْمِ أَكْثَرَ مِنْ سَبْعِينَ مَرَّةً
আবূ হুরাইরাহ বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহর শপথ! আমি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে সত্তরবারেরও অধিক ইস্তিগফার ও তাওবাহ করে থাকি। (বুখারী,হাদীস নং-৬৩০৭)
وَأَنِ ٱسْتَغْفِرُوا۟ رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُوٓا۟ إِلَيْهِ
আর তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও। তারপর তার কাছে ফিরে যাও। (সূরা হুদ,আয়াতঃ ৩)
عَنِ الأَغَرِّ الْمُزَنِيِّ، - قَالَ مُسَدَّدٌ فِي حَدِيثِهِ وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّهُ لَيُغَانُ عَلَى قَلْبِي وَإِنِّي لأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ فِي كُلِّ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ
আল-আগার আল-মুযানী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলইহে ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ অবশ্য কখনো কখনো আমার ‘ কলব’ পর্দাবৃত হয় (অর্থাৎ মানুষ হিসাবে দুনিয়ার কাজকর্মে লিপ্ত হওয়ার কারণে আল্লাহ্র যিকির হতে গাফিল হয়) এবং আমি আল্লাহ্র নিকট দৈনিক একশত বার ইস্তিগফার করে থাকি। (আবু দাউদ,হাদিস নং-১৫১৫)