দুআ কবুলের যে শর্ত আছে তা পুরন হলে অবশ্যই কবুল হবে | যেমনঃ হালাল খাদ্য ও পানীয় ভক্ষন, কাপড় পাক, জায়গা পাক থাকতে হবে, ওযু থাকতে হবে,নির্জন স্থান, কাকুতি মিনতি করে চাইতে হবে, চোখের পানি ফেলতে হবে, নামাজের মাধ্যমে চাইতে হবে, রাতের শেষ ভাগে দুয়া কবুল হয় তাই তখন চাইতে হবে, দুয়ার মাঝে দরুদ পাঠ করতে হবে, কারো অমঙ্গল হয় এমন দুয়া করা যাবেনা | এছাড়া বাবা মার হক আদায় করতে হবে | এসব করেন, আল্লাহ মুখ তুলে চাইবেন | নিরাশ হবেন না |
দুআর শর্ত পূরণ করে দুআ করা হলে অবশ্যই দুআ কবুল হয়। অবশ্যই সে ডাকে আল্লাহ সাড়া দেন। তবে দুআ কবুলের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। কিছু দুআর রিজাল্ট হাতে নাতে নগতেই পাওয়া যায়। কিছু দুআর রিজাল্ট বিলম্বে পাওয়া যায়। কিছু দুআর রিজাল্ট ইহকালে পাওয়া যায় না; বরং পরকালে পাওয়া যায়। কিছু দুআ কবুল হয়। কিন্তু তার রিজাল্ট দৃশ্যমান হয় না। যেমন কেউ এক লক্ষ টাকার জন্য দুআ করলো। এ দিকে তার ভাগ্যে কিছু দিনের মধ্যে এমন একটি সমস্যা লিপিবদ্ধ রয়েছে যেটার সমাধানে তার দু লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। আল্লাহ তার এ দুআর বিনিময় সামনে সে বিপদ ও সমস্যাকে দূরীভূত করে দেন। এখানে দুআ কবুল হলো ঠিকই। কিন্তু তা দৃশ্যমান হলো না। এবং দুআকর্তা বুঝতে পারলো না। হাদীসের ভাষ্য মতে দুআ কবুলের জন্য তাড়াহুড়া করাটাও দুআ কবুলের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে।