আসলে গোনাহকারী যখন তার গুনাহ বুঝতে পেরে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের গুনাহ করবে না বলে আল্লাহর কাছে তওবা করে সেক্ষেত্রে আল্লাহ তার গুনাহ ক্ষমা করেন। কিন্তু আপনার ব্যাপারটা 2টি কারণে জটিল হয়ে গেছে। প্রথমত, আপনি একবার তওবা করে সেটা ভঙ্গ করেছেন। আর দ্বিতীয়ত, যাদের সাথে অন্যায় করেছেন তারা আপনাকে ক্ষমা না করলে আপনি মাফ পাবেন না। একটা হল আল্লাহর হক আরেকটা বান্দার হক। যেহেতু আপনি বান্দার ক্ষতি করেছেন ক্ষমা তার কাছ থেকেই নিতে হবে। কিন্তু যাদের সাথে অন্যায় করেছেন তারা জানেও না তাদের সাথে কি হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাপারটা কিছুটা জটিল হয়ে গেছে। আসলে এ ধরণের ভুল যে করে সে বার বার এ পথে পা বাড়ানোর সম্ভাবনা থেকে যায়। কাজেই আমার পরামর্শ হল আমি যেকোন মূল্যে ভবিষ্যতে এই কাজ থেকে বিরত থাকবেন। আর যাদের সাথে অন্যায় করেছেন তারা যেহেতু এখনো অবুঝ, আপনার এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে ভবিষ্যতে যদি এরা কোন বিপদ আপদে পড়ে আপনি তাদের সাহায্য করতে পারেন। সাহায্য করতে গিয়ে আবার অশ্লীল কিছু যাতে করে না বসেন সেদিকে কঠোর লক্ষ্য রাখবেন। ইসলামে ব্যাভীচার করা মারাত্বক অন্যায়। তারপরও আল্লাহ ক্ষমাশীল। কারণ ক্ষমা যদি না ই থাকত তাহলে মানুষ অন্যায় করতেই থাকত। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।